বাণী

চৌরঙ্গী হ্যায় ইয়ে চৌরঙ্গী।
ইসকী দুনিয়া রং বেরংগী।।
গোরে, কালে আওবে, যাওবে
আপনি আপনি ছাব দেখলাবে,
ই ড্যগর মেঁ সব সংসার —
ইসকী দুনিয়া রঙ্গ বেরংগী।।
কিতনে আওবে রাজাবাবু
কিতনে হামসে বেকারি,
কিতনে আপনে গুলকে বন্দে
কিতনে প্রেম-পূজারী।
কোই কিসিকো রাব লাগায়ে
কোই য়া কর খুদ খো যায়ে
সিধা রাস্তা ফির হাজার
ইসকী দুনিয়া রঙ্গ বেরংগী।।

বাণী

	চলো সাম্‌লে পিছল পথ গোরী।
	ভরা যৌবন তায় ভরা গাগরি।।
	নীর ভরণে এসে সখি নদী-তীর
	তীর খেয়ো না হৃদয়ে ডাগর আঁখির,
	জলে ভাসিবে নয়ন কিশোরী।।
	হৃদি নিঙাড়ি এ পথে প্রেমিক কত
সখি	করেছে রুধির-পিছল এ পথ,
	কেহ উঠিল না এ পথে পড়ি’।।
	তব ঘটের সলিল চাহিয়া সই
কত	তৃষ্ণা-আতুর পথিক দাঁড়ায়ে ঐ,
	মরুভূমে তুমি মেঘ-পরী।।

বাণী

চরণে দলিয়া গিয়াছে চলিয়া
			তবু কেন তারে ভালোবাসি।
বলিতে পারি না বোঝাতে পারি না
			আঁখি-জলে যায় বুক ভাসি’।।
কেন সে বিরাজে		হৃদয়েরি মাঝে
তার স্বর যেন 		সদা প্রাণে বাজে
কি বাঁধনে মোরে		বেঁধেছে বল সে
			দিয়ে গেছে গলে প্রেম-ফাঁসি।।

বাণী

চল রে কাবার জিয়ারতে, চল নবীজীর দেশ।
দুনিয়াদারির লেবাস খুলে পর রে হাজীর বেশ।।
আওকাতে তোর থাকে যদি - আরফাতের ময়দান,
	চল আরফাতের ময়দান,
এক জামাত হয় যেখানে ভাই নিখিল মুসলমান। 
মুসলিম গৌরব দেখার যদি থাকে তোর খায়েশ।।
যেথায় হজরত হলেন নাজেল মা আমিনার ঘরে
খেলেছেন যার পথে-ঘাটে মক্কার শহরে, 
	চল মক্কার শহরে।
সেই মাঠের ধূলা মাখবি যথা নবী চরাতেন মেষ।।
ক'রে হিজরত কায়েম হলেন মদিনায় হজরত - যে মদিনায় হজরত,
সেই মদিনা দেখবি রে চল, মিটবে রে তোর প্রানের হসরত;
সেথা নবীজীর ঐ রওজাতে তোর আরজি করবি পেশ।। 

বাণী

চাঁদের মত নীরবে এসো প্রিয় নিশীথ রাতে।
ঘুম হয়ে পরশ দিও হে প্রিয়, নয়ন-পাতে।।
	তব তবে বাহির-দুয়ার মম
	খুলিবে না এ-জনমে প্রিয়তম,
মনের দুয়ার খুলি’ গোপনে এসো বিজড়িত রহিও স্মৃতির সাথে।।
কুসুম-সুরভি হ’য়ে এসো নিশি-পবনে,
রাতের পাপিয়া হয়ে পিয়া পিয়া ডাকিও বব-ভবনে।
	আঁখি-জল হয়ে আঁখিতে আসিও
	বেণুকার সুর হয়ে শ্রবণে ভাসিও,
বিরহ হ’য়ে এসো হে চির-বিরহী আমার অন্তর-বেদনাতে।।

গীতিচিত্রঃ ‘অতনুর দেশ’

বাণী

চন্দ্রমল্লিকা, চন্দ্রমল্লিকা —
রঙ-পরীদের সঙ্গিনী তুই অঙ্গে চাঁদের রূপ-শিখা।।
ঊষর ধরায় আসলি ভুলে তুষার দেশে রঙ্গিনী'
হিমেল দেশের চন্দ্রিকা তুই শীত-শেষের বাসন্তিকা।।
চাঁদের আলো চুরি ক'রে আনলি তুই মুঠি ভ'রে,
দিলাম চন্দ্র-মল্লিকা নাম তাই তোরে আদর ক'রে।
	ভঙ্গিমা তোর গরব-ভরা,
	রঙ্গিমা তোর হৃদয়-হরা,
ফুলের দলে ফুলরানী তুই-তোরেই দিলাম জয়টিকা।।