দোহাই তোদের এবার তোরা
বাণী
দোহাই তোদের! এবার তোরা সত্যি করে সত্য বল্। ঢের দেখালি ঢাক ঢাক গুড় গুড় ঢের মিথ্যা ছল।। পেটে এক আর মুখে আরেক — এই যে তোদের ভন্ডামি, এতেই তোরা লোক হাসালি, বিশ্বে হলি কম্-দামি। নিজের কাছেও ক্ষুদ্র হলি আপন ফাঁকির আফসোসে, বাইরে ফাঁকা পাঁয়তারা তাই, নাই তলোয়ার খাপ-কোষে। তাই হলি সব সেরেফ আজ কাপুরুষ আর ফেরেব-বাজ সত্য কথা বলতে ডরাস তোরাই আবার করবি কাজ — ফোঁপরা ঢেঁকির নেইক লাজ। ইলশেগুড়ি বৃষ্টি দেখেই ঘর ছুটিস্ সব রাম-ছাগল! যুক্তি তোদের খুব বুঝেছি, দুধকে দুধ আর জলকে জল।।
রাখ রাখ রাঙা পায় হে শ্যামরায়
বাণী
রাখ রাখ রাঙা পায়, হে শ্যামরায়! ভুলে গৃহ স্বজন সবই সঁপেছি তোমায়॥ সংসার মরু ঘোর, নাহি তরু-ছায়া, নব নীরদ শ্যাম, আনো মেঘ-মায়া; আনন্দ-নীপবনে নন্দ-দুলাল এসো, বাহও উজান, হরি, অশ্রুর যমুনায়॥ একা জীবন মোর গহন ঘন ঘোর, এসো এ বনে বনমালী, গোপ কিশোর, কুঞ্জ রচেছি দুখ-শোক তমাল-ছায় - প্রেম-প্রীতির গোপী চন্দন শুকায়ে যায়॥ দারা সুত প্রিয়জন, হরি হে, নাহি চাই, পদ্মা-পলাশ-আঁখি যদি দেখিতে পাই; রাখাল-রাজা এসো, এসো হে ঋষিকেশ, গোকুলে লহ ডাকি’, অকূলে ভাসি হায়॥
অ্যগ্যর তুম রাধা হোতে শ্যাম
বাণী
অ্যগ্যর তুম রাধা হোতে শ্যাম। মেরি তরা বস আঠোঁ প্যহর তুম, রট্কে শ্যামকা নাম।। বন-ফুলকে মালা নিরালি বন্ যাতি নাগন কালি কৃষ্ঞ-প্রেমকী ভীক্ মাঙ্গনে আতে লাখ্ যনম্। তুম, আতে ইস্ বৃজধাম।। চুপ্কে চুপ্কে তুম্রে হিরদয় ম বসতা বন্সীওয়ালা, আওর, ধীরে ধীরে উস্কী ধূন সে ব্যঢ়তী মন্কি জ্বালা। পন-ঘটমে ন্যয়্যন বিছায়ে তুম্, র্যহতে আস্ ল্যগায়ে আওর, কালেকে সঙ্গ প্রীত ল্যগাকর্ হো জাতে বদনাম।।
এসো নওল কিশোর এসো এসো
বাণী
এসো নওল কিশোর এসো এসো, লুকায়ে রাখিব আঁখিতে মম। আমার আঁখির ঝিনুকে বন্দী রহিবে মুকুতা সম।। তুমি ছাড়া আর এই পৃথিবীতে এ আঁখি কারেও পাবে না দেখিতে, তুমিও আমারে ছাড়া আর কারেও হেরিবে না প্রিয়তম।। লুকায়ে রাখিব ফণিনী যেমন মানিক লুকায়ে রাখে, ঘিরিয়া থাকিব দামিনী যেমন শ্যাম মেঘ ঘিরে থাকে। মেঘ হয়ে আমি হে চাঁদ তোমায় আবরি’ রাখিব আঁখির পাতায়, নিশীথে জাগিয়া কাঁদিব দু’জন প্রিয় হে, চির জনম।।
তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু
বাণী
তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু। আমরা অবোধ, অন্ধ মায়ায় তাই তো কাঁদি প্রভু।। তোমার মতই তোমার ভুবন চির পূর্ণ, হে নারায়ণ! দেখতে না পায় অন্ধ নয়ন তাই এ দুঃখ প্রভু।। ঝরে যে ফল ধূলায় জানি, হয় না তাহা (কভু) হারা, ঐ ঝরা ফলে নেয় যে জনম তরুণ তরুর চারা — তারা হয় না কভু হারা। হারালো (ও) মোর প্রিয় যারা, তোমার কাছে আছে তারা; আমার কাছে নাই তাহারা — হারায়নিক’ তবু।।