পিলু-খাম্বাজ

  • আজ নিশীথে অভিসার তোমারি পথে প্রিয়তম

    বাণী

    		আজ নিশীথে অভিসার তোমারি পথে প্রিয়তম।
    		বনের পারে নিরালায় দিও হে দেখা নিরুপম।।
    		সুদূর নদীর ধারে নিরালাতে বালুচরে
    		চখার তরে যথা একা চখি কেঁদে মরে
    		সেথা সহসা আসিও গোপন প্রিয় স্বপন সম।।
    		তোমারি আশায় ঘুরি শত গ্রহে শত লোকে,
    (ওগো) 	আমারি বিরহ জাগে বিরহী চাঁদের চোখে,
    		আকুল পাথার নিরাশার পারায়ে এসো প্রাণে মম।।
    
  • আজি গানে গানে ঢাক্‌ব আমার

    বাণী

    আজি		গানে গানে ঢাক্‌ব আমার গভীর অভিমান।
    		কাঁটার ঘায়ে কুসুম ক’রে ফোটাব মোর প্রাণ।।
    			ভুলতে তোমার অবহেলা
    			গান গেয়ে মোর কাট্‌বে বেলা,
    		আঘাত যত হান্‌বে বীণায় উঠ্‌বে তত তান।।
    			ছিড়লে যে ফুল মনের ভুলে
    			আমি গাঁথব মালা সেই ফুলে,
    (ওগো)		আস্‌বে যখন বন্ধু তোমার কর্‌ব তা’রে দান।।
    (আজি)		কথায় কথায় মিলায়ে মিল
    		কবি রে, তোর ভরল কি দিল্‌,
    তোর		শূন্য হিয়া, শূন্য নিখিল মিল পেল না প্রাণ।।
    
  • আজি মনে মনে লাগে হোরী

    বাণী

    আজি মনে মনে লাগে হোরি
    আজি বনে বনে জাগে হোরি।।
    ঝাঁঝর করতাল খরতালে বাজে
    বাজে কঙ্কন চুড়ি মৃদুল আওয়াজে
    লচকিয়া আসে মুচকিয়া হাসে
    প্রেম-উল্লাসে শ্যামল গোরী।।
    কদম্ব তমাল রঙে লালে লাল
    লাল হলো কৃষ্ঞ ভ্রমর ভ্রমরী
    রঙের উজান চলে কালো যমুনা-জলে
    আবির রাঙা হলো ময়ূর-ময়ূরী।।
    মোর হৃদি-বৃন্দাবন যেন রাঙে
    রাধা শ্যাম-যুগল চরণ-রাগে
    ও চরণ-ধূলি যেন ফাগ হ’য়ে নিশিদিন
    অন্তরে পড়ে মোর ঝরি’।।
    
  • আহ্‌মদের ঐ মিমের পর্দা উঠিয়ে দেখ্ মন

    বাণী

    আহ্‌মদের ঐ মিমের পর্দা উঠিয়ে দেখ্ মন।
    (আহা) আহাদ সেথা বিরাজ করেন হেরে গুণীজন।।
    যে চিন্‌তে পারে রয় না ঘরে হয় সে উদাসী,
    সে সকল ত্যজে ভজে শুধু নবীজীর চরণ।।
    ঐ রূপ দেখে পাগল হ’ল মনসুর হল্লাজ,
    সে ‌‘আনল্ হক্‌’ ‌‘আনল্ হক্‌’ ব’লে ত্যজিল জীবন।।
    তুই খোদ্‌কে যদি চিন্‌তে পারিস্‌ চিন্‌বি খোদাকে,
    তুই দেখ্‌রে তাই তোরই চোখে সেই নূরী রওশন।।
    

  • কেমনে কহি প্রিয় কি ব্যথা প্রাণে বাজে

    বাণী

    কেমনে কহি প্রিয় কি ব্যথা প্রাণে বাজে
    কহিতে গিয়ে কেন ফিরিয়া আসি লাজে।।
    	শরমে মরমে ম'রে
    	গেল বনফুল ঝ'রে
    ভীরু মোর ভালোবাসা শুকালো মনের মাঝে।।
    	আজিকে ঝরার আগে,
    	নিলাজ অনুরাগে
    ধরিতে যে সাধ জাগে হৃদয়ে হৃদয় রাজে।।
    
  • জোছনা-হসিত মাধবী নিশি

    বাণী

    জোছনা-হসিত মাধবী নিশি আজ।
    পর পর প্রিয়া বাসন্তি-রাঙা সাজ।।
    রাঙা কমল-কলি দিও কর্ণ-মূলে
    পর সোনালি চেলি নব সোনাল্ ফুলে,
    স্বর্ণলতার প’র সাতনরী-হার আজি উৎসব-রাত,
    		রাখ রাখ গৃহ-কাজ।।
    পর কবরী-মূলে নব আমের মুকুল
    হাতে কাঁকন পর গেঁথে অতসীর ফুল,
    দূরে গাহুক ডাহুক পাখি সখি, মুখর নিলাজ।।
    
  • তুমি নন্দন-পথ ভোলা

    বাণী

    তুমি নন্দন-পথ ভোলা।।
    তুমি মন্দাকিনী-ধারা উতরোলা।।
    তোমার প্রাণের পরশ লেগে
    কুঁড়ির বুকে মধু উঠ্‌ল জেগে,
    দোলন-চাঁপায় লাগে দোলা।।
    তোমারে হেরিয়া পুলকে ওঠে ডাকি’
    বকুল বনের ঘুমহারা পাখি,
    ধরার চাঁদ তুমি চির-উতলা।।
    
  • তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না

    বাণী

    তোমা বিনা মাধব রহিতে পারি না আর।
    বায়ু বিনা যেমন বাঁচে না জীবন তেমনি আপন তুমি যে আমার॥
    	মেঘ বিনা চাতকিনী মরে যায়,
    	জল বিনা যেমন শতদল ঝরে যায়,
    তিল্ তিল্ করি মরিতেছি আমি যে তেমনি বিরহে তোমার॥
    তুমি ছাড়া প্রীতম্ মনে হয় কেহ মোর নাহি এ নিখিলে;
    নিভে গেছে রবি-শশী, ডুবে গেছে পৃথিবী প্রলয়-সলিলে।
    আর সকলের, তুমি প্রভু, ধ্রুব-জ্যোতি;
    			কৃষ্ণ নয়ন-তারা তুমি যে মীরার॥
    
  • বল সখি বল ওরে স'রে যেতে বল

    বাণী

    বল সখি বল ওরে স'রে যেতে বল।
    মোর মুখে কেন চায় আঁখি-ছলছল,
    	ওরে স'রে যেতে বল।।
    পথে যেতে কাঁপে গা শরমে জড়ায় পা,
    মনে হয় সারা পথ হয়েছে পিছল
    	ওরে স'রে যেতে বল।।
    জল নিতে গিয়ে সই ওর চোখে চেয়ে রই
    সান-বাঁধা ঘাট যেন কাঁপে টলমল
    	ওরে স'রে যেতে বল।।
    প্রথম বিরহ মোর
    চায় কি ও চিত-চোর;
    চাঁদিনী চৈতী রাতে আনে সে বাদল
    	স'রে যেতে বল
    	ওরে স'রে যেতে বল।।
    

  • বেসুর বীণায় ব্যথার সুরে

    বাণী

    বেসুর বীণায়	ব্যথার সুরে বাঁধ্‌ব গো
    পাষাণ-বুকে	নিঝর হয়ে কাঁদব গো।।
    কুলের কাঁটায়	স্বর্ণলতার দুল্‌ব হার,
    ফণীর ডেরায়	কেয়ার কানন ফাঁদ্‌ব গো।।
    ব্যাধের হাতে	শুনব সাধের বঙশী-সুর,
    আস্‌লে মরণ	চরণ ধ’রে সাধব গো।।
    
  • মৃদুল মন্দে মঞ্জুল ছন্দে

    বাণী

    মৃদুল মন্দে			মঞ্জুল ছন্দে
    মরাল মদালস			নাচে আনন্দে।।
    তরঙ্গ হিন্দোলে		শতদল দোলে
    শিশু অরুণে জাগায়		অমা-যামিনীর কোলে
    শুষ্ক কানন ভরে		বকুল গন্ধে।।
    নন্দন-উপহার			ধরণীর ক’রে
    শুভ্র পাখায় শুভ		আশিস ঝরে।
    মিলন, বসন্তের		দূত আগমনী
    কণ্ঠে সুমঙ্গল			শঙ্খের ধ্বনি
    কুহু কেকা গাহে		মধুর ছন্দে।।
    

    নাটকঃ ‘সাবিত্রী’

  • শহীদী ঈদগাহে দেখ্‌ আজ জমায়েত ভারি

    বাণী

    শহীদী ঈদগাহে দেখ্‌ আজ জমায়েত ভারি।
    হবে দুনিয়াতে আবার ইসলামী ফর্‌মান জারি।।
    তুরান ইরান হেজাজ মেসের হিন্দ মোরক্কো ইরাক,
    হাতে হাত মিলিয়ে আজ দাঁড়ায়েছে সারি সারি।।
    ছিল বেহোঁশ যারা আঁসু ও আফসোস ল’য়ে।
    তুইও আয় এই জমাতে ভুলে যা’ দুনিয়াদারী।।
    ছিল জিন্দানে যারা আজকে তারা জিন্দা হ’য়ে,
    ছোটে ময়দানে দারাজ-দিল্‌ আজি শমশের ল’য়ে।
    তকদির বদলেছে আজ উঠেছে তকবির তারি।।
    
  • শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি

    বাণী

    শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি কি হয় গো।
    শ্যাম প্রেমে বাধা দেয় স্বামী তারে কয় গো।।
    নয় নদী মিলে হয় ননদিনী দজ্জাল,
    জুতো জামা-ই সার যার-জামাই সে মহাকাল,
    যার কসুর হয় না সে কে? — শ্বশুর মহাশয় গো।।
    (সে) ভাদ্দর-বউ, (যার) ভাদ্দর মাসে বিয়ে,
    দেবর সে জন — বর যে দেয় দাদারে দিয়ে।
    ভাসুর সে, অসুরের মত যারে ভয় গো।।
    বেহায়া চশম-খোর, তারে কি বেহাই কই,
    পিসিয়া মারেন বলে তারে (তাই) কি পিসি কই,
    সকলেরই ভাগ নেয় সে, ভাগ্‌নেরই জয় গো।।