চম্পা-বনে বেণু বাজে
বাণী
চম্পা-বনে বেণু বাজে — বাজে বাজে। কে গো চঞ্চল? এলে মনোহর সাজে — কিশোর নাটুয়ার১ সাজে।। আঁখি মেলিয়া চাহে মালতীর কলি ভবন-শিখী নাচে ‘কে গো’ বলি’, ছড়ায় সমীরণ ফুল-অঞ্জলি — তোমার পথ-মাঝে।। নূপুর শুনি বনে নাচে কুরঙ্গ মানস-গঙ্গায় জাগে-তরঙ্গ, সরসীতে কমলিনী থরথর অঙ্গ — রক্তিম হ’ল লাজে।। লুকায় ফুলধনু মেঘের কোলে রাখিয়া কপোল চাঁদের কপোলে, হেরে তরুণ রসরাজে।।
১. মনোহর
চিকন কালো বেদের কুমার
বাণী
চিকন কালো বেদের কুমার কোন্ পাহাড়ে যাও? কোন্ বন-হরিণীর পরান নিতে বাঁশরি বাজাও? তুমি শিস্ দিয়ে গান গাও তুমি কুটিল চোখে চাও।। তীর-ধনুক নিয়ে সারাবেলা ও শিকারি, এ কি খেলা? শাল গাছেরই ডাল ভাঙিয়া একটু বাতাস খাও।। কাঁকর-ভরা কাঁটার পথে (আজ) নাই শিকারে গেলে, অশথ্-তলে বাজাও বাঁশি (তোমার) হাতের ধনুক ফেলে’। তোমার কালো চোখের কাজল নিয়ে ঝিল উঠেছে ঝিল্মিলিয়ে, ঝিল্মিলিয়ে। ঐ কমল ঝিলের শাপলা নিয়ে বাঁশিখানি দাও।।
চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতে
বাণী
চাঁদ হেরিছে চাঁদ–মুখ তার সরসীর আরশিতে। ছুটে তরঙ্গ বাসনা–ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে।। হেরিছে রজনী – রজনী জাগিয়া চকোর উতলা চাঁদের লাগিয়া, কাঁহা পিউ কাঁহা ডাকিছে পাপিয়া কুমুদীরে কাঁদাইতে।। না জানি সজনী কত সে রজনী কেঁদেছে চকোরী পাপিয়া, হেরেছে শশীরে সরসী–মুকুরে ভীরু ছায়া–তরু কাঁপিয়া। কেঁদেছে আকাশে চাঁদের ঘরণী চির–বিরহিণী রোহিণী ভরণী অবশ আকাশ বিবশা ধরণী কাঁদানীয়া চাঁদিনীতে।।