কত কথা ছিল বলিবার
বাণী
কত কথা ছিল বলিবার, বলা হ’ল না। বুকে পাষাণ সম রহিল তারি বেদনা।। মনে রহিল মনের আশা মিটিল না প্রাণের পিপাসা, বুকে শুকালো বুকের ভাষা — মুখে এলো না।। এত চোখের জল, এত গান এত আদর সোহাগ অভিমান, কখন সে হ’ল অবসান — বোঝা গেল না।। ঝরিল কুসুম যদি হায়! কেন স্মৃতির কাঁটাও নাহি যায়, বুঝিল না কেহ কাহারো মন বিধির ছলনা।।
এলো বরষা শ্যাম সরসা প্রিয়-দরশা
বাণী
এলো বরষা শ্যাম সরসা প্রিয়-দরশা।। দাদুরি পাপিয়া চাতকী বোলে নব জলধারা-হরষা।। নাচে বন-কুন্তলা যামিনী উতলা খুলে পড়ে গগনে দামিনী মেখলা, চলে যেতে ঢ’লে পড়ে অভিসারে চপল যৌবন-মদ অলসা।। একা কেতকী বনে কেকা কুহরে, বহে পূব-হাওয়া কদম্ব শিহরে। দুরন্ত ঝড়ে কোন্ অশান্ত চাহি রে ঘরে নাহি রহে মন, যেতে চায় বাহিরে, যত ভয় জাগে তত সুন্দর লাগে শ্রাবণ-ঘন-তমসা।।
ওমা তোর চরণে কি ফুল দিলে
বাণী
ওমা তোর চরণে কি ফুল দিলে পূজা হবে বল। রক্ত-জবা অঞ্জলি মোর হ’লো যে বিফল।। বিশ্বে যাহা আছে মাগো তাতেও পূজা হবে নাকো, তাই তো দুঃখে নয়নে মোর শুধুই আসে জল।। মনের কোণে অর্ঘ্য রচি’ আঁধার ঘরে একা, ডাকলে তোরে সকল ভুলে দিবি না তুই দেখা। তখন কি মা দুঃখ-হরা শেষ হবে না অশ্রুধারা, কি ফুলে তোর পূজা হবে বল — কেন করিস্ ছল।।
চাষ কর দেহ জমিতে
বাণী
চাষ কর দেহ জমিতে হবে নানা ফসল এতে। নামাজে জমি ‘উগালে’ রোজাতে জমি ‘সামালে’, কলেমায় জমিতে মই দিলে চিন্তা কি হে এই ভবেতে।। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাতে বীজ ফেল্ তুই বিধি-মতে, পাবি ‘ঈমান’ ফসল তাতে — আর রইবি সুখেতে।। নয়টা নালা আছে তাহার ওজুর পানি সিয়াত যাহার, ফল পাবি নানা প্রকার — ফসল জন্মিবে তাহাতে।। যদি ভালো হয় সে-জমি হজ্ জাকাত লাগাও তুমি, আরো সুখে থাকবে তুমি — কয় নজরুল এসলামেতে।।
লেটো : ‘চাষার সঙ’
প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন
বাণী
প্রভু তোমাতে যে করে প্রাণ নিবেদন ভয় নাহি আর তার শত সে বিপদে আপদে তাহার হাত ধরে কর পার॥ তার দুঃখে শোকে ভাবনায় ভয়ে তব নাম রাজে সান্ত্বনা হয়ে পার হয়ে যায় তব নাম লয়ে দুস্তর পারাবার॥ ঝড় ঝঞ্ঝায় প্রাণ শিখা তার শান্ত অচঞ্চল টলমল করে রূপে রসে তার জীবনের শতদল। যেমন পরম র্ভিরতায় শিশু তার মার বক্ষে ঘুমায় তোমারে যে পায় সে জন তেমনি ডরে নাহি সংসার॥