বাণী

(সখি) ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে
দেখা হ'লে রাতে ফুল-বনে।।
কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী
কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি
জেনেছে ফুলমালী গোপনে।।
ও-পথে চোর-কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও
বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়।
এ বনফুল লাগি' না আসে কাঁটা' দলি'
আপনি যাব চলি' বঁধুয়ার কুঞ্জ-গলি
বিনা মূলে বিকাইব ও-চরণে।।

বাণী

বরষ গেল, আশ্বিন এলো, উমা এলো কই
শূন্য ঘরে কেমন করে পরান বেঁধে রই।।
‌	ও গিরিরাজ! সবার মেয়ে
	মায়ের কোলে এলো ধেয়ে,
আমারই ঘর রইল আঁধার, আমি কি মা নই?
নাই শাশুড়ি ননদ উমার, আদর করার নাই (কেহ)
মা অনাদরে কালী সেজে বেড়ায় নাকি তাই।
	মোর গৌরী বড় অভিমানী,
	সে বুঝবে না মার প্রাণ-পোড়ানী;
আনতে তারে সাধতে হবে তার যে স্বভাব ঐ।।

বাণী

ব্যনমে শুন স্যখিরি পিয়া পিয়া বোলে বাঁশুরিয়া।
সখি ক্যওন উও বন্‌শী ব্যজায় ঘ্যরমে ন্য র‍্যহন্‌ যায়,
মন্‌ ভ্যয়ে উদাস্‌ সখি ন্যহি মানে জিয়া রি।।
নিরালা ঢং বাজে মৃদঙ্গ ম্যওর পাপিহা বোলে রি
চ্যরণন্‌ মে ছ্যন্দ জাগে ত্যন্‌ মন্‌ প্রাণ ডোলে রি
প্রেম্‌সে ম্যতওয়ালী ভ্যয়ি চাঁদ কি আঁখিয়া রি।।
স্যখি প্যহনো নীল শাড়ি চূড়া বাঁধো ম্যনহারি
যাঁহা ব্যন্‌চারী চ্যলো ক্যরকে সিঙ্গার
চ্যরণন্‌ মে গুজরী গ্যালেমে চম্পা হার —
নাচুঙ্গী আজ ওয়াকে সাথ্‌ গাউঙ্গি র‍্যসিয়ারি।।

বাণী

বনের মনের কথা ফুল হয়ে জাগে।
কয় না সে কথা তবু তারে ভালো লাগে।।
	শ্যাম পল্লবে তনু ছেয়ে যায়,
	ভরে ওঠে সুরভিত সুষমায়।
ফুটে ওঠে তার না বলা বাণী রক্তিম অনুরাগে।।
বন মর্মরে সেই মৌনীর শুনি মৃদু গুঞ্জন
ললিতার মত তার ভালোবাসা, গভীর-চির গোপন।
	যত সে নিজেরে লুকাইতে চায়,
	তত মধু তার উছলিয়া যায়।
কত সে পলাশে, কত সে অশোকে কত কুঙ্কুম ফাগে।।

বাণী

বকুল চাঁপার বনে কে মোর চাঁদের স্বপন জাগালে —
অনুরাগের সোনার রঙে হৃদয়-গগন রাঙালে।।
ঘুমিয়ে ছিলাম কুমুদ-কুঁড়ি বিজন ঝিলের নীল জলে
পূর্ণ শশী তুমি আসি’ আমার সে ঘুম ভাঙালে।।
হে মায়াবী তোমার ছোঁয়ায় সুন্দর আজ আমার তনু
তোমার মায়া রচিল মোর বাদল মেঘে ইন্দ্র ধনু।
		তোমার টানে হে দরদি
		দোল খেয়ে যায় কাঁদন-নদী
কূল হারা মোর ভালোবাসা আজকে কূলে লাগালে।।

বাণী

ব্রজ-দুলাল ঘন শ‍্যাম
মোর হৃদে কর বিহার হে।।
নব অনুরাগের জ্বালায়ে বাতি
অঙ্গে অঙ্গে রাখি তব শেজ পাতি’
গাঁথি অশ্রু-মোতিহার হে।।
আরতি-প্রদীপ আঁখিতে জ্বালায়ে রাখি
পথ-পানে চাহি বার বার হে।।
নিবেদন করি নাথ তব চরণে
নিত্য পূজা-উপচার হে
বিরহ-গন্ধ ধূপ বেদনা চন্দন
পূজাঞ্জলি আঁখি-ধার হে
দেবতা এসো, খোল দ্বার হে।।