কত যুগ যেন দেখিনি তোমারে
বাণী
কত যুগ যেন দেখিনি তোমারে দেখি নাই কতদিন। তুমি যে জীবন, তোমারে না হেরি’, হয়েছিনু প্রাণহীন।। তুমি যেন বায়ু, বায়ু যবে নাহি বয় আমি ঢুলে পড়ি আয়ু মোর নাহি রয়, তুমি যেন জল, বাঁচিতে পারিনা জল বিনা আমি মীন।। তুমি জানো নাগো তব আশ্রয় বিনা আমি কত অসহায়, তুমি না ধরিলে আমার এ তনু বাতাসে মিশায়ে যায়। তাই মোর দেহ পাগলের প্রায় তোমার অঙ্গ জড়াইতে চায়, তাই উপবাসী তনু মোর হের দিনে দিনে হয় ক্ষীণ।।
কাহার তরে হায় নিশিদিন কাঁদে মন-প্রাণ
বাণী
কাহার তরে হায় নিশিদিন কাঁদে মন-প্রাণ। জানে শুধু সেই, জানে মোর হৃদি ব্যথা-ম্লান।। কমল-পাতে যেন জল, — প্রণয় তার সই বুলবুলি চপল দ'লে যায় লতিকা বিতান।। জানে শুধু সে নিতে মন, দিতে জানে না ছলিয়া চলে সে-মুকুল, বারণ মানে না। জীবন ল'য়ে সে খেলে মরণ-খেলা, সকালে যারে চাহে তাহে বিকালে হেলা। কুসুম-সমাধি রচে সে নিঠুর পাষাণ।। চাহি শুধু এই, — যেন সে বাসিয়া ভালো এমনি ব্যথা পায় সে ওগো ভগবান।।
কে এলে হংস-রথে কোথা যাও
বাণী
কে এলে হংস-রথে, কোথা যাও? তার লিপি এনেছ কি? দাও মোরে দাও।। যা’র বিরহে মোর হৃদয়-কমল অশ্রু-সরসী-নীরে কাঁপে টলমল, শুনেছি তার সাথে তুমি কথা কও — কার কথা হয় সেথা — শোনাও শোনাও।। আনন্দ-দূত তুমি, লিপি আন নাই? দেখিতে কি আসিয়াছ — কত দুঃখ পাই? সে এত প্রেম দিয়ে কেন লুকিয়ে থাকে কেন দেখা দেয় না এত যে ডাকে, কেন মোর আর ভালো লাগে না কিছুই? মনে ক’রে বলো যদি তার দেখা পাও।।
কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী
বাণী
কী দশা হয়েছে মোদের দেখ্ মা উমা আনন্দিনী। তোর বাপ হয়েছে পাষাণ গিরি, মা হয়েছে পাগলিনী।। (মা) এ দেশে আর ফুল ফোটে না গঙ্গাতে আর ঢেউ ওঠে না তোর হাসি-মুখ দেখলে যে মা পোহায় না মোর নিশীথিনী।। আর যাবি না ছেড়ে মোদের বল্ মা আমায় কন্ঠ ধরি সুর যেন তার না থামে আর বাজালি তুই যে বাঁশরি।। (মা) না পেলে তুই শিবের দেখা রইতে যদি নারিস্ একা, আমি শিবকে বেঁধে রাখব মা গো হয়ে শিব-পূজারিণী।।