তুমি কেন এলে পথে
বাণী
তুমি কেন এলে পথে ঝরা মল্লিকা ভাসাইতেছিনু একাকিনী নদী-স্রোতে।। কলসি আমার অলস খেলায় ধীর তরঙ্গে যদি ভেসে' যায় তীরে সে কলসি তুলে' আনো তুমি কেন নদী' জল হ'তে।। আমার নিরালা বনে আমি গাঁথি হার, তুমি গান গাহি' ধ্যান ভাঙো অকারণে। আমি মুখ হেরি' আরশিতে একা তুমি সে মুকুরে কেন দাও দেখা বাতায়নে চাহি' তুমি কেন হাসো আসিয়া চাঁদের রথে।।
অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া
বাণী
অগ্নি-গিরি ঘুমন্ত উঠিল জাগিয়া। বহ্নি-রাগে দিগন্ত গেল রে রাঙিয়া॥ রুদ্র রোষে কি শঙ্কর উর্ধ্বের পানে লক্ষ-ফণা ভুজঙ্গ-বিদ্যুৎ হানে দীপ্ত তেজে অনন্ত-নাগের ঘুম ভাঙিয়া॥ লঙ্কা-দাহন হোমাগ্নি সাগ্নিক মন্ত্র যজ্ঞ-ধূম বেদ-ওঙ্কার ছাইল অনন্ত। খড়গ-পাণি শ্রীচন্ডী অরাজক মহীতে দৈত্য নিশুম্ভ-শুম্ভে এলো বুঝি দহিতে, বিশ্ব কাঁদে প্রেম-ভিক্ষু আনন্দ মাগিয়া॥
ঐ কাজল-কালো চোখ
বাণী
ঐ কাজল-কালো চোখ। আদি কবির আদি রসের যেন দু’টি শ্লোক।। দু’টি কুসুম আছে ফু’টে পুষ্প-লতার পত্র-পুটে, সেই আলোকে১ রেঙে উঠে — বনের গহন লোক।। রূপের সাগর সাঁত্রে বেড়ায় পান কৌড়ি পাখি ঐ কাজল-কালো আঁখি, মদির আঁখির নীল পেয়ালায় শরাব বিলাও নাকি, ওগো কাজল-কালো আঁখি। তোমার দু’টি আঁখি-তারা তারার মত তন্দ্রাহারা, আমার মুখে চেয়ে চেয়ে অশ্রু-সজল হোক।।
১. হাসিতে
এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো
বাণী
এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো হে রাসবিহারী কালা। মম নয়নের পাতে রাখিয়াছি গেঁথে অশ্রু-যূথীর মালা।। আমি ত্যাজিয়াছি কবে লাজ-মান-কুল বহি’ কলঙ্ক এসেছি গোকুল, আমি ভুলিয়াছি ঘর শ্যাম নটবর কর মোরে গোপবালা।। আমার কাঁদন-যমুনার নদী শ্যাম হে ভাঁটি টানে শুধু বহে নিরবধি, তারে বাঁশরির তানে বহাও উজানে ভোলাও বিরহ-জ্বালা।।
সুন্দর অতিথি এসো এসো কুসুম-ঝরা বনপথে
বাণী
সুন্দর অতিথি এসো, এসো, কুসুম-ঝরা বনপথে, তোমার আশায় মুকুলগুলি চেয়ে আছে প্রভাত হ'তে।। তোমার আসার অনুরাগে পাতায় পাতায় শিহর লাগে কণ্ঠে কুহুর কুজন জাগে ভাসলো আকাশ আলোর স্রোতে।। চলতে যদি বেদনা পায় তব কোমল চরণ-কমল বন-বীথিকার পথ-ধূলি ঝরা পল্লব পাপড়ি-দল। পেয়ে আজি আসার আভাস উতল হ'ল মন্দ বাতাস চেয়ে আছে উদাসী আকাশ আসবে কবে সোনার রথে।।