চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম
বাণী
চঞ্চল ঝর্না সম হে প্রিয়তম আসিলে মোর জীবনে। নীরব মনের উপবন মর্মরি’ উঠিল অধীর হরষণে।। যে মুকুল ঘুমায়ে ছিল পত্রপুটে অনুরাগে ফুল হয়ে উঠিল ফুটে, তনুর কূলে কূলে ছন্দ উঠিল দুলে আকুল শিহরণে।। অলকানন্দা হ’তে রসের ধারা তুমি আনিলে বহি’, অশান্ত সুরে একি গাহিলে গান, হে দূর বিরহী। মায়ামৃগ তুমি হেসে চ’লে যাও তব কূলে যে কাঁদে তারে ফিরে নাহি চাও, কত বন ভূমিরে আঁখি-নীরে ভাসাও — হে উদাসীন আনমনে।।
চোখে চোখে চাহ যখন
বাণী
চোখে চোখে চাহ যখন তোমরা দু’টি পাখি। সেই চাহনি দেখি আমি অন্তরালে থাকি’।। মনে জাগে, অনেক আগে এম্নি গভীর অনুরাগে, আমার পানে চাইত কেহ এম্নি অরুণ-আঁখি।। ঘুমাও যখন তোমরা দু’জন পাখায় বেঁধে পাখা, আমি দূরে জেগে থাকি, যায় না কাঁদন রাখা। পরশ যেন লেগে আছে শূন্য আমার বুকের কাছে, তোমার মতন ঘুমাত কেউ এই বুকে মুখ রাখি’।।
চম্’কে চম্’কে ধীর ভীরু পায়
বাণী
চম্’কে চম্’কে ধীর ভীরু পায়, পল্লী–বালিকা বন–পথে যায় একেলা বন–পথে যায়।। শাড়ি তার কাঁটা লতায়, জড়িয়ে জড়িয়ে যায়, পাগল হাওয়াতে অঞ্চল ল’য়ে মাতে — যেন তার তনুর পরশ চায়।। শিরীষের পাতায় নূপুর, বাজে তার ঝুমুর ঝুমুর, কুসুম ঝরিয়া মরিতে চাহে তার কবরীতে, পাখী গায় পাতার ঝরোকায়।। চাহি’ তা’র নীল নয়নে, হরিণী লুকায় বনে, হাতে তা’র কাঁকন হ’তে মাধবী লতা কাঁদে, ভ্রমরা কুন্তলে লুকায়।।