বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন
বাণী
বেদনার বেদীতলে পেতেছি আসন, হে দেবতা! সেথা আর কেহ নাই আমরা দু’জন, কহিব কথা।। বাহির ভুবনে তব কত পূজারি সেথায় মনের কথা কহিতে নারি, তাই হৃদয় দেউলে রেখে’ দিয়েছি আগল — সেথা তোমার চরণ-তলে জানাব গোপন প্রাণের ব্যথা।। পূজা-মন্দির হ’তে এসে চুপে চুপে হে দেবতা! সাজায়েছি প্রিয় রূপে! সবার সমুখে তাই মালা দিতে লাজ পাই — প্রেমের বাসর ঘরে পরাব বরণ-মালা, হব প্রণতা।।
ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল
বাণী
ওগো ফুলের মতন ফুল্ল মুখে দেখছি একি ভুল। হাসির বদল দোলে সেথায় অশ্রুকণার দুল।। রোদের দাহে বালুচরে মরা নদী কেঁদে মরে গাইতে এসে কাঁদছে ব'সে বাণ-বেঁধা বুলবুল।। ভোর-গগনে পূর্ণ চাঁদের এমনি মলিন মুখ, ঝড়ের কোলে এমনি দোলে প্রদীপ-শিখার বুক। ম্লান-মাধুরী মালার ফুলে এমনি নীরব কান্না দোলে, করুণ তুমি নির্জনের দেবীর সমতুল।।
ও বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল
বাণী
ও বৌদি তোর কি হয়েছে চোখে কেন জল দাদার তরে মন বুঝি তোর হয়েছে উতল।। তোর দিব্যি দেখেছি স্বপনে যেন দাদা কথা কইতেছে তোর সনে দেখিস তোরা আমার স্বপন হবে না বিফল।। তোর কান্নার সাগরে যখন উঠেছে জোয়ার বৌদি লো তোর চাঁদ উঠিবার নাই রে দেরি আর। ও বৌদি তোর চোখের জলের টানে আমার দাদার সোনার তরী আসতেছে উজানে দেখ বাটনা ফেলে হাসছে দিদি চল ও ঘরে চল।।
ভারত শ্মশান হ’ল মা তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে
বাণী
ভারত শ্মশান হ’ল মা, তুই শ্মশানবাসিনী ব’লে। জীবন্ত-শব নিত্য মোরা, চিতাগ্নিতে মরি জ্ব’লে।। আজ হিমালয় হিমে ভরা, দারিদ্র্য-শোক-ব্যাধি-জরা, নাই যৌবন, যেদিন হতে শক্তিময়ী গেছিস্ চ’লে।। (মা) ছিন্নমস্তা হয়েছিস্ তাই হানাহানি হয় ভারতে, নিত্য-আনন্দিনী, কেন টানিস্ নিরানন্দ পথে? শিব-সীমন্তিনী বেশে খেল্ মা আবার হেসে হেসে, ভারত মহাভারত হবে, আয় মা ফিরে মায়ের কোলে।।
হায় গো ভালোবেসে অবশেষে
বাণী
(হায় গো) ভালোবেসে অবশেষে কেঁদে দিন গেল। ফুল-শয্যা বাসি হল, বঁধূ না এলো।। শুকাইল পানের খিলি বাঁটাতে ভরা, এ পান আমি কারে দিব সে বঁধূ ছাড়া। (হায় গো) নীলাম্বরী শাড়ি ছি ছি পরলেম মিছে লো।। এবার ধ’রে দিস্ যদি তায় রাখ্ব বেঁধে বিনোদ খোঁপায়, কাঙালে পাইলে রতন রাখে যেমন লো।। সোঁদা-মাখা নিস্নে কেশে, গন্ধে যে লো তার মনে আনে চন্দন-গন্ধ সোনার বঁধূয়ার। এত দুঃখ ছিল আমার এই বয়সে লো।।
বাউল