বাণী

কেন	মনে জাগে উদাসিনী গৌরী উমার স্মৃতি!
আর	কত দূরে কত দেরি আনন্দময়ীর আসার তিথি।।
	কেন	পদ্মদীঘি দুলে ওঠে হৃদয়ে
	মোর	নন্দিনী মা আসে কি রাঙা চরণ ল’য়ে?
কেন	নয়নের বাতায়নে উতলা হ’ল, অশ্রুর ভ্রমর-বীথি।।
	তার মন নাই, উন্মনা চিন্ময়ী সে, তাই ছেলের কথা মনে নাই,
	শারদ-শ্রী এলো, পরমা-শ্রী কই — কাঁদি আর পথ-পানে চাই।
	ওকি	ঘরে এসে, নাম ধরে, ডেকে চ’লে যায়
		শিউলির অঞ্জলি ফেলে আঙিনায়,
	ভোরের ভৈরবী বুকে মোর কাঁদে গো, ওকি তার করুণ-গীতি।।

গীতিচিত্রঃ শারদ-শ্রী

বাণী

কে বলে মোর মাকে কালো, মা যে আমার জ্যোতির্মতী।
কোটি চন্দ্র সূর্য তারা নিত্য করে যার আরতি।।
	কালো রূপের মায়া দিয়ে
	মহামায়া রয় লুকিয়ে,
মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।।
যোগীন্দ্র যাঁর চরণ-তলে ধ্যান করে রে যাঁর মহিমা,
দু’টি নয়ন-প্রদীপ জ্বেলে খুঁজি সেই অসীমার সীমা।
	সাজিয়ে কালী গৌরী মাকে
	পূজা করি তমসাকে,
মায়ের শুভ্ররূপ দেখেছে শুভ্র শুচি যার ভকতি।।

বাণী

কেঁদে কেঁদে নিশি হল ভোর।
মিটিল না সাধ উঠিল না চাঁদ ফিরিল কেঁদে চকোর।।
	শিয়রে দীপ নিভিয়া আসে
	ভোরের বাতাস কাঁদে হতাশে,
মালার ফুল ঝরে নিরাশে — যেন মোর আঁখি লোর।।
	আমার নয়নে নয়ন রাখি’
	চাহে শুকতারা ছলছল আঁখি,
পাপিয়ার সনে পিয়া পিয়া ডাকি — এসো এসো চিতচোর।।

বাণী

কেন তুমি কাঁদাও মোরে, হে মদিনাওয়ালা!
অবরোধবাসিনী আমি কুলের কুলবালা।।
ঈদের চাঁদের ইশারাতে কেন ডাক নিঝুম রাতে,
হাসিন ইউসুফ! জুলেখারে কত দিবে জ্বালা।।
একি লিপি পাঠালে নাথ কোরানের আয়াতে —
পড়তে গিয়ে অশ্রু-বাদল নামে আঁখি-পাতে।
বাজিয়ে শাহাদতের বাঁশি কেন ডাক নিত্য আসি';
হাজার বছর আগে তোমায় দিয়েছি তো মালা।।

বাণী

কে	তোরে কি বলেছে মা ঘুরে বেড়াস কালি মেখে
ওমা	বরাভয়া ভয়ঙ্করী সাজ পেলি তুই কোথা থেকে।।
	তোর এলাকেশে প্রলয় দোলে
	আমি চিনতে নারি গৌরী বলে।
ওমা	চাঁদ লুকাল মেঘের কোলে তোর মুখে না হাসি দেখে।।
ওমা	শঙ্কর কি গঙ্গা নিয়ে,কাঁদায় তোরে দুঃখ দিয়ে
ওমা	শিবানী তোর চরণ তলে এনেছি তাই শিবকে ডেকে।।

বাণী

	কৃষ্ণচূড়ার রাঙা মঞ্জরি-কর্ণে।
	আমি ভুবন ভুলাতে আসি গন্ধে ও বর্ণে।।
	মোরে চেন কি?
মোর	আঁচলে চাঁপা, হেনা যুঁই অতসী।
মোর	বনের সাজিতে ভরা পলাশ বকুল
	নব আমের মুকুল,
মম	উত্তরী ঝলমল কিশলয়ে পর্ণে।।
	আনি’ মলয়-গিরি হ’তে চন্দন-গন্ধ
	হৃদয়-উদাস-করা সমীর সুমন্দ,
	ছড়াই আবির হাসি জোছনার স্বর্ণে।।