বাণী

কেঁদে যায় দখিন-হাওয়া ফিরে ফুল-বনের গলি।
‘ফিরে যাও চপল পথিক’, দু’লে কয় কুসুম-কলি।
		দু’লে কয় কুসুম-কলি॥
ফেলিছে সমীর দীরঘ শ্বাস —  
আসিবে না আর এ মধুমাস,
কহে ফুল, ‘জনম জনম এমনি গিয়াছ ছলি’।
		জনম জনম গিয়াছ ছলি’॥
কাঁদে বায়, ‘নিদাঘ আসে
আমি যাই সুদূর বাসে’,
ফুটে ফুল হাসিয়া ভাসে, ‘প্রিয়তম যেয়োনা চলি’।
		ওগো প্রিয়তম যেয়োনা চলি’॥

বাণী

কেন		প্রেম-যমুনা আজি হলো অধীর
দোলে		টলমল রহে না স্থির।।
		মানে না বারণ উথলে বারি
		ভাসালো কুললাজ রুধিতে নারি
সখি		ডাক শুনেছে সে কার মুরলীল।।

নাটকঃ ‘সিরাজদ্দৌলা’

বাণী

কিছু নাহি যার তোমারে দিবার কি তার ভিক্ষা লবে!
তুমি কেঁদে গেলে আমারে শুধুই নীরবে কাঁদিতে হবে।।
	হেথা একদিন কিশোর বেলায়
	বেঁধেছিনু ঘর পুতুল-খেলায়,
সে সাথি আমার ফিরিবে না আর নব বসন্ত-উৎসবে।।
একদা হেথায় ফুটেছিল হেনা,
সে-ফুল আবার ফুটিবে হেথায় সে তো আর আসিবে না
	ওগো ভিখারি কি দিব তোমায়
	শূন্য দেউলে কুসুম শুকায়,
ক্ষমিও আমার শত অপরাধ, ভিখারিনী আমি ভবে।।

বাণী

কি মজার কড়াই ভাজা কুড়ুর মুড়ুর খাই রে,
		যদি পয়সা একটি পাই রে।
মোদের জামাও আছে পকেটও আছে
		পয়সা কিন্তু নাই রে।।
	দাদা, পয়সা যদি পাই
	চল পেয়ারা তলায় যাই,
আমি আনি নুন লঙ্কা, তুমি লুকিয়ে চল বাইরে।।

রেকর্ড-নাটিকাঃ ‌‘খুকি ও কাঠবেরালি’

বাণী

কও কথা কও কথা, কথা কও হে দেবতা।
তুমি তো জানো স্বামী আমার প্রাণে কত ব্যথা।।
		মোর তরে আজি সকল দুয়ার
		হইল বন্ধ হে প্রভু আমার
তুমি খোলো দ্বার! সহে না যে আর সহে না এ নীরবতা।।
		শুনি অসহায় মোর ক্রন্দন
		গলিবে না পাষাণের নারায়ণ
ভোলো অভিমান চরণে লুটায় পূজারিণী আশাহতা।।

নাটিকাঃ ‍‌'মীরাবাঈ'

বাণী

কেন চাঁদিনী রাতে মেঘ আসে ছায়া ক’রে।
সুখের বাসরে কেন, প্রাণ ওঠে বিষাদে ভ’রে।।
কেন মিলন রাতে, সলিল আঁখি পাতে,
কেন ফাগুন প্রাতে, সহসা বারি ঝরে।।
ডাকিয়া ফুলবনে, থাকে সে আনমনে,
কাঁদায় নিরজনে, কাঁদে কে কিসের তরে।।