চাও চাও চাও নব বধূ অবগুণ্ঠন খোলো
বাণী
চাও চাও চাও নব বধূ অবগুণ্ঠন খোলো আনত নয়ন তোলো॥ আমি যে ননদী খরতর নদী লজ্জা কি লজ্জায় ফুল শয্যায় কাল ছিল না তো নত ওই আঁখি সবি বলে দেব যদি বউ কথা না বলো॥ ‘বউ কথা কও’ ডাকে পাখি তবুও নীরব রবে নাকি দেখি দেখি গালে লালী ও কিসের? ও! লজ্জায় বুঝি লাল হলো॥ ও কি অধীর চরণে যেয়ো না যেয়ো না আন-ঘরে লুকাইতে দেখে যদি কেউ সখি পাশের ও ঘরে মানুষ যে রহে তারও অন্তরে বহে বিরহের ঢেউ। লজ্জাই যদি তব ভূষণ সজ্জায় তবে কি প্রয়োজন? সুখে সুখী হব দুখে দুখী ব’সো মুখোমুখি লাজ ভোলো।
নাটিকাঃ ‘বিয়ে বাড়ি’
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা
বাণী
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা, চাঁদের চেয়েও জ্যোতি। তুমি দেখাইলে মহিমান্বিতা নারী কী শক্তিমতী।। শিখালে কাঁকন চুড়ি পরিয়াও নারী, ধরিতে পারে যে উদ্ধত তরবারি, না রহিত অবরোধের দুর্গ, হতো না এ দুর্গতি।। তুমি দেখালে নারীর শক্তি স্বরূপ – চিন্ময়ী কল্যাণী, ভারত জয়ীর দর্প নাশিয়া মুছালে নারীর গ্লানি। তুমি গোলকুন্ডার কোহিনূর হীরা সম আজো ইতিহাসে জ্বলিতেছে নিরুপম, রণরঙ্গিণী ফিরে এসো, তুমি ফিরিয়া আসিলে, ফিরিয়া আসিবে লক্ষী ও সরস্বতী।।
চোখের নেশার ভালোবাসা
বাণী
চোখের নেশার ভালোবাসা সে কি কভু থাকে গো জাগিয়া স্বপনের স্মৃতি স্মরণে কে রাখে গো।। তোমরা ভোল গো যা’রে চিরতরে ভোল তা’রে মেঘ গেলে আবছায়া থাকে কি আকাশে গো।। পুতুল লইয়া খেলা খেলেছ বালিকা বেলা খেলিছ পরাণ ল’য়ে তেমনি পুতুল খেলা। ভাঙ্গিছ গড়িছ নিতি হৃদয়–দেবতাকে গো। চোখের ভালোবাসা গ’লে শেষ হ’য়ে যায় চোখের জলে বুকের ছলনা সেকি নয়ন জলে ঢাকে গো।।
চুম্বক পাথর হায় লোহারে দেয়
বাণী
চুম্বক পাথর হায় লোহারে দেয় গালি, আমার গায়ে ঢ’লে প’ড়ে কুলে দিলে কালি।। লোহা বলে, হায় পাষাণী তুমিই লহ বুকে টানি’, (কেন) সোনা-রূপা ফেলে দিয়ে আমায় টান খালি।। চুম্বক আর লোহায় চলে দ্বন্দ্ব সারা বেলা, কে’দে মরে, বুঝতে নারে (এ) কোন্ নিঠুরের খেলা। হঠাৎ তাদের দৃষ্টি গেল খুলে ঊর্দ্ধ পানে চায় নয়ন তুলে, (দেখে) খেলেন তাদের নিয়ে রস-শেখর বনমালি।।
চুরি ক’রে এনো গিরি
বাণী
চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে। দেখ্ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥ তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা; (বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥ জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী। কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী; শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥