চারু চপল পায়ে যায়
বাণী
চারু চপল পায়ে যায় যুবতী গোরী।। আঁচলের পাল তুলে সে চলে ময়ূর-পঙ্খি-তরী।। আয়রে দেখবি যদি ভাদরের ভরা নদী, চলে কে বে-দরদি — ভেঙে কূল গিরি-দরি।। মুখে চাঁদের মায়া কেশে তমাল-ছায়া, এলোচুলে দুলে দুলে নেচে চলে হাওয়া-পরী।। নয়ন-বাণে মারে প্রাণে চরণ-ছোঁয়ায় জীবন দানে, মায়াবিনী যাদু জানে — হার মানে ঊর্বশী অপ্সরী।।
চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান
বাণী
চ্যল চ্যল চ্যল ন্যওয্যওয়ান চ্যল্। ফ্যত্হেকি হো ফৌজ তুম্ ব্যহর্ কি হো মৌজ তুম্ ব্যখত্কে হো অওজ তুম্ তুম্মে হ্যায় জোর ব্যল্।। চাক হ্যায় শ্যব কি ন্যকাব ছোড় দো গ্যফল্যত কা খবাব, নিকলা ওহ লো আফতাব — তুম্ভি হো গ্যরমে অ্যস্যল।। ফ্যয়লনে কো বেকরার সুরতে নূর অ্যওর নার, জ্যল জ্যলা আফজা পুকার — জলমকি ব্যনফ্যর অ্যম্যল।। চ্যল মচাকে শোর সাফে দুশম্যন কো তোড় ফোড় উঠ খ্যড়ে হো সুব্ আজাঁ গ্যফিলিয়ত্ কো ছোড়, হিম্মত না হারানা আযায়ে গ্যর অ্যয্যল।।
চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি মাধবী কানন
বাণী
চৈত্র পূর্ণিমা রাত্রি, মাধবী কানন মধুক্ষরা। মধুর আনন্দ উল্লাসে রাত্রে ভাসে বসুন্ধরা।। মুকুল-সৌগন্ধ ভারে দখিনা পবন নৃত্যের ছন্দে চলে মর্মরিয়া বেণু-বন। তটিনী ঊর্মির মর্ম নিয়া শত ভঙ্গে চন্দ্রে নিবেদিয়া — দুর্নিবার প্রেমোচ্ছ্বাসে কণ্ঠ-কল-গীতে ভরা।। মধুর পূর্ণিমা নিশি, পূর্ণপাত্র শিরাজি হস্তে যেন সাকি, জোছনার মদির স্বপ্নে মুকুলিত মাধবীর আঁখি।। গোলাপের স্নিগ্ধগন্ধে অস্থির অন্তর আজি রাত্রি হাসিছে সমাহিত প্রসন্ন সুন্দর। পরিতৃপ্ত চকোরের রুদ্ধ-কণ্ঠ১ লড়িতে চন্দ্রর পান করি শারাব গেলাস-ভরা।।
১. সম্ভবত এখানে কবি আরো কিছু শব্দ যুক্ত করতে চেয়েছিলেন।
চন্দ্রমল্লিকা চন্দ্রমল্লিকা
বাণী
চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা — রঙ-পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ-শিখা।। ঊষর ধরায় আসলি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী' হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত-শেষের বাসন্তিকা।। চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে, দিলাম চন্দ্র-মল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে। ভঙ্গিমা তোর গরব-ভরা, রঙ্গিমা তোর হৃদয়-হরা, ফুলের দলে ফুলরানী তুই-তোরেই দিলাম জয়টিকা।।