বাণী

চোখে চোখে চাহ যখন তোমরা দু’টি পাখি।
সেই চাহনি দেখি আমি অন্তরালে থাকি’।।
	মনে জাগে, অনেক আগে
	এম্‌নি গভীর অনুরাগে,
আমার পানে চাইত কেহ এম্‌নি অরুণ-আঁখি।।
ঘুমাও যখন তোমরা দু’জন পাখায় বেঁধে পাখা,
আমি দূরে জেগে থাকি, যায় না কাঁদন রাখা।
	পরশ যেন লেগে আছে
	শূন্য আমার বুকের কাছে,
তোমার মতন ঘুমাত কেউ এই বুকে মুখ রাখি’।।

বাণী

চীন আরব হিন্দুস্থান নিখিল ধরাধাম।
জানে আমায় চেনে আমায় মুসলিম আমার নাম।।
অন্ধকারে আজান দিয়ে ভাঙনু ঘুমঘোর,
আলোর অভিযান এনেছি রাত করেছি ভোর;
এক সমান করেছি ভেঙে উচ্চ নীচ তামাম।।
চেনে মোরে সাহারা গোবি দুর্গম পর্বত,
মন্থন করেছে সাগর, আমার সিন্ধু রথ;
বয়েছি আফ্রিকা ইউরোপ আমারই তাঞ্জাম।।
পাক মুলুকে বসিয়েছি খোদার মসজিদ,
জগৎ সাক্ষী পাপীদেরকে পিইয়েছি তৌহীদ্‌;
বিরান বনে রচেছি রে হাজার নগর গ্রাম।।

বাণী

চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা —
রঙ-পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ-শিখা।।
ঊষর ধরায় আসলি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী'
হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত-শেষের বাসন্তিকা।।
চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে,
দিলাম চন্দ্র-মল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে।
	ভঙ্গিমা তোর গরব-ভরা,
	রঙ্গিমা তোর হৃদয়-হরা,
ফুলের দলে ফুলরানী তুই-তোরেই দিলাম জয়টিকা।।

বাণী

	চাষ কর দেহ জমিতে
	হবে নানা ফসল এতে।
	নামাজে জমি ‘উগালে’
	রোজাতে জমি ‘সামালে’,
কলেমায় জমিতে মই দিলে চিন্তা কি হে এই ভবেতে।।
লা-ইলাহা ইল্লাল্লাতে
বীজ ফেল্ তুই বিধি-মতে,
পাবি ‘ঈমান’ ফসল তাতে —
		আর রইবি সুখেতে।।
নয়টা নালা আছে তাহার
ওজুর পানি সিয়াত যাহার,
ফল পাবি নানা প্রকার —
		ফসল জন্মিবে তাহাতে।।
যদি ভালো হয় সে-জমি
হজ্ জাকাত লাগাও তুমি,
আরো সুখে থাকবে তুমি —
		কয় নজরুল এসলামেতে।।

লেটো : ‘চাষার সঙ’

বাণী

চম্পা পারুল যূথী টগর চামেলা।
আর সই, সইতে নারি ফুল-ঝামেলা।।
	সাজায়ে বন-ডালি,
	বসে রই বন-মালি
যা'রে দিই এ ফুল সেই হানে হেলাফেলা।।
	কে তুমি মায়া-মৃগ
	রতির সতিনী গো
ফুল নিতে আসিলে এ বনে অবেলা।।
	ফুলের সাথে প্রিয়
	ফুল মালরে নিও
তুমিও এক সই, আমিও একেলা।।

বাণী

চক্র সুদর্শন ছোড়কে মোহন তুম ব্যনে বনওয়ারী।
ছিন লিয়ে হ্যয় গদা-পদম্‌ সব মিল করকে ব্রজনারী।।
	ছার ভুজা আব দো বনায়ে
	ছোড়কে বৈকুণ্ঠ ব্রিজ মে আয়ে,
রাস রচায়ে ব্রিজ্‌কে মোহন ব্যন্ গ্যয়ে মুরলী-ধারী।।
	সত্যভামাকো ছোড়কে আয়ে
	রাধা প্যারী সাথমে লায়ে,
বৈতরণী কো ছোড়কে ব্যন গ্যয়ে যমুনাকে তটচারী।।