চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে
বাণী
চাঁদিনী রাতে কানন-সভাতে আপন হাতে গাঁথিলে মালা। সয়েছি বুকে নিবিড় সুখে তোমারি হাতের সূচিব জ্বালা।। আজিও জাগে লোহিত রাগে রঙিন গোলাবে তাহারি ব্যথা তব ও গলে দুলিব ব’লে দিয়েছি কুলে কলঙ্ক-কালা ।। যদি ও গলে নেবে না তুলে কেন বধিলে ফুলের পরান অভিমানে হায় মালা যে শুকায় ঝ’রে ঝ’রে যায় লাজে নিরালা।।
নাটকঃ‘আলেয়া’
চন্দ্রমল্লিকা চন্দ্রমল্লিকা
বাণী
চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা — রঙ-পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ-শিখা।। ঊষর ধরায় আসলি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী' হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত-শেষের বাসন্তিকা।। চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে, দিলাম চন্দ্র-মল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে। ভঙ্গিমা তোর গরব-ভরা, রঙ্গিমা তোর হৃদয়-হরা, ফুলের দলে ফুলরানী তুই-তোরেই দিলাম জয়টিকা।।
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা
বাণী
চাঁদের কন্যা চাঁদ সুলতানা, চাঁদের চেয়েও জ্যোতি। তুমি দেখাইলে মহিমান্বিতা নারী কী শক্তিমতী।। শিখালে কাঁকন চুড়ি পরিয়াও নারী, ধরিতে পারে যে উদ্ধত তরবারি, না রহিত অবরোধের দুর্গ, হতো না এ দুর্গতি।। তুমি দেখালে নারীর শক্তি স্বরূপ – চিন্ময়ী কল্যাণী, ভারত জয়ীর দর্প নাশিয়া মুছালে নারীর গ্লানি। তুমি গোলকুন্ডার কোহিনূর হীরা সম আজো ইতিহাসে জ্বলিতেছে নিরুপম, রণরঙ্গিণী ফিরে এসো, তুমি ফিরিয়া আসিলে, ফিরিয়া আসিবে লক্ষী ও সরস্বতী।।
চুড়ির তালে নুড়ির মালা
বাণী
চুড়ির তালে নুড়ির মালা রিনিঝিনি বাজে লো – খোঁপায় দোলে বুনো ফুলের কুঁড়ি। কালো ছোঁড়ার কাঁকাল ধ’রে নাচে মাতাল ছুঁড়ি লো।। মহুয়া মদের নেশা পিয়ে বুঁদ হয়েছে বৌয়ে–ঝিয়ে চাঁদ ছুটছে মনকে নিয়ে ডুরি ছেঁড়া ঘুড়ি (যেন) লো।। বাজে নুপূর পাঁইজোড় সারা গায়ে নাচের ঘোর ওলো লেগেছে, মন হ’ল নেশায় বিভোর; ওই আকাশে চাঁদ হের মেঘের সাথে যেন করে খুনসুড়ি লো।।