রাগ-প্রধান

  • অবিরত বাদর বরষিছে ঝরঝর

    বাণী

    অবিরত বাদর বরষিছে ঝরঝর
    বহিছে তরলতর পূবালি পবন।
    	বিজুরী-জ্বালার মালা
    	পরিয়া কে মেঘবালা
    কাঁদিছে আমারি মত বিষাদ-মগন।।
    ভীরু এ মন-মৃগ আলয় খুঁজিয়া ফিরে,
    জড়ায়ে ধরিছে লতা সভয়ে বনস্পতিরে,
    গগনে মেলিয়া শাখা কাঁদে বন-উপবন।।
    

    চলচ্চিত্রঃ ‌‘ধ্রুব’

  • আজি নন্দলাল মুখচন্দ নেহারি

    বাণী

    আজি নন্দলাল মুখচন্দ নেহারি
    অধীর আনন্দে অন্তর কাঁপে ঝরে প্রেমবারি॥
    বকুল-বন হরষে ফলদল বরষে
    গাহে রাধা শ্যাম নাম হরি-চরণ হেরি শুকসারি॥
    
  • আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া

    বাণী

    আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া।
    চম্পা কুঞ্জে আজো গুঞ্জে ভ্রমরা, কুহরিছে পাপিয়া।।
    প্রেম-কুসুম শুকাইয়া গেল হায়,
    প্রাণ-প্রদীপ মোর হের গো নিভে যায়,
    বিরহী এসো ফিরিয়া।।
    তোমারি পথ চাহি হে প্রিয় নিশিদিন
    মালার ফুল মোর ধূলায় হ’ল মলিন
    জনম গেল ঝুরিয়া।।
    
  • একেলা গোরী জল্‌কে চলে গঙ্গাতীর

    বাণী

    একেলা গোরী জল্‌কে চলে গঙ্গাতীর
    অঙ্গে ঢুলিয়া পড়ে লালসে অলস সমীর।।
    কাঁকনে কলসে বাজে
    কত কথা পথ মাঝে
    		আঁচল চুমিছে শিশির।।
    তটিনীতে চলে কি গো
    সোনার বরণ মায়া-মৃগ
    		নয়নে আবেশ মদির।।
    

  • এসো প্রিয় আরো কাছে

    বাণী

    এস প্রিয় আরো কাছে
    পাইতে হৃদয়ে এ বিরহী মন যাচে।।
    দেখাও প্রিয় ঘন
    ও রূপ মোহন
    যে রূপে প্রেমাবেশে পরান নাচে।।
    
  • কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে

    বাণী

    কেন মেঘের ছায়া আজি চাঁদের চোখে?
    মোর বুকে মুখ রাখি ঝড়ের পাখি সম কাঁদে ওকে?
    গভীর নিশীথের কন্ঠ জড়ায়ে
    শ্রান্ত কেশভার গগনে ছড়ায়ে,
    হারানো প্রিয়া মোর এলো কি লুকায়ে
    		আমার একা ঘরে ম্লান আলোকে॥
    গঙ্গায় তারি চিতা নিভেছে কবে,
    মোর বুকে সেই চিতা আজো জ্বলে নীরবে;
    স্মৃতির চিতা তার নিভিবে না বুঝি আর
    		কোন সে জনমে কোন সে লোকে॥
    
  • জয় বিগলিত করূণা রূপিণী গঙ্গে

    বাণী

    জয় বিগলিত করূণা রূপিণী গঙ্গে
    জয় কলুষহারিণী পতিতপাবনী
    নিত্যা পবিত্রা যোগী-ঋষি সঙ্গে॥
    হরি শ্রীচরণ ছুঁয়ে আপন-হারা,
    পরম প্রেমে হ’লে দ্রবীভূত ধারা;
    ত্রিলোকের ত্রিতাপ পাপ তুমি নিলে মা,
    নির্মলে, তোমার পবিত্র অঙ্গে॥
    
  • ঝরে বারি গগনে ঝুরু ঝুরু

    বাণী

    ঝরে বারি গগনে ঝুরু ঝুরু।
    জাগি একা ভয়ে নিদ্‌ নাহি আসে,
    ভীরু হিয়া কাঁপে দুরু দুরু।।
    দামিনী ঝলকে, ঝনকে ঘোর পবন
    ঝরে ঝর ঝর নীল ঘন।
    রহি’ রহি’ দূরে কে যেন কৃষ্ণা মেয়ে
    মেঘ পানে ঘন হানে ভুরু।।
    অতল তিমিরে বাদলের বায়ে
    জীর্ণ কুটীরে জাগি দীপ নিভায়ে,
    দূরে দেয়া ডাকে গুরু গুরু।।
    
  • দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা

    বাণী

    দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা।
    মধু-মাধবী সুরে চৈত্র-পূর্ণিমা রাতে, বাজো বেণুকা।।
    বাজো		শীর্ণা-স্রোত নদী-তীরে
    		ঘুম যবে নামে বন ঘিরে’
    যবে		ঝরে এলোমেলো বায়ে ধীরে ফুল-রেণুকা।।
    		মধু মালতী-বেলা-বনে ঘনাও নেশা
    		স্বপন আনো জাগরণে মদিরা মেশা।
    			মন যবে রহে না ঘরে
    			বিরহ-লোকে সে বিহরে
    		যবে নিরাশার বালুচরে ওড়ে বালুকা।।
    
  • পিউ পিউ পিউ বোলে পাপিয়া

    বাণী

    পিউ পিউ পিউ বোলে পাপিয়া
    বুকে তারি পিয়ারে চাপিয়া।।
    বাতাবি নেবুর ফুলেলা কুঞ্জে
    মাতাল সমীরণ প্রলাপ গুঞ্জে
    ফুলের মহলায় চাঁদিনী শিহরায়
    নদীকূলে ঢেউ ওঠে ছাপিয়া।।
    এমনি নেবু ফুল এমনি মধুরাতে
    পরাতো বঁধু মোর বিনোদ খোঁপাতে,
    বাতায়নে পাখি করিত ডাকাডাকি
    মনে পড়ে তায় উঠি কাঁপিয়া।।
    
  • প্রথম প্রদীপ জ্বালো মম ভবনে হে আয়ুষ্মতী

    বাণী

    প্রথম প্রদীপ জ্বালো মম ভবনে হে আয়ুষ্মতী
    আঁধার ঘিরে' আশার আলো আনুক তোমার গৃহের জ্যোতি।।
    	হেরিয়া তোমার আঁখির আলোক
    	বিষদিত সাঁঝ পুলকিত হোক,
    যেন দূরে যায় সব দুখ শোক, তব শঙ্খরব শুনি', হে সতী।।
    	কাঁকন পরা তব শুভ কর
    	মুখর করুক এ নীরব ঘর
    এ গৃহে আনুক বিধাতার বর তোমার মধুর প্রেম-আরতি।।
    
  • ফিরে নাহি এলে প্রিয় ফিরে এলো বরষা

    বাণী

    ফিরে নাহি এলে প্রিয় ফিরে এলো বরষা।
    মুঞ্জরিল বনে বিরহিণী লতিকা —
    আমারি আশালতা হ'লো না গো সরসা।।
    
  • ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি

    বাণী

    ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি?
    ভোরের হাওয়ায় কান্না পাওয়ায় তব ম্লান ছবি
    		নীরব কেন কবি।।
    যে বীণা তোমার কোলের কাছে
    বুক-ভরা সুর ল’য়ে জাগিয়া আছে,
    তোমার পরশে ছড়াক্‌ হরষে
    আকাশে-বাতাসে তা’র সুরের সুরভি
    		নীরব কেন কবি।।
    তোমার যে প্রিয়া গেল বিদায় নিয়া অভিমানে রাতে —
    গোলাপ হয়ে কাঁদে তাহারই কামনা উদাস-প্রাতে।
    ফিরে যে আসিবে না ভোলো তাহারে
    চাহ তাহার পানে দাঁড়ায়ে যে দ্বারে,
    অস্ত-চাঁদের বাসনা ভুলাতে
    অরুণ-অনুরাগে উদিল রবি
    		নীরব কেন কবি।।
    
  • ব’লো না ব’লো না ওলো সই

    বাণী

    ব’লো না ব’লো না ওলো সই
    		আর সে কথা।।
    তরু কি লতার কাছে
    এসে কভু প্রেম যাচে
    তরু বিনা নাহি বাঁচে
    		অসহায় লতা।।
    ভুলিতে যার নাই তুলনা
    সখি তার কথা তুলো না
    প্রাণহীন পাষাণে গড়া
    		সে যে দেবতা।।
    
  • ভোরে ঝিলের জলে শালুক-পদ্ম

    বাণী

    ভোরে ঝিলের জলে শালুক-পদ্ম তোলে কে
    		ভ্রমর-কুন্তলা কিশোরী
    ফুল দেখে বেভুল সিনান বিসরি’।।
    একি নূতন লীলা আঁখিতে দেখি ভুল
    কমল ফুল যেন তোলে কমল ফুল
    ভাসায়ে আকাশ-গাঙে অরুণ-গাগরি।।
    ঝিলের নিথর জলে আবেশে ঢল ঢল
    গ’লে পড়ে শত সে তরঙ্গে,
    শারদ-আকাশে দলে দলে আসে
    মেঘ, বলাকার খেলিতে সঙ্গে।
    আলোক-মঞ্জরি প্রভাত বেলা
    বিকশি’ জলে কি গো করিছে খেলা
    বুকের আঁচলে ফুল উঠিছে শিহরি’।।
    
  • মেঘে মেঘে অন্ধ অসীম আকাশ

    বাণী

    মেঘে মেঘে অন্ধ অসীম আকাশ।
    আমারি মত কাঁদে দিশাহারা
    নয়ন পুতলি চাঁদে হারায়ে
    হারায়ে তারি নয়ন তারা।।
    আমার ভুবন আঁধারে ভরিয়া
    নয়ন মণি মোর কে নিল হরিয়া
    প্রিয় নাম ধরে তারে খুঁজি দিকে দিকে
    শূন্য গগনে শুধু ঝরে বারি ধারা।।
    হে আলোর রাজা বল বল মোরে
    মোর আঁখি পুতলি কেন নিলে হ’রে
    তব উৎসব সভা হ’তো না কি উজল
    আমার আঁখির আলো ছাড়া।।
    

  • যাহা কিছু মম আছে প্রিয়তম

    বাণী

    যাহা কিছু মম আছে প্রিয়তম সকলি নিয়ো হে স্বামী
    যত সাধ আশা প্রীতি ভালোবাসা সঁপিনু চরণে আমি॥
    	ধ’রে যা’রে রাখি আমার বলিয়া
    	সহসা কাঁদায়ে যায় সে চলিয়া
    অনিমেষ, আঁখি তুমি ধ্রুবতারা জাগো দিবসযামী॥
    	মায়ারি ছলনায় পুতুল খেলায়
    	ভুলাইয়া প্রভু রেখেছিলে আমায়
    ভুলেছি সে খেলা আজি অবেলায় তোমারই দুয়ারে থামি॥
    
  • রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে

    বাণী

    রিনিকি ঝিনিকি ঝিনিরিনি রিনি ঝিনিঝিনি বাজে পায়েলা বাজে
    নওল কিশোরী ধায় অভিসারে ভবন তেয়াগি' বন-মাঝে।।
    	বারণ করে তায়
    	লতিকা ধরি' পায়
    ভাব-বিলাসিনী না মানে গুরুজন-ভয় লাজে।।
    আবেশ বিহ্বল এলোমেলো কুন্তল ছায়া-নটিনী চলে
    মধুকর গুঞ্জে মাধবী কুঞ্জে কুসুম দীপালি জ্বলে।
    	সে রূপ হেরি' হায়
    	মুরলী থামিয়া যায়
    পথ-ভোলা শশী কাননে এলো যেন রাধা-সাজে।।
    

  • শূণ্য এ বুকে পাখি মোর আয়

    বাণী

    শূন্য এ–বুকে পাখি মোর আয় ফিরে আয় ফিরে আয়!
    তোরে না হেরিয়া সকালের ফুল অকালে ঝরিয়া যায়।।
    		তুই নাই ব’লে ওরে উন্মাদ
    		পান্ডুর হ’ল আকাশের চাঁদ,
    কেঁদে নদী–জল করুণ বিষাদ ডাকে: ‘আয় ফিরে আয়’।।
    		গগনে মেলিয়া শত শত কর
    		খোঁজে তোরে তরু, ওরে সুন্দর!
    তোর তরে বনে উঠিয়াছে ঝড় লুটায় লতা ধূলায়!
    		তুই ফিরে এলে, ওরে চঞ্চল
    		আবার ফুটিবে বন ফুল–দল
    ধূসর আকাশ হইবে সুনীল তোর চোখের চাওয়ায়।।
    
  • সন্ধ্যা-গোধূলি লগনে কে

    বাণী

    সন্ধ্যা–গোধূলি লগনে কে
    রাঙিয়া উঠিলে কারে দেখে।।
    হাতের আলতা পড়ে গেল পায়ে
    অস্ত–দিগন্ত বনান্ত রাঙায়ে,
    আঁখিতে লজ্জা, অধরে হাসি —
    কেন অঞ্চলে মালা ফেলিলে ঢেকে।।
    চিরুনি বিনোদ বিনুনীতে বাঁধে
    দেখিলে সে কোন সুন্দর চাঁদে,
    হৃদয়ে ভীরু প্রদীপ শিখা
    কাঁপে আনন্দে থেকে থেকে।।