চম্পক-বরণী চলমল তরণী
বাণী
চম্পক-বরণী চলমল তরণী, চলে শ্যামা তরুণী যৌবন-গরবী।। ডাকে দূর পারাবার ডাকে তা’রে বন-’পার, লালসে ঝরে তার — পায়ে রাঙা করবী।। চলে বালা দুলে দুলে এলো-খোঁপা পড়ে খুলে, চাহে ভ্রমর কুসুম ভুলে’ — তনুর তার সুরভি।। নাচের ছন্দে দোদুল টলে তা’র চরণ চটুল, হরিণী চায় পথ-বেভুল — মায়া-লোক-বিহারিণী রচি’ চলে ছায়া-ছবি।।
চাও চাও চাও নব বধূ অবগুণ্ঠন খোলো
বাণী
চাও চাও চাও নব বধূ অবগুণ্ঠন খোলো আনত নয়ন তোলো॥ আমি যে ননদী খরতর নদী লজ্জা কি লজ্জায় ফুল শয্যায় কাল ছিল না তো নত ওই আঁখি সবি বলে দেব যদি বউ কথা না বলো॥ ‘বউ কথা কও’ ডাকে পাখি তবুও নীরব রবে নাকি দেখি দেখি গালে লালী ও কিসের? ও! লজ্জায় বুঝি লাল হলো॥ ও কি অধীর চরণে যেয়ো না যেয়ো না আন-ঘরে লুকাইতে দেখে যদি কেউ সখি পাশের ও ঘরে মানুষ যে রহে তারও অন্তরে বহে বিরহের ঢেউ। লজ্জাই যদি তব ভূষণ সজ্জায় তবে কি প্রয়োজন? সুখে সুখী হব দুখে দুখী ব’সো মুখোমুখি লাজ ভোলো।
নাটিকাঃ ‘বিয়ে বাড়ি’
চম্’কে চম্’কে ধীর ভীরু পায়
বাণী
চম্’কে চম্’কে ধীর ভীরু পায়, পল্লী–বালিকা বন–পথে যায় একেলা বন–পথে যায়।। শাড়ি তার কাঁটা লতায়, জড়িয়ে জড়িয়ে যায়, পাগল হাওয়াতে অঞ্চল ল’য়ে মাতে — যেন তার তনুর পরশ চায়।। শিরীষের পাতায় নূপুর, বাজে তার ঝুমুর ঝুমুর, কুসুম ঝরিয়া মরিতে চাহে তার কবরীতে, পাখী গায় পাতার ঝরোকায়।। চাহি’ তা’র নীল নয়নে, হরিণী লুকায় বনে, হাতে তা’র কাঁকন হ’তে মাধবী লতা কাঁদে, ভ্রমরা কুন্তলে লুকায়।।