হে নামাজী আমার ঘরে নামাজ পড় আজ
বাণী
হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ। দিলাম তোমার চরণ-তলে হৃদয় -জায়নামাজ। আমি গুনাহগার বে-খবর, নামাজ পড়ার ন্ই অবসর (তব) চরণ-ছোঁয়ায় এই পাপীরে কর সরফরাজ।। তোমার ওজুর পানি মোছ আমার পিরান দিয়ে আমার এ ঘর হোক মসজিদ তোমার পরশ নিয়ে। যে শয়তানের ফন্দিতে ভাই, খোদায় ডাকার সময় না পাই সেই শয়তান যাক দূরে, শুনে তকবীরের আওয়াজ।।
হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না
বাণী
হয়ত আমার বৃথা আশা তুমি ফিরে আসবে না। আশা-তরী ডুববে কূলে দুখের স্রোতে ভাসবে না।। হয়তো তুমি এমনি ক'রে পথ চাওয়াবে জনম ভ'রে রইবে দূরে চিরতরে সামনে এসে হাসবে না।। কামনা মোর রইলো মনে রূপ ধ'রে তা উঠলো না; বারে বারে ঝরলো মুকুল ফুল হয়ে তা ফুটলো না। অবুঝ এ প্রাণ তবু কেন তোমার ধ্যানেই বিভোর হেন তুমি চির চপল নিঠুর - জানি, ভালোবাসবে না।।
হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে
বাণী
হায় আঙিনায় সখি আজো সেই চাঁপা ফোটে। হায় আকাশে সখি আজো কি সেই চাঁদ ওঠে।। সখি তাহার হাতের হেনা গাছে বুঝি প্রথম মুকুল ধরিয়াছে। হায় যমুনায়, বাঁশি বাজে কি আর ছায়ানটে।। শিয়রে জানালা খুলে দে বাহিরে চাহিয়া দেখি আমার বাগানে আবার বসন্ত আসিয়াছে কি? দেখি সে ডালিম ফুলে হায় আছে কি সে রঙ আগেকার। ও-বাড়ির ছাদের টবে সই বেলফুল ফুটলো কি আবার? আজি আসিবে সে মনে লাগে তারি আসার আভাস মনে জাগে হায় বুঝি তাই, মোর মরণ মধুর হয়ে ওঠে।।
হে মদিনার নাইয়া
বাণী
হে মদিনার নাইয়া! ভব-নদীর তুফান ভারি কর মোরে পার তোমার দয়ায় ত’রে গেল লাখো গুনাহ্গার॥ পারের কড়ি নাই হে আমার হয়নি নামাজ রোজা কূলে এসে বসে আছি নিয়ে পাপের বোঝা (আমায়) ‘পার কর ইয়া রসুল’ বলে কাঁদি জারে জার॥ তোমার নাম গেয়েছি শুধু কেঁদে সুব্হ শাম তরিবার মোর নাই ত’ পুঁজি বিনা তোমার নাম। হাজরো বার দরিয়াতে ডুবে যদি মরি ছাড়ব না মোর পারের আশা তোমার চরণ-তরী সবার শেষে পার যেন হয় এই খিদ্মতগার॥
হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে
বাণী
হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে গোঠ-বিহারী বনে বনমালী সাজে। বঙ্কিম শিখী পাখা শোভিত অলক চন্দন তিলক ললাটে রাজে।। পথের ধুলি হরি চরণ পরশে হল সুরভিত হরি-চন্দন হরষে, নিখিল-ভক্ত-প্রাণ চরণে নূপুর হয়ে রুমু ঝুমু বাজে।। তৃণ নাহি পরশে উচাটন ধেনু সব বংশী-বট-তলে শোনে শ্যাম বেণুরব, অপরূপ অভিনব প্রেম অনুভব, জাগে ব্রজ-গোপীকার প্রাণের মাঝে।।