কে তুমি দূরের সাথি
বাণী
কে তুমি দূরের সাথি এলে ফুল ঝরার বেলায়। বিদায়ের বংশী বাজে ভাঙা মোর প্রাণের মেলায়॥ গোধূলির মায়ায় ভুলে এলে হায় সন্ধ্যা-কূলে, দীপহীন মোর দেউলে এলে কোন্ আলোর খেলায়॥ সেদিনো প্রভাতে মোর বেজেছে আশাবরি, পূরবীর কান্না শুনি আজি মোর শূন্য ভরি। অবেলায় কুঞ্জবীথি এলে মোর শেষ অতিথি, ঝরা ফুল শেষের গীতি দিনু দান তোমার গলায়॥
গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল
বাণী
গিরিধারী লাল কৃষ্ণ গোপাল যুগে যুগে হ’য়ো প্রিয় জনমে জনমে বঁধু তব প্রেমে আমারে ঝুরিতে দিও॥ তুমি চির চঞ্চল চির পলাতকা প্রেমে বাঁধা প’ড়ে হ’য়ো মোর সখা মোর জাতি কুল মান তনু মন প্রাণ হে কিশোর হ’রে নিও॥ রাধিকার সম কুব্জার সম রুক্সিণী সম মোরে গোকুল মথুরা দ্বারকায় নাথ রেখো তব সাথী করে। গোপনে চেয়ো সব শত গোপীকায় চন্দ্রাবলী ও সত্যভামায় তেমনি হে নাথ চাহিও আমায় লুকায়ে ভালেবাসিও॥
দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী
বাণী
দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী। শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে শ্মশান মাঝে শিব-দুলালী॥ আজ শান্ত সিন্ধু তীরে অশান্ত ঝড় থেমেছে রে, মা’র কালো রূপ উপ্চে পড়ে ছাপিয়ে ভুবন গগন-ডালি॥ আজ অভয়ার ওষ্ঠে জাগে শুভ্র করুণ শান্ত হাসি, আনন্দে তাই বসন ফেলি’ মহেন্দ্র ঐ বাজায়-বাঁশি, ঘুমিয়ে আছে বিশ্ব ভুবন মায়ের কোলে শিশুর মতন, পায়ের লোভে মনের বনে ফুল ফুটেছে পাঁচমিশালি॥
সখি বল কোন দেশে যাই
বাণী
সখি বল কোন দেশে যাই। সে বৃন্দা আছে সে বন আছে তবু সে বৃন্দাবন নাই — গোবিন্দ বিনে লো বৃন্দে (বৃন্দে গো) রাধার বৃন্দাবন হয়েছে আঁধার। বনে সীতার ছিল যে রাম, মোর বনে নাই ঘনশ্যাম। আমি কি লয়ে থাকি, কেন দেহ রাখি। পিঞ্জর আছে প'ড়ে, নাই শ্যাম পাখি, আর ময়ূর ডাকে না 'কে গো' বলিয়া। পাপিয়া ডাকে না পিয়া। কৃষ্ণপ্রিয়া গো 'প্রিয়া প্রিয়া' বলে পাপিয়া ডাকে না পিয়া। পথে পথে আর রহে না গো ব্রজগোপিনী আড়ি পাতিয়া। আজি রাধার সাথে সবার আড়ি, কৃষ্ণপ্রিয়ার কৃষ্ণ গেছে ছাড়ি' তাই রাধার সাথে সবার আড়ি, সখি গো — শুকায়ে গিয়াছে দ্বাদশ কুঞ্জ, পূর্ণ চাঁদেরই ব্রজে একাদশীর তিথি, হয়ত আবার বাজিবে বেণু তার, রবে না ব্রজে যবে রাধার স্মৃতি।।