পালা কীর্তন

  • কেন মরিতে আসিলাম যমুনায়

    বাণী

    কেন মরিতে আসিলাম যমুনায়, ললিতা কেন বিপরীত হেরিলাম।
    কৃষ্ণ-যমুনা-জলে কারে ল’য়ে কুতুহলে জল-খেলা করে ঘনশ্যাম।।
    কালো মেঘের যেন খেলে বিজলি
    সোনার-প্রতিমার প্রতিবিম্ব কালো জলে
    কালো মেঘে যেন খেলে বিজলি।
    হিরন্ময়ী জ্যোতির্ময়ী সতিনীর রূপ আমি যত দেখি গো তত মজি সখি গো!
    অতি জ্যোতি গর্বিতা যেন পতি সোহাগিনী সতীসম কে এ সতিনী, ললিতে,
    মোর শ্যাম অঙ্গে অপরূপ ভঙ্গে আমারই সমুখে করে খেলা, মোরে ছলিতে।
    ও কি কায়া না ছায়া!
    ও কি কৃষ্ণ রূপের চঞ্চল জল-তরঙ্গ মায়া?
    সখি মান ভাঙাতে মোর এসেছিল গোপনে শ্যাম আজি প্রভাতে (সখি),
    শ্যাম-তনুমুকুরে হেরিলাম বিরাজে গৌর-বর্ণা নারী অপরূপ শোভাতে।
    এলো অভিমান মনে, তাই
    মনে হলে যমুনায় ডুবিয়া ললিতা শান্তি যদি পাই।
    এখানেও দেখি সেই গৌরী কিশোরী আছে শ্যামে জড়ায়ে।
    (ও কি কায়া না মায়া ও কি কৃষ্ণেরই রঙ্গ না আমারই ছায়া কায়া না মায়া।)
    কোন্ দেশে যাব সখি কোন্ খানে পাব শ্যামে একাকী।
    আন-নারীরে ছেড়ে কেবল রাধার হয়ে দেবে না দেখা কি (সখী গো)।।
    

    গীতিচিত্র : ‘অভিমানিনী’