চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে
বাণী
চুড়ি কিঙ্কিনী রিনি রিন ঝিনি বীণ বাজায়ে চলে শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।। বাজে পায়ে পাঁইজোর ঘুঙুর ঝুমুর ঝুমুর গাহে পাপিয়া পিয়া পিয়া শুনি সে সুর শত পরান হতে চায় ঐ চরণে নূপুর হৃদি হতে চায় চাবি তাহার আঁচলে।। পথিকে বধিতে কি নদীতে সে জলকে যায় ছল চল বলি তাহার কলসিতে জল ছ’লকে যায় কাজল-ঘন চোখে বিজলি জ্বালা ঝলকে যায় মন-পতঙ্গ ধায় ঐ আঁখির অনলে শুনি নদীর নীল জলে জোয়ার উথলে।।
চপল আঁখির ভাষায় হে মীনাক্ষী ক’য়ে যাও
বাণী
চপল আঁখির ভাষায়, হে মীনাক্ষী ক’য়ে যাও। না-বলা কোন্ বাণী বলিতে চাও॥ আড়ি পাতে নিঝ্ঝুম বন আঁখি তুলি’ চাহিবে কখন, আঁখির তিরস্কারে ঐ বন-কান্তারে ফুল ফোটাও॥ নিটোল আকাশ টোল খায় তোমারি চাওয়ায়, হে মীনাক্ষী, নদী-জলে চঞ্চল সফরী লুকায়, হে মীনাক্ষী! ওই আঁখির করুণা ঢালো রাগ অরুণা, আঁখিতে আঁখিতে ফুল-রাখি বেঁধে দাও॥
চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না
বাণী
চেয়ো না সুনয়না আর চেয়ো না এ নয়ন পানে। জানিতে নাইকো বাকি, সই ও আঁখি কি যাদু জানে।। একে ঐ চাউনি বাঁকা সুর্মা আঁকা তা’য় ডাগর আঁখি রে বধিতে তা’য় কেন সাধ? যে মরেছে ঐ নয়ন বাণে। মরেছে ঐ আঁখির বাণে।। চকোর কি প’ড়ল ধরা পীযূষ ভরা ঐ মুখ-চাঁদে (রে), কাঁদিছে নার্গিসের ফুল লাল কপোলের কমল-বাগানে। জ্বলিছে দিবস রাতি মোমের বাতি রূপের দেওয়ালি (রে), নিশিদিন তাই কি জ্বলি’ পড়ছ গলি’ অঝোর নয়ানে। মিছে তুই কথার কাঁটায় সুর বিঁধে হায় হার গাঁথিস কবি (রে)। বিকিয়ে যায় রে মালা এই নিরালা আঁখির দোকানে।।