কাফি

  • আজকে দোলের হিন্দোলায়

    বাণী

    আজকে দোলের হিন্দোলায়
    	আয় তোরা কে দিবি দোল্‌।
    ডাক দিয়ে যায় দ্বারে ঐ
    	হেনার কুঁড়ি আমের বোল্।।
    আগুন-রাঙা ফুলে ফাগুন লালে-লাল,
    কৃষ্ণ-চূড়ার পাশে রঙন অশোক গালে-গাল,
    লোল্ হয়ে পড়িল ঐ রাতের জোছনা-আঁচল।।
    হতাশ পথিক পথ-বিভোল্,
    	ভোল্ আজি বেদনা ভোল্, —
    টোল খেয়ে যাক নীল আকাশ
    	শুনে তোদের হাসির রোল
    দ্বার খু’লে দেখ্ — ফুলেল রাত
    	ফুলে ফুলে ডামাডোল্।।
    
  • খুশি লয়ে খুশরোজের আয় খেয়ালি

    বাণী

    খুশি লয়ে খুশরোজের আয় খেয়ালি খুশ্‌-নসীব।
    জ্বাল্‌ দেয়ালি শবেরাতের জ্বাল রে তাজা প্রাণ প্রদীপ।।
    	আন্‌ নয়া দ্বীনী ফরমান
    	দরাজ দিলে দৃপ্ত গান,
    প্রাণ পেয়ে আজ গোরস্থান তোর ডাকে জাগুক নকীব।।
    আন্‌ মহিমা হজরতের শক্তি আন্‌ শেরে খোদার,
    কুরবানী আন্‌ কারবালার আন্‌ রহম মা ফাতেমার,
    আন্‌ উমরের শৌর্য বল সিদ্দিকের আন্‌ সাচ্চা মন,
    হাসান হোসেনের সে ত্যাগ শহীদানের মৃত্যুপণ,
    রোজ হাশরে করবেন পার মেহেরবান খোদার হাবিব।।
    খোৎবা পড়বি মসজিদে তুই খতীব নূতন ভাষায়,
    শুষ্ক মালঞ্চের বুকে ফুল ফুটাবি ভোর হাওয়ায়,
    এস্‌মে-আজম এনে মৃত মুসলিমে তুই কর সজীব।।
    
  • খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল

    বাণী

    খেলে নন্দের-আঙিনায় আনন্দ দুলাল।
    রাঙা চরণে মধুর সুরে বাজে নূপুর-তাল॥
    	নবীন নাটুয়া বেশে
    	নাচে কভু হেসে হেসে,
    যাশোমতীর কোলে এসে দোলে কভু গোপাল॥
    ‘ননী দে’ বলিয়া কাঁদে কভু রোহিণী-কোলে,
    জড়ায়ে ধ’রে কদম তরু তমাল-ডালে দোলে।
    	দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গ হ’য়ে
    	বাজায় মুরলী ল’য়ে,
    কভু সে চরায় ধেনু বনের রাখাল॥
    
  • গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ

    বাণী

    গগনে পবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ
    নিখিল রাঙিল রঙে অপরূপ ঢঙ॥
    চিত্তে কে নৃত্যে মাতে দোল লাগানো ছন্দে,
    মদির রঙের নেশায় অধীর আনন্দে,
    নাচিছে সমীরে পুষ্প, পাগল বসন্ত, বাজে মেঘ মৃদঙ।।
    প্রাণের তটে কামোদ নটে সুর বাজিছে সুমধুর —
    দুলে অলকানন্দ রাঙা তরঙ্গে
    শিখী কুরঙ্গ নাচে রঙিলা ভ্রুভঙ্গে,
    বাজিছে বুকে সুর-সারং কাফির সঙ্গ্‌
    
  • গাগরী ভরণে চলে চপলা

    বাণী

    গাগরী ভরণে চলে চপলা ব্রজনারী
    যৌবন-লাবনি অঙ্গে বিথারি’।
    কাজল-কালো নয়ন গরল মাখানো বাণ,
    চকিত চাহনি হানে চতুরা শিকারী।।
    চঞ্চল-অঞ্চল উড়ায়ে সাঁজের বায়
    আধো আলো আধো ছায়া লুকোচুরি খেলে যায়,
    রাঙা তপন হেসে লুকায় লতার পাশে কাঁদে দরশ-ভিখারি।।
    
  • বনে যায় আনন্দ-দুলাল

    বাণী

    বনে যায় আনন্দ-দুলাল
    বাজে চরণে নূপুরের রুনুঝুনু তাল
    বনে যায় গোঠে যায়।
    ও কি নন্দ-দুলাল, ও কি ছন্দ-দুলাল
    ও কি নন্দন-পথ, ভোলা নৃত্য-গোপাল।।
    বেণু-রবে ধেনুগণ আগে যেতে পিছে চায়
    ভক্তের প্রাণ গ'লে উজান বহিয়া যায়
    লুকিয়ে দেখিতে এলো দেবতারি দল (তায়)
    হয়ে কদম তমাল-
    ব্রজ-গোপিকার প্রাণ তার চরণে নূপুর
    শ্রীমতী রাধিকা তার বাশরির সুর।
    সে যে ত্রিলোকের স্বামী তাই ত্রিভঙ্গ-রূপ
    করে বিশ্বের রাখালি সে চির-রাখাল।।
    
  • ভবনে ভুবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ

    বাণী

    ভবনে ভুবনে আজি ছড়িয়ে গেছে রঙ।
    রাঙিল, মাতিল ধরা অভিনব ঢং।।
    রাঙা বসন্ত হাসে নন্দন-আনন্দে
    চিত্ত-শিখী নাচে মদালস-ছন্দে,
    নাচিছে পরানে আজি তরুণ দূরন্ত বাজায়ে মৃদঙ।।
    কামোদে নটে আমোদে ওঠে গান,
    মাতিয়া ওঠে প্রাণ।
    উতল যমুনা-জল-তরঙ্গ,
    অঙ্গে অপাঙ্গে আজি খেলিছে অনঙ্গ,
    পরানে বাজে সারং সুর কাফির সঙ্গ।।