বাণী

হংস-মিথুন ওগো যাও ক’য়ে যাও।
বৈশাখী তৃষ্ণার জল কোথা পাও।।
কোন মানস-সরোবর জলে
পদ্মপাতার ছায়া-তলে,
পাখায় বাঁধিয়া পাখা দু’জনে প্রখর বিরহ দাহন জুড়াও।।
অলস দুপুর মোর কাটে না একা,
ঝ’রে যায় চন্দন-পত্রলেখা।
কখন আসিবে মেঘ নভে
মিটিবে আমার তৃষ্ণা কবে,
তৃষায় মূর্ছিতা চাতকী কোথায় তাহার ঘনশ্যাম, ব’লে দাও।।

বাণী

(হরি) নাচত নন্দদুলাল
শ্যামল সুন্দর মদন মনোহর
নওল কিশোর কানাইয়া গোপাল।
নাচত গিরিধারী ময়ূর মুকুট পরি
দিকে দিকে ছন্দ আনন্দ পড়িছে ঝরি
নাচে গোপী সখা বংশীওয়ালা হরি
রুনুঝুনু বাজওত ঘুঙ্গুর তাল।

নাটিকাঃ ‘মীরাবাঈ’

বাণী

হে মদিনার বুলবুলি গো গাইলে তুমি কোন গজল।
মরুর বুকে উঠল ফুটে প্রেমের রঙিন গোলাপ দল।।
দুনিয়ার দেশ-বিদেশ থেকে, গানের পাখি উঠল ডেকে
মুয়াজ্জিনের আজান ধ্বনি উঠল ভেদি গগনতল।।
সাহারার দগ্ধ বুকে রচ তুমি গুলিস্তান
সেথা আস্‌হাব সব ভ্রমর হয়ে শাহাদতের গাইল গান।
দোয়েল কোকিল দলে দলে আল্লা রসূল উঠল ব'লে
আল্‌ কোরানের পাতার কোলে খোদার নামের বইল ঢল।।

বাণী

হে নট-ভৈরবী আশাবরি।
ওঠো গো অরুণ গান বিসরি’।।
চেয়ে আছ জলভরা নয়নে,
তীব্র নিদাঘ তাপ কোমল করি’।।
পঞ্চমে কোয়েলিয়া ক’য়ে যায়
প্রথম প্রহর দিবা ব’য়ে যায়,
গুরু গঞ্জনা দিতে আসে ঐ —
মুখ ভার করি’ তব ননদিনী তোড়ি।।

বাণী

হে পাষাণ দেবতা!
মন্দির দুয়ার খোল কও কথা।।
দুয়ারে দাঁড়ায়ে শ্রান্তি-হীন দীর্ঘ দিন,
অঞ্চলের পূষ্পাঞ্জলি শুকায়ে যায় উষ্ণ বায়;
আঁখি দীপ নিভিছে হায়, কাঁপিছে তনুলতা।
শুভ্রবাসে পূজারিণী, দিন শেষে —
গোধুলির গেরুয়া রঙ হের প্রিয় লাগে এসে;
খোল দ্বার শরণ দাও, সহে না আর নীরবতা।।

বাণী

হে গোবিন্দ, হে গোবিন্দ
ও রাঙা চরণ কমল ঘেরি
গুঞ্জরে কোটি ভক্তবৃন্দ।।
শত দুখ দিয়ে ভক্তের সাথ,
একি অনন্ত-লীলা তব নাথ
যোগী মুনি ঋষি বুঝিতে পারে না
তুমি অচিন্ত্য তুমি অনিন্দ্য
লীলা-রসিক হে গোবিন্দ।।

নাটিকা: ‘নরমেধ’