নয়ন মুদিল কুমুদিনী হায়
বাণী
নয়ন মুদিল কুমুদিনী হায়! তাহার ধ্যানের চাঁদ ডুবে যায়।। ভরিল সরসী তা’রি আঁখি-জলে ঢলিয়া পড়িল পল্লব-তলে, অকরুণ নিষাদের তীর সম অরুণ-কিরণ বেঁধে এসে গায়।। কপোলের শিশির অভিমানে শুকালো, পাপড়ির আড়ালে পরাগ লুকাল। সরসীর জলে পড়ে আকাশের ছায়া নাই সেথা তারা-দল, চাঁদের মায়া, জলে ডুবে মেটে না প্রাণের তৃষা হৃদয়ের মধু তার হৃদয়ে শুকায়।।
ও মন চল অকুল পানে
বাণী
ও মন চল অকুল পানে, মাতি হরিপ্রেম-গুণগানে। নদী যেমন ধায় অকূলে কূল যত তায় টানে।। তুই কোন্ পাহাড়ে ঠেক্লি এসে কোন্ পাথারের জল হরির প্রেমে গ’লে এবার সেই অসীমে চল্, তুই স্রোতের বেগে দুল্বি রে কূল-বাধা যদি হানে।। এ পারের সব যাত্রী যাবে তোর বুকে ওপারে তোর কূলে শ্যাম বাজিয়ে বাঁশি আস্বে অভিসারে, শ্যামের ছবি ধর্বি বুকে মাত্বি প্রেম-তুফানে।।
অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে
বাণী
অঞ্জলি লহ মোর সঙ্গীতে। প্রদীপ-শিখা সম কাঁপিছে প্রাণ মম তোমায়, হে সুন্দর, বন্দিতে! সঙ্গীতে সঙ্গীতে।। তোমার দেবালয়ে কি সুখে কি জানি দু’লে দু’লে ওঠে আমার দেহখানি আরতি –নৃত্যের ভঙ্গীতে। সঙ্গীতে সঙ্গীতে।। পুলকে বিকশিল প্রেমের শতদল গন্ধে রূপে রসে টলিছে টলমল। তোমার মুখে চাহি আমার বাণী যত লুটাইয়া পড়ে ঝরা ফুলের মত তোমার পদতল রঞ্জিতে। সঙ্গীতে সঙ্গীতে।।
দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী
বাণী
দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী। শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে শ্মশান মাঝে শিব-দুলালী॥ আজ শান্ত সিন্ধু তীরে অশান্ত ঝড় থেমেছে রে, মা’র কালো রূপ উপ্চে পড়ে ছাপিয়ে ভুবন গগন-ডালি॥ আজ অভয়ার ওষ্ঠে জাগে শুভ্র করুণ শান্ত হাসি, আনন্দে তাই বসন ফেলি’ মহেন্দ্র ঐ বাজায়-বাঁশি, ঘুমিয়ে আছে বিশ্ব ভুবন মায়ের কোলে শিশুর মতন, পায়ের লোভে মনের বনে ফুল ফুটেছে পাঁচমিশালি॥
হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা
বাণী
কৃষ্ণ : হের আহিরিণী মানস-গঙ্গা দুকূল পাথার। রাধা : হরি ভয়ে মরি একা নারী কিসে হব পার।। কৃষ্ণ : পারের কাণ্ডারি আমি প্যারী এসো আমার নায়। রাধা : ওগো একেলা গোপের কুলবধু আমি, তুমিও তরুণ মাঝি তায়।। কৃষ্ণ : যৌবন ভার ভারি পসার রাধে! তবু নাহি ভয়। রাধা : ওইটুকু তরী, ভয়ে মরি হরি, ভার যদি নাহি সয়। উভয়ে : হের মানস-গঙ্গায় উঠিয়াছে ঢেউ ঝড় বহে অনিবার।। রাধা : নাই পারের কড়ি পারে যাব কি করি, কৃষ্ণ : দিয়ে মন বাঁধা পারে চল কিশোরী। উভয়ে : মোরা ভেসেছি অকূলে প্রেমের গোকুলে কুলের ভয় কি আর।।