চাঁপার কলির তুলিকায় কাজল লেখায়
বাণী
চাঁপার কলির তুলিকায়, কাজল লেখায় শ্রীমতী শ্রীহরির ছবি আঁকে। রাই ছবি আঁকে পটে গো, যারে হেরে নিতি গোঠে যেতে যমুনার তটে গো, সে বংশী বাজায়ে মঞ্জির পায়ে নাচে ছায়া বটে গো, রাই ছবি আঁকে পটে গো। আঁকিয়া শ্যামের মূরতি আঁকিল না রাধা শ্রীচরণ , রাধা চরণ আঁকে না, তুলি তুলিয়া রাখে চরণ আঁকে না। তখন ললিতা বলে- ‘রাধা! রাধা! রাধা! তুই আঁকলি না কেন চরণ রাধা!’ ‘জীবন মরণ যে চরণে বাঁধা, আঁকলি না কেন চরণ রাধা — বিশ্বের ত্রাণ বৃন্দাবনের ধ্যানজ্ঞান ব্রজগোপী সাধা’ — ‘আঁকলি না কেন চরণ রাধা’ —! তখন রাধা কেঁদে বলে- ‘ওগো ললিতা — সখি আঁকিলে চরণ যাবে সে পালায়ে আমি হব পদদলিতা। পলায়ে যাবে গো মথুরায়, আবার পালায়ে যাবে গো — চির চপল সে মথুরায় আবার পালায়ে যাবে গো — থাক লুকানো হৃদয়ে শ্রীচরণ।’
চুরি ক’রে এনো গিরি
বাণী
চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে। দেখ্ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥ তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা; (বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥ জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী। কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী; শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥
চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা
বাণী
কোরাস্ : চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক। চীন ভারতের জয় হোক! ঐক্যের জয় হোক! সাম্যের জয় হোক। ধরার অর্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে, কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে। পুরুষ কন্ঠ : সহিব না আজ এই অবিচার — কোরাস্ : খুলিয়াছে আজি চোখ॥ প্রাচীন চীনের প্রাচীর মহাভারতের হিমালয় আজি এই কথা যেন কয় — মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে-ইহা কি সত্য নয় ? হইব সর্বজয়ী আমরাই সর্বহারার দল, সুন্দর হবে শান্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল। পুরুষ কন্ঠ : আমরা আনিব অভেদ ধর্ম — কোরাস্ : নব বেদ-গাঁথা-শ্লোক॥