হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে
বাণী
হেলে দুলে চলে বন-মালা গলে গোঠ-বিহারী বনে বনমালী সাজে। বঙ্কিম শিখী পাখা শোভিত অলক চন্দন তিলক ললাটে রাজে।। পথের ধুলি হরি চরণ পরশে হল সুরভিত হরি-চন্দন হরষে, নিখিল-ভক্ত-প্রাণ চরণে নূপুর হয়ে রুমু ঝুমু বাজে।। তৃণ নাহি পরশে উচাটন ধেনু সব বংশী-বট-তলে শোনে শ্যাম বেণুরব, অপরূপ অভিনব প্রেম অনুভব, জাগে ব্রজ-গোপীকার প্রাণের মাঝে।।
হে গোবিন্দ রাখ চরণে
বাণী
হে গোবিন্দ রাখ চরণে। মোরা তব চরণে শরণাগত আশ্রয় দাও আশ্রিত জনে হে॥ গঙ্গা ঝরে যে শ্রীচরণ বেয়ে কেন দুখ পাই সে চরণ চেয়ে এ ত্রিতাপ জ্বালা হর হে শ্রীহরি, চাহ করুণা সিক্ত নয়নে॥ হরি ভিক্ষা চাহিলে মানুষ নাহি ফিরায় তোমারি দুয়ারে হাত পাতিল যে, ফিরাবে কি তুমি তায়। হরি সব তরী ডুবে যায় তোমার চরণ তরী ত’ ডোবে না হায়, তব চরণ ধরিয়া ডুবে মরি যদি রবে কলঙ্ক নিখিল ভুবনে॥
হার মানি ননদিনী
বাণী
হার মানি ননদিনী মুখর মুখের বাণী শুনি তোর লজ্জাও লাজ সখি ভোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে দোলে।। পলকের চাহনিতে কে জানে কেমনে প্রাণে এলো এত মধু এত লাজ নয়নে বাহিরে নীরব কথার কুহু অন্তরে মুহুমুহু বোলে বোলে মুহু মুহু কুহু কুহু বোলে।। তোরি মত ছিনু সই বনের কুরঙ্গী মানি নাই কোনদিন লাজের ভ্রুভঙ্গি। মধুরা মুখরা ওলো! মিষ্টি মুখের তোর সব মধু খেয়েছে কি ঠাকুর জামাই চোর? তব অভিনব বাণী হিল্লোলে গুন্ঠন আপনি খোলে পুলকে প্রাণ মন দোলে।।
নাটিকাঃ ‘প্রীতি উপহার’
হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি
বাণী
হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি। শরণাগত আর্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণ — যুগ যুগ সম্ভব নারায়ণ দানবারি।। ভূ-ভার হরণে এসো জনার্দন হৃষিকেশ, কল্কীরূপে অধর্ম নিধনে এসো দনুজারি — কংসারি গিরিধারী ডাকে ভয়ার্ত নরনারী।। দুর্বল দীনের বন্ধু, জন-গণ ত্রাতা নিঃস্বের সহায় পরমেশ বিশ্ব-বিধাতা, তিমির-বিদারি এসো মহা-ভারত-বিহারী।। এসো উৎপীড়িতের নীরব রোদনে এসো এসো বীরের আত্মদানে প্রাণ-উদ্বোধনে এসো, দেশ-দ্রৌপদীর লজ্জাহারী, দৈত্য-গর্ব-খর্ব-কারী — শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।।