বনকুন্তলা (নজরুল–সৃষ্ট)

  • বন-কুন্তল এলায়ে বন শবরী ঝুরে

    বাণী

    বন-কুন্তল এলায়ে বন শবরী ঝুরে সকরুণ সুরে।
    বিষাদিত ছায়া তার চৈতালী সন্ধ্যার চাঁদের মুকুরে।।
    	চপলতা বিসরি যেন বন-যৌবন
    	বিরহ-ক্ষীণ আজি উদাস উন্মন,
    তোলে না ঝঙ্কার আর ঝরা পাতার মর্মর নূপুরে।।
    যে কুহু কুহরিত মধুর পঞ্চমে বিভোর ভাবে,
    ভগ্ন কণ্ঠে তার থেমে যায় সুর করুণ রেখাবে।
    	কোন বন-শিকারীর অকরুণ তীর
    	আলো হ’রে নিল ওই উজল আঁখির —
    ফেলে যাওয়া বাঁশি তা’র অঞ্চলে লুকায়ে —
    	গিরি–দরি–প্রান্তরে খোঁজে সে নিঠুরে।।
    
  • মোর প্রথম মনের মুকুল

    বাণী

    মোর	প্রথম মনের মুকুল
    	ঝরে গেল হায় মনে মিলনের ক্ষণে।
    	কপোতীর মিনতি কপোত শুনিল না,
    			উড়ে গেল গহন-বনে।।
    	দক্ষিণ সমীরণ কুসুম ফোটায় গো
    	আমারি কাননে ফুল কেন ঝরে যায় গো
    	জ্বলিল প্রদীপ সকলেরি ঘরে হায়
    	নিভে গেল মোর দীপ গোধূলি লগনে।।
    	বিফল অভিমানে কাঁদে ফুলমালা কণ্ঠ জড়ায়ে
    	কাঁদি ধূলি-পথে একা ছিন্ন-লতার প্রায় লুটায়ে লুটায়ে।
    	দারুণ তিয়াসে এসে সাগর-মুখে
    	ঢলিয়া পড়িনু হায় বালুকারি বুকে
    	ধোঁয়ারে মেঘ ভাবি’ ভুলিনু চাতকী
    			জ্বলিয়া মরি গো বিরহ-দহনে।।