জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা
বাণী
জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা। জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্ত-টিকা।। দিকে দিকে মেলি’ তব লেলিহান রসনা, নেচে চল উন্মাদিনী দিগ্বসনা, জাগো হতভাগিনী ধর্ষিতা নাগিনী, বিশ্ব-দাহন তেজে জাগো দাহিকা।। ধূ ধূ জ্ব’লে ওঠ ধূমায়িত অগ্নি, জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নী! পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা, মেঘে আনো বালা বজ্রের জ্বালা চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা।।
বরষ গেল আশ্বিন এলো উমা এলো কই
বাণী
বরষ গেল, আশ্বিন এলো, উমা এলো কই শূন্য ঘরে কেমন করে পরান বেঁধে রই।। ও গিরিরাজ! সবার মেয়ে মায়ের কোলে এলো ধেয়ে, আমারই ঘর রইল আঁধার, আমি কি মা নই? নাই শাশুড়ি ননদ উমার, আদর করার নাই (কেহ) মা অনাদরে কালী সেজে বেড়ায় নাকি তাই। মোর গৌরী বড় অভিমানী, সে বুঝবে না মার প্রাণ-পোড়ানী; আনতে তারে সাধতে হবে তার যে স্বভাব ঐ।।
আমি জানি তব মন বুঝি তব ভাষা
বাণী
আমি জানি তব মন বুঝি তব ভাষা তব কঠিন হিয়ার তলে জাগে কি গভীর ভালোবাসা।। ওগো উদাসীন! আমি জানি তব ব্যথা আহত পাখির বুকে বাণ বিধেঁ কোথা কোন অভিমান ভুলিয়াছ তুমি ভালোবাসিবার আশা।। তুমি কেন হানো অবহেলা অকারন আপনাকে, প্রিয় যে হৃদয়ে বিষ থাকে সে হৃদয়ে অমৃত থাকে। তব যে বুকে জাগে প্রলয় ঝড়ের জ্বালা আমি দেখেছি যে সেথা সজল মেঘের মালা ওগো ক্ষুধাতুর আমারে আহুতি দিলে মিটিবে কি তব পরানের পিপাসা।।