চারু চপল পায়ে যায়
বাণী
চারু চপল পায়ে যায় যুবতী গোরী।। আঁচলের পাল তুলে সে চলে ময়ূর-পঙ্খি-তরী।। আয়রে দেখবি যদি ভাদরের ভরা নদী, চলে কে বে-দরদি — ভেঙে কূল গিরি-দরি।। মুখে চাঁদের মায়া কেশে তমাল-ছায়া, এলোচুলে দুলে দুলে নেচে চলে হাওয়া-পরী।। নয়ন-বাণে মারে প্রাণে চরণ-ছোঁয়ায় জীবন দানে, মায়াবিনী যাদু জানে — হার মানে ঊর্বশী অপ্সরী।।
চল রে কাবার জিয়ারতে
বাণী
চল রে কাবার জিয়ারতে, চল নবীজীর দেশ। দুনিয়াদারির লেবাস খুলে পর রে হাজীর বেশ।। আওকাতে তোর থাকে যদি - আরফাতের ময়দান, চল আরফাতের ময়দান, এক জামাত হয় যেখানে ভাই নিখিল মুসলমান। মুসলিম গৌরব দেখার যদি থাকে তোর খায়েশ।। যেথায় হজরত হলেন নাজেল মা আমিনার ঘরে খেলেছেন যার পথে-ঘাটে মক্কার শহরে, চল মক্কার শহরে। সেই মাঠের ধূলা মাখবি যথা নবী চরাতেন মেষ।। ক'রে হিজরত কায়েম হলেন মদিনায় হজরত - যে মদিনায় হজরত, সেই মদিনা দেখবি রে চল, মিটবে রে তোর প্রানের হসরত; সেথা নবীজীর ঐ রওজাতে তোর আরজি করবি পেশ।।
চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়
বাণী
চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায় আজিকে যে রাজাধিরাজ কা'ল সে ভিক্ষা চায়।। অবতার শ্রীরামচন্দ্র যে জানকীর পতি তারও হলো বনবাস রাবণ করে দুর্গতি। আগুনেও পুড়িল না ললাটের লেখা হায়।। স্বামী পঞ্চ পাণ্ডব, সখা কৃষ্ণ ভগবান দুঃশাসন করে তবু দ্রৌপদীর অপমান পুত্র তার হলো হত যদুপতি যার সহায়।। মহারাজ হরিশচন্দ্র, রাজ্য দান ক'রে শেষ শ্মশান-রক্ষী হয়ে লভিল চণ্ডাল-বেশ বিষ্ণু-বুকে চরণ-চিহ্ন, ললাট-লেখা কে খণ্ডায়।।