বাণী

	কিশোরী, মিলন-বাঁশরি
শোন	বাজায় রহি’ রহি’ বনের বিরহী —
	লাজ বিসরি’ চল জল্‌কে।
তার	বাঁশরি শুনি’ কথার কুহু
	ডেকে ওঠে কুহুকুহু - মুহুমুহু;
	রস-যমুনা-নীর হ’ল অধীর, রহে না থির;
ও তার 	দু-কূল ছাপায়ে তরঙ্গদল ওঠে ছল্‌কে॥    
	কেন লো চম্‌কে দাঁড়ালি থম্‌কে —
পেলি	দেখতে কি তোর প্রিয়তম্‌কে!
পেয়ে	তারি কি দেখা নাচিছে কেকা,
হ’ল	উতলা মৃগ কি দেখে চপল্‌কে॥

নাটকঃ ‘চক্রব্যূহ’

বাণী

		করুণা তোর জানি মাগো আসবে শুভদিন।
		হোক না আমার চরম ক্ষতি থাক না অভাব ঋণ।।
			আমায় ব্যথা দেওয়ার ছলে
			টানিস্ মা তোর অভয় কোলে,
		সন্তানে মা দুঃখ দিয়ে রয় কি উদাসীন।।
(তোর)	কঠোরতার চেয়ে বেশি দয়া জানি ব’লে,
		ভয় যত মা দেখাস্ তত লুকাই তোরই কোলে।
			সন্তানে ক্লেশ দিস্ যে এমন
			হয়ত মা তার আছে কারণ,
তুই		কাঁদাস্ ব’লে বল্‌ব কি মা হ’লাম মাতৃহীন।।

বাণী

কেন	আন ফুল-ডোর আজি বিদয়-বেলা,
মোছ	মোছ আঁখি-লোর যদি ভাঙিল মেলা॥
কেন	মেঘের স্বপন আন মরুর চোখে,
ভু’লে	দিয়ো না কুসুম যারে দিয়েছ হেলা॥
যবে	শুকাল কানন এলে বিধুর পাখি,
ল’য়ে	কাঁটা-ভরা প্রাণ এ কি নিঠুর খেলা।
যদি	আকাশ-কুসুম পেলি চকিতে কবি,
চল	চল মুসাফির, ডাকে পারের ভেলা॥

বাণী

কার বাঁশরি বাজিল মেঠো সুরে মন উদাস করা দুপুরে (গো)।
সখি কে কাহারে চায়
আজো সুরে সুরে ঝুরে ঝুরে কাহারে ধেয়ায়
মোর মন যেতে চায় বাঁশুরিয়ার সুরের দেশে উড়ে (গো)।।
হেরি যেতে নদী পথে
সে ভাঁট ফুলেরি মালা গেঁথে ভাসায় ভাটির স্রোতে (গো)
আমার সাধ জাগে ঐ মালা যাহার দেখি সেই বঁধু রে (গো)।।

বাণী

কে দুয়ারে এলে মোর তরুণ ভিখারি
কি যাচে ও আঁখি বুঝিতে যে নারি॥
হৃদি প্রাণ মন বিভব রতন
ডারিনু চরণে লহ পথচারী॥
দুয়ারে মোর নিতি গেয়ে যায় যে গীতি
নিশিদিন বুকে বেঁধে তারি স্মুতি।
কি দিয়ে এ ব্যথা নিবারিতে পারি॥
মিলন বিরহ যা চাও প্রিয় লহ
দাও ভিখারিনী বেশ দাও ব্যথা অসহ
মোর নয়নে দাও তব নয়ন বারি॥

নাটকঃ ‘আলেয়া’

বাণী

কে বিদেশি		বন-উদাসী'
বাঁশের বাঁশি		বাজাও বনে।
সুর-সোহাগে	তন্দ্রা লাগে
কুসুম-বাগের	গুল-বদনে।।
ঝিমিয়ে আসে	ভোমরা-পাখা
যুথীর চোখে		আবেশ মাখা
কাতর ঘুমে		চাঁদিমা রাকা
ভোর গগনের	দর-দালানে
দর-দালানে		ভোর গগনে।।
লজ্জাবতীর		লুলিত লতায়
শিহর লাগে		পুলক-ব্যথায়
মালিকা সম		বঁধুরে জড়ায়
বালিকা-বঁধু		সুখ-স্বপনে।।
বৃথাই গাঁথি		কথার মালা
লুকাস কবি		বুকের জ্বালা,
কাঁদে নিরালা	বনশিওয়ালা
তোরি উতলা	বিরহী মনে।।