হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে
বাণী
হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে গোঠ-বিহারী বনে বনমালী সাজে। বঙ্কিম শিখী পাখা শোভিত অলক চন্দন তিলক ললাটে রাজে।। পথের ধুলি হরি চরণ পরশে হল সুরভিত হরি-চন্দন হরষে, নিখিল-ভক্ত-প্রাণ চরণে নূপুর হয়ে রুমু ঝুমু বাজে।। তৃণ নাহি পরশে উচাটন ধেনু সব বংশী-বট-তলে শোনে শ্যাম বেণুরব, অপরূপ অভিনব প্রেম অনুভব, জাগে ব্রজ-গোপীকার প্রাণের মাঝে।।
হে মাধব হে মাধব হে মাধব
বাণী
হে মাধব, হে মাধব, হে মাধব! তোমারেই প্রাণের বেদনা কব তোমারি শরণ লব।। সুখের সাগরে লহরি সমান হিল্লোলি’ উঠে যেন তব নমি গান দুঃখে শোকে কাঁদে যবে প্রাণ যেন নাম না ভুলি তব।। তুমি ছাড়া বিশ্বে কাহারও কাছে এ প্রাণ যেন কিছু নাহি যাচে। যেনতোমারি অধিক কেহ প্রিয় নাহি হয় বিশ্ব ভুবনে যেন হেনি তুমি-ময় কলঙ্ক-লাঞ্ছনা যত বাধা ভয় তব প্রেমে সকলি স’ব।।
হে প্রিয় নবী রসূল আমার
বাণী
হে প্রিয় নবী রসূল আমার প’রেছি আভরণ নামেরি তোমার।। নয়নের কাজলে তব নাম ললাটের টীপে জ্বলে তব নাম গাঁথা মম কুন্তলে আহমদ বাঁধা মোর অঞ্চলে তব নাম দুলিছে গলে মোর তব নাম মণিহার।। তাবিজ অঙ্গুরী তব নাম বাজু ও পৈচী চুড়ি তব নাম ভয়ে ভয়ে পথে পথে ঘুরি যে পাছে কেউ করে চুরি তব নাম ঐ নাম রূপ মোর ঐ নাম আঁখি ধার।। বুকের বেদনা ঢাকা তব নাম ধ্যানে মোর জ্ঞানে মোর তুমি যে প্রেম-ভক্তি মাখা তব নাম প্রিয় নাম আহমদ জপি আমি অনিবার।।
হার মানি ননদিনী
বাণী
হার মানি ননদিনী মুখর মুখের বাণী শুনি তোর লজ্জাও লাজ সখি ভোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে দোলে।। পলকের চাহনিতে কে জানে কেমনে প্রাণে এলো এত মধু এত লাজ নয়নে বাহিরে নীরব কথার কুহু অন্তরে মুহুমুহু বোলে বোলে মুহু মুহু কুহু কুহু বোলে।। তোরি মত ছিনু সই বনের কুরঙ্গী মানি নাই কোনদিন লাজের ভ্রুভঙ্গি। মধুরা মুখরা ওলো! মিষ্টি মুখের তোর সব মধু খেয়েছে কি ঠাকুর জামাই চোর? তব অভিনব বাণী হিল্লোলে গুন্ঠন আপনি খোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে।।
নাটিকাঃ ‘প্রীতি উপহার’