হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি
বাণী
হে প্রবল দর্পহারী কৃষ্ণ-মুরারি। শরণাগত আর্ত-পরিত্রাণ-পরায়ণ — যুগ যুগ সম্ভব নারায়ণ দানবারি।। ভূ-ভার হরণে এসো জনার্দন হৃষিকেশ, কল্কীরূপে অধর্ম নিধনে এসো দনুজারি — কংসারি গিরিধারী ডাকে ভয়ার্ত নরনারী।। দুর্বল দীনের বন্ধু, জন-গণ ত্রাতা নিঃস্বের সহায় পরমেশ বিশ্ব-বিধাতা, তিমির-বিদারি এসো মহা-ভারত-বিহারী।। এসো উৎপীড়িতের নীরব রোদনে এসো এসো বীরের আত্মদানে প্রাণ-উদ্বোধনে এসো, দেশ-দ্রৌপদীর লজ্জাহারী, দৈত্য-গর্ব-খর্ব-কারী — শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম-ধারী।।
হাতে হাত দিয়ে আগে চল হাতে নাই থাক হাতিয়ার
বাণী
হাতে হাত দিয়ে আগে চল হাতে নাই থাক হাতিয়ার। জমায়েত হও, আপনি আসিবে শক্তি জুলফিকার।। আন আলীর শৌর্য, হোসেনের ত্যাগ ওমরের মত কর্মানুরাগ; খালেদের মত সব অশান্ত ভেঙে কর একাকার।। ইসলামে নাই ছোট বড় আর আশরাফ আতরাফ নিষ্ঠুর হাতে এই ভেদ জ্ঞান কর মিসমার সাফ। চাকর সৃজিতে , চাকরি করিতে, ইসলাম আসে নাই পৃথিবীতে। মরিবে ক্ষুধায় কেহ নিরন্ন, কারো ঘরে রবে অঢেল অন্ন এ জুলুম সহেনি, ইসলাম, সহিবে না আজো আর।।
হরি হে তুমি তাই দূরে থাক স’রে
বাণী
হরি হে তুমি তাই দূরে থাক স’রে হরি প্রভু বলে মোরা দূরে রাখি পাষাণ দেউলে রাখিয়াছি হায় তোমারে পাষাণ করে॥ তোমায় চেয়েছিল গোপিনীরা সেদিনও চেয়েছি মীরা ডেকে প্রিয়তম বলে তোমায় গোপাল বলিয়া ডাকিয়া পাইল যশোদা মা শচী কোলে অন্তরতম হতে নিশিদিন থাক তুমি অন্তরে॥ দেবতা ভাবিয়া পূজা দিই মোরা তুমি তাহা নাহি খাও তুমি লুকায়ে ভিখারি সাজিয়া মোদের পাতের অন্ন চাও। রাখাল ছেলের আধ খাওয়া ফল কেড়ে খাও তুমি হে চির সজল মোরা ভয় করি তাই লুকাইয়া থাক তুমি অভিমান ভরে॥