চাঁদিনী রাতে মল্লিকা লতা
বাণী
চাঁদিনী রাতে মল্লিকা লতা। আবার কহিতে চাহে কোন কথা।। আবার ভ্রমর-নূপুর বাজে কী যেন হারানো হিয়ার মাঝে, আবার বেণুর উতলা রবে ব্যাকুল হ’য়ে ওঠে গোপন ব্যথা।। তনুর পিঞ্জর ভাঙিয়া কেন হায়, না-জানা-আকাশে হৃদয় যেতে চায়। বায়ুরে ডেকে বলে, বহিতে নারি আর যে দিল, তা’রে দিও সুরভি মধু-ভাব, কৃপা কর, আমি ঝরিয়া ম’রে যাই সহিতে পারি না মাটির মমতা।।
চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা
বাণী
কোরাস্ : চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক। চীন ভারতের জয় হোক! ঐক্যের জয় হোক! সাম্যের জয় হোক। ধরার অর্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে, কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে। পুরুষ কন্ঠ : সহিব না আজ এই অবিচার — কোরাস্ : খুলিয়াছে আজি চোখ॥ প্রাচীন চীনের প্রাচীর মহাভারতের হিমালয় আজি এই কথা যেন কয় — মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে-ইহা কি সত্য নয় ? হইব সর্বজয়ী আমরাই সর্বহারার দল, সুন্দর হবে শান্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল। পুরুষ কন্ঠ : আমরা আনিব অভেদ ধর্ম — কোরাস্ : নব বেদ-গাঁথা-শ্লোক॥
চারু চপল পায়ে যায়
বাণী
চারু চপল পায়ে যায় যুবতী গোরী।। আঁচলের পাল তুলে সে চলে ময়ূর-পঙ্খি-তরী।। আয়রে দেখবি যদি ভাদরের ভরা নদী, চলে কে বে-দরদি — ভেঙে কূল গিরি-দরি।। মুখে চাঁদের মায়া কেশে তমাল-ছায়া, এলোচুলে দুলে দুলে নেচে চলে হাওয়া-পরী।। নয়ন-বাণে মারে প্রাণে চরণ-ছোঁয়ায় জীবন দানে, মায়াবিনী যাদু জানে — হার মানে ঊর্বশী অপ্সরী।।
চাঁদ হেরিছে চাঁদমুখ তার সরসীর আরশিতে
বাণী
চাঁদ হেরিছে চাঁদ–মুখ তার সরসীর আরশিতে। ছুটে তরঙ্গ বাসনা–ভঙ্গ সে অঙ্গ পরশিতে।। হেরিছে রজনী – রজনী জাগিয়া চকোর উতলা চাঁদের লাগিয়া, কাঁহা পিউ কাঁহা ডাকিছে পাপিয়া কুমুদীরে কাঁদাইতে।। না জানি সজনী কত সে রজনী কেঁদেছে চকোরী পাপিয়া, হেরেছে শশীরে সরসী–মুকুরে ভীরু ছায়া–তরু কাঁপিয়া। কেঁদেছে আকাশে চাঁদের ঘরণী চির–বিরহিণী রোহিণী ভরণী অবশ আকাশ বিবশা ধরণী কাঁদানীয়া চাঁদিনীতে।।