বাণী

চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম
(কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম)
বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম।।
নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতজা, হায় হায়
মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা
খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী
পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্‌ঝিম্‌।।
নলে যেম্‌নি দম্ দি অম্‌নি নল-দময়ন্তী
লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু
(ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে)
শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায়
(এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়)
চন্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায়
প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে)
(দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম।।
আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি
সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি
জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!

বাণী

চোখের নেশার ভালোবাসা সে কি কভু থাকে গো
জাগিয়া স্বপনের স্মৃতি স্মরণে কে রাখে গো।।
তোমরা ভোল গো যা’রে চিরতরে ভোল তা’রে
মেঘ গেলে আবছায়া থাকে কি আকাশে গো।।
পুতুল লইয়া খেলা খেলেছ বালিকা বেলা
খেলিছ পরাণ ল’য়ে তেমনি পুতুল খেলা।
ভাঙ্গিছ গড়িছ নিতি হৃদয়–দেবতাকে গো।
চোখের ভালোবাসা গ’লে
শেষ হ’য়ে যায় চোখের জলে
বুকের ছলনা সেকি নয়ন জলে ঢাকে গো।।

বাণী

চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা।
সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।।
আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব‍্যথা
তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।।
যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান
অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।

নাটকঃ‘আলেয়া’

বাণী

চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী চৌরঙ্গী 
চারদিকে রঙ ছড়িয়ে বেড়ায় রঙ্গিলা কুরঙ্গী॥
যে সকলের মন মাতায় কলকাতার চৌমাথায়
ওপারে যে ফিল্মের ঝিল্‌মিল্‌ আলোর দেয়ালি।
এপারে যে পথের ভিখারিনী চোখের বালি।
গোরা কালো সাহেব মেমে মন্দ ভালো বি.এ. এম.এ.
				সবাই তাহার সঙ্গী।
যে দক্ষিণ হাত তুলি দক্ষিণা চায়
আলো দেয় রবি শশী, ফুল দেয় দখিনা বায়।
			ওকি গোলাপ ফুল নারঙ্গি।
নুয়ে প’ড়ে আকাশ দেখে তাহার নাচের ভঙ্গী॥

সিনেমাঃ ‘চৌরঙ্গী’

বাণী

চাও চাও চাও নব বধূ অবগুণ্ঠন খোলো
আনত নয়ন তোলো॥
আমি যে ননদী খরতর নদী লজ্জা কি
লজ্জায় ফুল শয্যায় কাল ছিল না তো নত ওই আঁখি
সবি বলে দেব যদি বউ কথা না বলো॥
‘বউ কথা কও’ ডাকে পাখি
তবুও নীরব রবে নাকি
দেখি দেখি গালে লালী ও কিসের? ও! লজ্জায় বুঝি লাল হলো॥
ও কি অধীর চরণে যেয়ো না যেয়ো না
আন-ঘরে লুকাইতে দেখে যদি কেউ
সখি পাশের ও ঘরে মানুষ যে রহে
তারও অন্তরে বহে বিরহের ঢেউ।
লজ্জাই যদি তব ভূষণ সজ্জায় তবে কি প্রয়োজন?
সুখে সুখী হব দুখে দুখী ব’সো মুখোমুখি লাজ ভোলো।

নাটিকাঃ ‘বিয়ে বাড়ি’

বাণী

চমকে চপলা মেঘে মগন গগন।
গরজিছে রহি’ রহি’ অশনি সঘন।।
লুকায়েছে গ্রহ-তারা দিবসে ঘনায় রাতি
শূন্য কুটিরে কাঁদি, কোথায় ব্যথার সাথী,
ভীত চমকিত-চিত, সচকিত শ্রবণ।।