মিশ্র জৌনপুরী

  • আজি নাচে নটরাজ এ কী ছন্দে

    বাণী

    আজি নাচে নটরাজ এ কী ছন্দে ছন্দে।
    	কী জানি কী সুখাভাসে
    	মৃদু মৃদু মধু হাসে
    কে জানে মাতিল কোন আনন্দে।।
    	ধুতুরা খুলিয়া ফেলি’
    	পড়েছে চম্পা বেলি
    অপরূপ রূপ হেরি সবে বন্দে।।
    সুরধুনী গঙ্গে তরল তরঙ্গে,
    ছন্দে তুলিল ধ্বনি তরঙ্গ রঙ্গে।
    	উমারে লইয়া বুকে
    	মহাকাল দোলে সুখে
    রবি শশী গ্রহতারা অভিবন্দে।।
    
  • আমি বাঁধন যত খুলিতে চাই

    বাণী

    আমি	বাঁধন যত খুলিতে চাই জড়িয়ে পড়ি তত।
    	শুভদিন এলো না দিনে দিনে দিন হল হায় গত।।
    		শত দুঃখ অভাব নিয়ে
    		জগৎ আছে জাল বিছিয়ে
    	অসহায় এ পরান কাঁদে জালে মীনের মত।।
    	বোঝা যত কমাতে চাই ততই বাড়ে বোঝা,
    	শান্তি কবে পাব কবে চল্‌ব হয়ে সোজা।
    		দাও ব’লে হে জগৎ-স্বামী
    		মুক্তি কবে পাব আমি?
    কবে	উঠবে ফুটে জীবন আমার ভোরের ফুলের মত।।
    
  • এসো মা ভারত-জননী আবার

    বাণী

    এসো	মা ভারত-জননী আবার জগৎ-তারিণী সাজে।
    	রাজরানী মা’র ভিখারিনী বেশ দেখে প্রাণে বড় বাজে॥
    		শিশু-জগতেরে মায়ের মতন,
    		তুমি মা প্রথম করিলে পালন,
    আজ	মাগো তোরই সন্তানগণ কাঁদিছে দৈন্য-লাজে॥
    		আঁধার বিশ্বে তুমি কল্যাণী
    		জ্বালিলে প্রথম জ্ঞান-দীপ আনি;
    	হইলে বিশ্ব-নন্দিতা রানী নিখিল নর-সমাজে॥
    		দেখা মা পুন সে অতীত মহিমা,
    		মুছে দে ভীরুতা গ্লানির কালিমা,
    	রাঙায়ে আবার দশদিক-সীমা দাঁড়া মা বিশ্ব-মাঝে॥
    
  • কি দিয়ে পূজি ভগবান

    বাণী

    	কি দিয়ে পূজি ভগবান!
    আমার ব’লে কিছু নাহি হরি সকলি তোমারি যে দান
    	মন্দিরে তুমি, মূরতিতে তুমি
    	পূজার ফুলে তুমি, স্তব-গীতে তুমি,
    ভগবান দিয়ে ভগবান পূজা করিতে — তুমি যদি ভাব অপমান॥
    	কেমন তব রূপ দেখিনি হরি
    	আপন মন দিয়ে তোমারে গড়ি,
    কাঁদ না হাস তুমি সে-রূপ হেরি — বুঝিতে পারি না আমি তাই কাঁদে প্রাণ॥
    	কোটি রবি-শশী আরতি করে যারে,
    	প্রদীপ জ্বালিয়া খুঁজি আমি তারে।
    বন-ডালা যাঁর পূজার সম্ভার, যোগী মুনি করে যুগযুগ ধ্যান।
    কোথা শ্রীমুখ তব কোথা শ্রীচরণ, চন্দন দিব কোন্‌খান ॥
    
  • বিদায় বেলায় করুণ সুরে গাইছ কেন গান

    বাণী

    বিদায় বেলায় করুণ সুরে গাইছ কেন গান।
    সুরের সাথে হল আকুল পাষাণ পরান।।
    	আজকে ব্যথায় উঠল ভ’রে
    	মালার কুসুম পড়ল ঝ’রে,
    পরান আমার কেমন করে নেবে তব দান।।
    	বৃথায় ফুলে সাজাও মোরে
    	ভাসাও যত নয়ন লোরে,
    প্রাণের ঠাকুর ডাকেন মোরে কাঁদে মম প্রাণ।।
    
  • যাস্‌নে মা ফিরে যাস্‌নে

    বাণী

    যাস্‌নে মা ফিরে, যাস্‌নে জননী ধরি দুটি রাঙা পায়।
    শরণাগত দীন সন্তানে ফেলি’ ধরার ধূলায় (মা) ধরি রাঙা পায়।।
    (মোরা) অমর নহি মা দেবতাও নহি
    	শত দুখ সহি’ ধরণীতে রহি’,
    মোরা অসহায়, তাই অধিকারী মাগো তোর করুণায়।।
    দিব্যশক্তি দিলি দেবতারে মৃত্যু-বিহীন প্রাণ,
    তবু কেন মাগো তাহাদেরি তরে তোর এত বেশি টান?
    (আজো) মরেনি অসুর মরেনি দানব
    	ধরণীর বুকে নাচে তান্ডব,
    সংহার নাহি করি’ সে অসুরে চলে যাস্ বিজয়ায়।।
    

    নাটিকা: ‘বিজয়া’