জংলা

  • কোন্‌ বন হ’তে করেছ চুরি

    বাণী

    কোন্ বন হ’তে করেছ চুরি হরিণ-আঁখি (গো ঐ)।
    যেন আননে বেঁধেছে বাসা কানন-পাখি (ভীরু)।।
    চুরি করা ঐ নয়ন কি তাই ভয় এত চোখে।
    নীল সাগর বলে, ডাগর ও-চোখ আমারি নাকি।।
    চিরকালের বিজয়িনী ও-উজল নয়নে।
    (তুমি) দু’ধারী তলোয়ার রেখেছ জহর মাখি’।।
    পুড়িল মদন তোমার ঐ চোখের দাহে।
    সে গেছে তোমার ঐ চোখে তার ফুল-বাণ রাখি’।।
    
  • দরিয়ায় ঘোর তুফান

    বাণী

    দরিয়ায় ঘোর তুফান, পার কর নাইয়া।
    রজনী আঁধার ঘোর, মেঘ আসে ছাইয়া।।
    যাত্রী গুনাহ্গার, জীর্ণ তরুণী,
    অসীম পাথারে কাঁদি পথ হারাইয়া।।
    হে-চির কাণ্ডারী, পাপে তাপে বোঝাই তরী
    তুমি না করিলে পার, পার হব কেমন করি’,
    সুখ-দিনে ভুলে’ থাকি, বিপদে তোমারে স্মরি –
    ডুবাবে কি তব নাম আমারে ডুবাইয়া।।
    মা’র কাছে মার খেয়ে শিশু যেমন মাকে ডাকে
    যত দাও দুখ শোক, ডাকি ততই তোমাকে,
    জানি শুধু তুমি আছ, আসিবে আমার ডাকে –
    তোমারি এ তরী প্রভু, তুমি চল বাহিয়া।।
    
  • বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যূথী বেলি

    বাণী

    বনে মোর ফুটেছে হেনা চামেলি যূথী বেলি।
    এসো এসো কুসুম সুকুমার শীতের মায়া-কুহেলি অবহেলি’॥
    পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দুল্ দোলায়
    (পরানে দেয় দোলা দেয় দোলা দেয় দোলন্)
    	উতলা দখিন হাওয়া
    কোকিল কুহরে কুহু কুহু স্বরে মদির স্বপন-ছাওয়া।
    হাসে গীত-চঞ্চল, জোছনা-উজল মাধবী রাতি
    	এসো এসো যৌবন সাথি
    ফুল-কিশোর, হে চিতচোর, দেবতা মোর।
    	মম লাজ অবগুণ্ঠন ঠেলি’॥
    
  • ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান

    বাণী

    ভেঙো না ভেঙো না ধ্যান হে আমার ধ্যানের দেবতা।
    পূজা লহ, অর্ঘ্য লহ ক’য়ো না ক’য়ো না কথা।।
    পাষাণ মূরতি তুমি পাষাণ হইয়া থাকো,
    মন্দির-বেদী হতে ধরার ধূলায় নেমো নাকো।
    তুমিও মাটির মানুষ বুঝায়ে দিও না ব্যথা।।
    সহিবে সকলি স্বামী হেনো হেলা ব্যথা দিও,
    সহিবে না অপমান ভালোবাসার আমার হে প্রিয়,
    থাক তুমি হিয়ার মাঝে তোমার মন্দির যথা।।