বাণী

চৈতালি চাঁদনী রাতে —
নব মালতীর কলি মুকুল-নয়ন তুলি’
নিশি জাগে আমারি সাথে।।
পিয়াসি চকোরীর দিন-গোনা ফুরালো
শূন্য-গগনের বক্ষ জুড়ালো
দক্ষিণ-সমীরণ মাধবী-কঙ্কণ
	পরায়ে দিল বনভূমির হাতে।।
চাঁদিনী তিথি এলো, আমারি চাঁদ কেন এলো না;
বনের বুকের আঁধার গেল গো — মনের আঁধার গেল না।
এ মধু-নিশি মিলন-মালায়
কাঁটার মত আমি বিঁধিয়া আছি, হায়!
সবারই আঁখিতে আলোর দেয়ালি
	অশ্রু আমারি নয়ন-পাতে।।

বাণী

চোখের জলে মন ভিজিয়ে যায় চলে ঐ কোন্ উদাসী।
বুকে কেন নীরব বীণা মুখে কেন নেইকো হাসি।।
	আকাশে চাঁদ তারার মেলা
	বনের পথে রঙের ডালা
তবু কেন আঁখিতে ওর উথলে পড়ে অশ্রুরাশি।।
	বনের হাওয়ায় বাজিয়ে বেণু১,
	ছড়িয়ে চলে ফুলের রেণু
বিদেশিকে আন্‌না ডেকে সাধ হয়েছে ভালবাসি।।

১. ফুলেল হাওয়া

বাণী

চরশ মেশা চন্ডুর নেশা মুন্ডু ঝিমঝিম
(কাঠসিম ঘোড়া নিম, আকুতাকু হিমশিম)
বাগ বাজারে লাখো হাজার পঙ্খিরাজ অশ্বের ডিম।।
নওয়াবী নেশা রওয়াবী নেশা প্রাণ হয় তরতজা, হায় হায়
মদের নেশা গাঁজার নেশা এর কাছে একদম পাঁজা
খুলে হৃদয় খিড়কী বাদশার লেড়কী
পাঁইজোর যেন বাজায় রিম্‌ঝিম্‌।।
নলে যেম্‌নি দম্ দি অম্‌নি নল-দময়ন্তী
লটাপটি করে বুকে হয়ে চরণ পঙ্খি, ও গুরু
(ঐ লেগেছে লটাতে পটিতে)
শেয়ালের লেজুড় যেমন ঠেসে কামড়ে ধরে কাঁকড়ায়
(এই ধরেছে কামড়ে লেজুড় কাঁকড়ায়)
চন্ডুর নেশা তেমনি একদিন খেয়ো গিয়ে আখড়ায়
প্রেমে মজে ডাইভোর্স ক’রে (তালাক দিয়ে)
(দাদা) আমি ছেড়েছি কোকেন আফিম।।
আফিম টাফিম সব ছেড়ে দিয়েছি
সত্যি বলি এখন ভাল ছেলে হয়ে গিয়েছি
জানেন মাল ধরেছি মাল, ভাল করিনি, এ্যাঁ ভাল করিনি!!

বাণী

চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা।
সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।।
আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব‍্যথা
তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।।
যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান
অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।

নাটকঃ‘আলেয়া’

বাণী

চম্‌’কে চম্‌’কে ধীর ভীরু পায়,
পল্লী–বালিকা বন–পথে যায় একেলা বন–পথে যায়।।
শাড়ি তার কাঁটা লতায়, জড়িয়ে জড়িয়ে যায়,
পাগল হাওয়াতে অঞ্চল ল’য়ে মাতে —
		যেন তার তনুর পরশ চায়।।
শিরীষের পাতায় নূপুর, বাজে তার ঝুমুর ঝুমুর,
কুসুম ঝরিয়া মরিতে চাহে তার কবরীতে,
		পাখী গায় পাতার ঝরোকায়।।
চাহি’ তা’র নীল নয়নে, হরিণী লুকায় বনে,
হাতে তা’র কাঁকন হ’তে মাধবী লতা কাঁদে,
		ভ্রমরা কুন্তলে লুকায়।।

বাণী

চির-আপনার তুমি হে হরি।
তুমি ভুলো না যদি আমি রই পাশরি’।।
আমি ভুলিয়া যদি কভু রহি ঘুমে
তুমি ঘুম ভাঙাও মোর আঁখি চুমে,
তুমি আমি এক তরীতে তরি।।
আমার বাঁধন মোচন মাঝে
হরি হে তোমারও মুকুতি রাজে,
তুমি জীবনে আমার আছ প্রাণ ধরি’।।