চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না
বাণী
চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এ নয়ন পানে। জানিতে নাইকো বাকি, সই ও আঁখি কি যাদু জানে।। একে ঐ চাউনি বাঁকা সুর্মা আঁকা তা’য় ডাগর আঁখি রে বধিতে তা’য় কেন সাধ? যে মরেছে ঐ নয়ন বাণে। মরেছে ঐ আঁখির বাণে।। চকোর কি প’ড়ল ধরা পীযূষ ভরা ঐ মুখ-চাঁদে (রে), কাঁদিছে নার্গিসের ফুল লাল কপোলের কমল-বাগানে। জ্বলিছে দিবস রাতি মোমের বাতি রূপের দেওয়ালি (রে), নিশিদিন তাই কি জ্বলি’ পড়ছ গলি’ অঝোর নয়ানে। মিছে তুই কথার কাঁটায় সুর বিঁধে হায় হার গাঁথিস কবি (রে)। বিকিয়ে যায় রে মালা এই নিরালা আঁখির দোকানে।।
চম্’কে চম্’কে ধীর ভীরু পায়
বাণী
চম্’কে চম্’কে ধীর ভীরু পায়, পল্লী–বালিকা বন–পথে যায় একেলা বন–পথে যায়।। শাড়ি তার কাঁটা লতায়, জড়িয়ে জড়িয়ে যায়, পাগল হাওয়াতে অঞ্চল ল’য়ে মাতে — যেন তার তনুর পরশ চায়।। শিরীষের পাতায় নূপুর, বাজে তার ঝুমুর ঝুমুর, কুসুম ঝরিয়া মরিতে চাহে তার কবরীতে, পাখী গায় পাতার ঝরোকায়।। চাহি’ তা’র নীল নয়নে, হরিণী লুকায় বনে, হাতে তা’র কাঁকন হ’তে মাধবী লতা কাঁদে, ভ্রমরা কুন্তলে লুকায়।।
চল রে কাবার জিয়ারতে
বাণী
চল রে কাবার জিয়ারতে, চল নবীজীর দেশ। দুনিয়াদারির লেবাস খুলে পর রে হাজীর বেশ।। আওকাতে তোর থাকে যদি - আরফাতের ময়দান, চল আরফাতের ময়দান, এক জামাত হয় যেখানে ভাই নিখিল মুসলমান। মুসলিম গৌরব দেখার যদি থাকে তোর খায়েশ।। যেথায় হজরত হলেন নাজেল মা আমিনার ঘরে খেলেছেন যার পথে-ঘাটে মক্কার শহরে, চল মক্কার শহরে। সেই মাঠের ধূলা মাখবি যথা নবী চরাতেন মেষ।। ক'রে হিজরত কায়েম হলেন মদিনায় হজরত - যে মদিনায় হজরত, সেই মদিনা দেখবি রে চল, মিটবে রে তোর প্রানের হসরত; সেথা নবীজীর ঐ রওজাতে তোর আরজি করবি পেশ।।