বাণী

চারু চপল পায়ে যায় যুবতী গোরী।।
আঁচলের পাল তুলে সে চলে ময়ূর-পঙ্খি-তরী।।
	আয়রে দেখবি যদি
	ভাদরের ভরা নদী,
চলে কে বে-দরদি — ভেঙে কূল গিরি-দরি।।
	মুখে চাঁদের মায়া
	কেশে তমাল-ছায়া,
এলোচুলে দুলে দুলে নেচে চলে হাওয়া-পরী।।
	নয়ন-বাণে মারে প্রাণে
	চরণ-ছোঁয়ায় জীবন দানে,
মায়াবিনী যাদু জানে — হার মানে ঊর্বশী অপ্সরী।।

বাণী

চপল আঁখির ভাষায়, হে মীনাক্ষী ক’য়ে যাও।
না-বলা কোন্ বাণী বলিতে চাও॥
	আড়ি পাতে নিঝ্‌ঝুম বন
	আঁখি তুলি’ চাহিবে কখন,
আঁখির তিরস্কারে ঐ বন-কান্তারে ফুল ফোটাও॥
নিটোল আকাশ টোল খায় তোমারি চাওয়ায়, হে মীনাক্ষী,
নদী-জলে চঞ্চল সফরী লুকায়, হে মীনাক্ষী!
	ওই আঁখির করুণা
	ঢালো রাগ অরুণা,
আঁখিতে আঁখিতে ফুল-রাখি বেঁধে দাও॥

বাণী

কোরাস্	:	চীন ও ভারতে মিলেছি আবার মোরা শত কোটি লোক।
			চীন ভারতের জয় হোক! ঐক্যের জয় হোক! সাম্যের জয় হোক।
			ধরার অর্ধ নরনারী মোরা রহি এই দুই দেশে,
			কেন আমাদের এত দুর্ভোগ নিত্য দৈন্য ক্লেশে।
পুরুষ কন্ঠ	:	সহিব না আজ এই অবিচার —
কোরাস্	:	খুলিয়াছে আজি চোখ॥
			প্রাচীন চীনের প্রাচীর মহাভারতের হিমালয়
			আজি এই কথা যেন কয় —
			মোরা সভ্যতা শিখায়েছি পৃথিবীরে-ইহা কি সত্য নয় ?
			হইব সর্বজয়ী আমরাই সর্বহারার দল,
			সুন্দর হবে শান্তি লভিবে নিপীড়িতা ধরাতল।
পুরুষ কন্ঠ	:	আমরা আনিব অভেদ ধর্ম —
কোরাস্	:	নব বেদ-গাঁথা-শ্লোক॥

বাণী

চিরদিন পূজা নিয়েছ দেবতা এবার মোদের পূজিতে হবে।
বৃথাই কেঁদেছি বৃথাই সেধেছি সহেছি দুঃখ শোক নীরবে।।
	টলেনি পাষাণ বলনি কথা
	কাঁদিয়েছ চিরকাল নিঠুর দেবতা,
কাঁদিতে হবে আজ আমাদের ঘরে সে-পূজার ঋণ সুধিবে এ ভবে।।

নাটক : ‘অন্নপূর্ণা’

বাণী

চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে।
দেখ্‌ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥
তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা;
(বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥
জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি
চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী।
কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী;
শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥

বাণী

চল রে কাবার জিয়ারতে, চল নবীজীর দেশ।
দুনিয়াদারির লেবাস খুলে পর রে হাজীর বেশ।।
আওকাতে তোর থাকে যদি - আরফাতের ময়দান,
	চল আরফাতের ময়দান,
এক জামাত হয় যেখানে ভাই নিখিল মুসলমান। 
মুসলিম গৌরব দেখার যদি থাকে তোর খায়েশ।।
যেথায় হজরত হলেন নাজেল মা আমিনার ঘরে
খেলেছেন যার পথে-ঘাটে মক্কার শহরে, 
	চল মক্কার শহরে।
সেই মাঠের ধূলা মাখবি যথা নবী চরাতেন মেষ।।
ক'রে হিজরত কায়েম হলেন মদিনায় হজরত - যে মদিনায় হজরত,
সেই মদিনা দেখবি রে চল, মিটবে রে তোর প্রানের হসরত;
সেথা নবীজীর ঐ রওজাতে তোর আরজি করবি পেশ।।