বাণী
আমি রবি-ফুলের ভ্রমর। তা’র আলোক-মধু প্রিয়ে আমি আলোর মধুপ অমর।। ঐ শ্বেত-শতদল ফুটলো যেদিন গভীর গগন নীল সায়রে তা’র আলোর শিখা আকাশ ছেপে ছড়িয়ে গেল বিশ্ব ‘পরে — স্তরে স্তরে, সেই বহ্নি-নলের পরাগ-রেণু আমিই যেন প্রথম পেনু, প্রথম পেনু গো তাই বাহির পানে ধেয়ে এনু গেয়ে আকুল স্বরে। আজ জাগো জগৎ! ঘুম টুটেছে বিশ্বে নিবিড় তমোর।। তাঁ’র জাগরণীর অরুণ কিরণ — গন্ধ যেদিন নিশি-শেষে এই অন্ধ জগৎ জাগিয়ে গেল আকাশ-পথের হাওয়ায় ভেসে — হঠাৎ এসে; আমি ঘুম-চোখে মোর পেনু আভাস, ঘরের বাহির করা সে-বাস ভাঙলে আবাস মোর।। তাই কূজন-বেণু বাজায়ে চলি আলোর দেশের শেষে যথা সহস্রদল কমল, আনন জাগ্ছে প্রিয়তমর।। যেন এ শ্বেত-সরোজ-সরোদ বাঁধা সপ্ত সুরের রঙিন তারে রচ্ছে সুরের ইন্দ্রধনু গগন-সীমায় তোরণ-দ্বারে তমোর ‘পারে, তার সে-সুর বাজি’ আমার পাখায় গহন-গহন শাখায় শাখায় তারায় কাঁপায় গো। জাগে ঐ কমলে পরশ প্রিয়ার চরণ নিরুপমর।।