বাণী

আজো হেথা তেমনি ধারা বাজে শ্যামের বাঁশরি।
আজো হেথা নিশীথরাতে কুঞ্জে আসে কিশোরী।।
বাঁশির তানে শ্রীযমুনা তেমনি উজান বয়
গোঠে গিয়ে বৎস ধেনু উর্ধ্বমুখী রয়।
	কে বলে শ্যাম চ’লে গেছে
	যায়নি ব্রজেই কানু আছে
সে কিরে সই থাকতে পারে বৃন্দাবন পাসরি।।

নাটিকাঃ ‘মীরাবাঈ’

বাণী

হেরা হতে হেলে দুলে নূরানী তনু ও কে আসে হায়,
সারা দুনিয়ার হেরেমের পর্দা খুলে খুলে যায় —
সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।।
তার ভাবে বিভোল রাঙা পায়ের তলে
পর্বত জঙ্গম টলমল টলে,
খোরমা খেজুর বাদাম জাফরানি ফুল ঝ’রে ঝ’রে যায় —
সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।।
আসমানে মেঘ চলে ছায়া দিতে,
পাহাড়ের আঁসু গলে ঝরনার পানিতে,
বিজলি চায় মালা হতে,
পূর্ণিমার চাঁদ তার মুকুট হতে চায় —
সে যে আমার কমলিওয়ালা — কমলিওয়ালা।।

বাণী

(তোমায়)		যেমন ক’রে ডেকেছিল আরব মরুভূমি।
		ওগো আমার নবী প্রিয় আল্ আরবি —
		তেমনি ক’রে ডাকি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
		যেমন	কেঁদে’ দজলা ফোরাত নদী
			ডেকেছিল নিরবধি,
		হে মোর মরুচারী নবুয়তধারী!
		তেমনি ক’রে কাঁদি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
		(যেমন)	মদিনা আর হেরা পাহাড়
			জেগেছিল আশায় তোমার,
		হে হজরত মম, হে মোর প্রিয়তম!
		তেমনি ক’রে জাগি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।
			মজলুমেরা কাবা ঘরে
			কেঁদেছিল যেমন ক’রে,
		হে আমিনা-লালা, হে মোর কম্‌লিওয়ালা!
		তেমনি ক’রে চাহি যদি আস্‌বে না কি তুমি।।

বাণী

	জরীন হরফে লেখা
	রূপালি হরফে লেখা
(নীল)	আসমানের কোরআন।
সেথা	তারায় তারায় খোদার কালাম
(তোরা)	পড়, রে মুসলমান
নীল	আসমানের কোরআন।।
	সেথা ঈদের চাঁদে লেখা
	মোহাম্মদের ‘মীম’-এর রেখা,
সুরুযেরই বাতি জ্বেলে’ পড়ে রেজোয়ান।।
খোদার আরশ লুকিয়ে আছে ঐ কোরআনের মাঝে,
খোঁজে ফকির-দরবেশ সেই আরশ সকাল-সাঁঝে।
	খোদার দিদার চাস রে, যদি
	পড় এ কোরআন নিরবধি;
খোদার নুরের রওশনীতে রাঙ রে দেহ-প্রাণ।।

বাণী

ওমা	ফিরে এলে কানাই মোদের এবার ছেড়ে দিস্‌নে তায়।
	তোর সাথে সব রাখাল মিলে বাঁধ্‌ব সে-ননী চোরায়।।
	তা’রে	তুই যখন মা রাখতিস্ বেঁধে
		ছাড়ায়েছি কেঁদে কেঁদে’,
তখন	জান্‌তো কে, যে খুললে বাঁধন পালিয়ে যাবে মথুরায়।।
এবার	আমরা এসে ডাকলে শ্যামে গোঠে যেতে দিস্‌নে তায়,
	ঐ পথে অক্রুর মুনির সাথে পালিয়ে যাবে শ্যামরায়।।
মোরা	কেউ যাব না বনে মা আর খেল্‌ব তার এই আঙিনায়,
শুধু	খেলব লুকোচুরি লো আগ্‌লাতে চোরের রাজায়।।

বাণী

ঝর্‌ল যে-ফুল ফোটার আগেই তারি তরে কাঁদি, হায়!
মুকুলে যার মুখের হাসি চোখের জলে নিভে যায়।।
হায় যে-বুলবুল গুল্‌বাগিচায় গোলাপ কুঁড়ির গাইত গান,
আকুল ঝড়ে আজ সে প'ড়ে পথের ধূলায় মূরছায়।।
সুখ-নদীর উপকূলে বাঁধিল যে সোনার ঘর,
আজ কাঁদে সে গৃহ-হারা বালুচরে নিরাশায়।।
যাবার যারা, যায় না তারা — থাকে কাঁটা, ঝরে ফুল।
শুকায় নদী মরুর বুকে, প্রভাত আলো মেঘে ছায়।।