বাণী

কিশোর গোপ-বেশ মুরলিধারী শ্রীকৃষ্ণ গোবিন্দ।
দ্বিভুজ শ্যাম সুন্দর মূরতি অপরূপ অনিন্দ্য।।
	পরমাত্মারূপী পরম মনোহর
	গোলকবিহারী চিন্ময় নটবর,
ময়ূর পাখাধারী চিকুর চাঁচর মণি-মঞ্জীর শোভিত শ্রীচরণারবিন্দ।।
গলে দোলে নব বিকশিত কদম ফুলের মালা
খেলে ঘিরে যাঁরে প্রেমময়ী গোপবালা,
	শোভিত স্বর্ণবর্ণ পীতবাসে
	ওঙ্কার বিজড়িত শ্রীরাধার পাশে,
পদ্মপলাশ আঁখি মৃদু-হাসে — যেরূপ ধেয়ায় মুনি ঋষি দেববৃন্দ।।

বাণী

কেন বারে বারে আমি এসে’ ফিরে যাই তাহারি দুয়ারে।
পাষাণ ভাঙ্গিয়া বহিবে গো কবে নির্ঝর শত ধারে।।
পাষাণে গঠিত দেবতা বলিয়া গলে না হিয়া হায়,
বৃথা বেদীতলে কুসুম শুকায় দেউল আঁধারে।।

নাটক : ‘আলেয়া’

বাণী

কে	তোরে কি বলেছে মা ঘুরে বেড়াস কালি মেখে
ওমা	বরাভয়া ভয়ঙ্করী সাজ পেলি তুই কোথা থেকে।।
	তোর এলাকেশে প্রলয় দোলে
	আমি চিনতে নারি গৌরী বলে।
ওমা	চাঁদ লুকাল মেঘের কোলে তোর মুখে না হাসি দেখে।।
ওমা	শঙ্কর কি গঙ্গা নিয়ে,কাঁদায় তোরে দুঃখ দিয়ে
ওমা	শিবানী তোর চরণ তলে এনেছি তাই শিবকে ডেকে।।

বাণী

কও কথা কও কথা, কথা কও হে দেবতা।
তুমি তো জানো স্বামী আমার প্রাণে কত ব্যথা।।
		মোর তরে আজি সকল দুয়ার
		হইল বন্ধ হে প্রভু আমার
তুমি খোলো দ্বার! সহে না যে আর সহে না এ নীরবতা।।
		শুনি অসহায় মোর ক্রন্দন
		গলিবে না পাষাণের নারায়ণ
ভোলো অভিমান চরণে লুটায় পূজারিণী আশাহতা।।

নাটিকাঃ ‍‌'মীরাবাঈ'

বাণী

	কন্যার পায়ের নূপুর বাজে রে বাজে রে।
	রুমুঝুমু রুমুঝুমু বাজে রে বাজে রে।
যেন	ভোমরারি ঝাঁক উড়ে গেল ফুল-বনের মাঝে রে।।
	কালো জলে নামলো যেন বুনো হাসেঁর দল,
যেন	পাহাড় বেয়ে ছুটে এলো ঝর্ণা ছলছল
	থির সায়রে টাপুর-টুপুর ঝরে মেঘের জল
		যেন বাদল সাঝেঁ  রে।।
যেন	আচমকা নিঝুম রাতে গাঙে জোয়ার এলো
	ঝরা পাতায় চৈতী বাতাস বইলো এলোমেলো।
		সে সুর ওঠে রিমঝিমিয়ে
		আমার বুকে চমক দিয়ে
	মহুয়া-ডালে গানের পাখি	নীরব হলো লাজে রে।।

বাণী

করুণ কেন অরুণ আঁখি দাও গো সাকি দাও শারাব
হায় সাকি এ আঙ্গুরী খুন নয় ও হিয়ার খুন–খারাব।।
আর সহে না দিল্‌ নিয়ে এই দিল–দরদির দিল্‌লাগী,
তাইতে চালাই নীল পিয়ালায় লাল শিরাজি বে–হিসাব।।
হারাম কি এই রঙিন পানি আর হালাল এই জল চোখের?
নরক আমার হউক মঞ্জুর বিদায় বন্ধু!লও আদাব।।
দেখ্‌ রে কবি, প্রিয়ার ছবি এই শারাবের আর্শিতে,
লাল গেলাসের কাঁচ্‌–মহলার পার হ’তে তার শোন্‌ জবাব্‌।।