মাদল বাজিয়ে এলো বাদলা মেঘ
বাণী
মাদল বাজিয়ে এলো বাদলা মেঘ এলোমেলো মাতলা হাওয়া এলো বনে। ময়ূরী নাচে কালো জামের গাছে পিয়া পিয়া বন-পাপিয়া ডাকে গো আপন মনে।। বেত-বনের আড়ালে ডাহুকী ডাকে, ডাকে না এমন দিনে কেহ আমাকে, বেণীর বিনুনী খুলে পড়ে একলা মন টেকে না ঘরের কোণে।। জঙ্গল পাহাড় কাঁপে বাজের আওয়াজে, বুকের মাঝে তবু নূপুর বাজে।। ঝিঁঝিঁ তার ডাক ভুলে ঝিম্ ঝিম্ ঝিম্ বৃষ্টির বাজ্না শোনে।।
নতুন চাঁদের তক্বীর শোন্
বাণী
নতুন চাঁদের তক্বীর শোন্ কয় ডেকে ঐ মুয়াজ্জিন — আসমানে ফের ঈদুজ্জোহার চাঁদ উঠেছে মুসলেমিন।। এলো স্মরণ করিয়ে দিতে ঈদুজ্জোহার এই সে চাঁদ, তোরা ভোগের পাত্র ফেল্ রে ছুঁড়ে ত্যাগের তরে হৃদয় বাঁধ। কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।। প্রাণের যা তোর প্রিয়তম আজকে সে সব আন্, খোদারই রাহে আজ তাহাদের কর রে কোরবান্। কি হবে ঐ বনের পশু খোদারে দিয়ে, তোর কাম-ক্রোধাদি মনের পশু জবেহ্ কর্ নিয়ে। কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।। বিলিয়ে দেওয়ার খুশির শিরনি তশ্তরিতে আন, পর্ রে তোরা সবাই ত্যাগের রঙিন পিরহান্। মোদের যা কিছু প্রিয় বিলাব সবে নবীর উম্মত তবে সকলে কবে। কোরবানি দে তোরা, কোরবানি দে।।
হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে
বাণী
হেমন্তিকা এসো এসো হিমেল শীতল বন-তলে শুভ্র পূজারিণী বেশে কুন্দ-করবী-মালা গলে।। প্রভাত শিশির নীরে নাহি' এসো বলাকার তরণী বাহি' সারস মরাল সাথে গাহি' চরণ রাখি' শতদলে।। ভরা নদীর কূলে কূলে চাহিছে সচকিতা চখি — মানস-সরোবর হ'তে-অলক -লক্ষ্মী এলো কি? আমন ধানের ক্ষেতে জাগে হিল্লোল তব অনুরাগে, তব চরণের রঙ লাগে কুমুদে রাঙা কমলে।।
নবীন বসন্তের রানী তুমি
বাণী
পুরুষ : নবীন বসন্তের রানী তুমি গোলাব-ফুলী রঙ। স্ত্রী : তব অনুরাগের রঙে আমি উঠিয়াছি আজ রেঙে প্রিয় এই অপরূপ ঢঙ।। পুরুষ : পলাশ কৃষ্ণচূড়ার কলি রাঙা ও-পায়ে এলে কি দলি’? স্ত্রী : বেয়ে প্রেমের পথের গলি এলাম কঠোর হৃদয় দলি’, হের পায়ে তাহারি রঙ।। পুরুষ : হায়, হৃদয়-হীনা হৃদয়-সাথি হয় না তা জানি, অবুঝ হৃদয় তবু চাহে তায় জানে সে-পাষাণী। স্ত্রী : ধরিয়া পায়ে প্রেম জানায়ে যাও পালায়ে শেষে কাঁদায়ে কাঁদাই যতই, কাঁদি যে ততই; পুরুষ : বায়ু কেঁদে যায় ফুল ঝরায়ে। স্ত্রী : না, না, যাও যাও মন চেয়ো না গন্ধ লহ, ফুল চেয়ো না; আছে কাঁটা ফুলের সঙ্গ।। উভয়ে : যাই চল সেই কাননে নাই কাঁটা ফুলের সনে যথা নাই বিরহ, শুধু মিলন।।
জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ
বাণী
জানি আমার সাধনা নাই আছে তবু সাধ। তুমি আপনি এসে দেবে ধরা দূর-আকাশের চাঁদ।। চকোর নহি মেঘও নহি আপন ঘরে বন্দী রহি’ আমি শুধু মনকে কহি কাঁদ নিশি দিন কাঁদ।। কূল-ডুবানো জোয়ার কোথা পাব হে সুন্দর? হে চাঁদ আমি সাগর নহি পল্লী-সরোবর। নিশীথ রাতে আমার নীরে, প্রেমের কুমুদ ফোটে ধীরে, মোর ভীরু প্রেম যেতে নারে ছাপিয়ে লাজের বাঁধ।।