এসো এসো রস-লোক বিহারী
বাণী
এসো এসো রস-লোক বিহারী এসো মধুকর-দল। এসো নভোচারী — স্বপন-কুমার এসো ধ্যান-নিরমল।। এসো হে মরাল কমল-বিলাসী, বুলবুল পিক সুর-লোক-বাসী, এসো হে স্রষ্টা এসো অ-বিনাশী এসো জ্ঞান-প্রোজ্জ্বল।। দীওয়ানা প্রেমিক এসো মুসাফির — ধূলি-ম্লান তবু উন্নত শির, আমরা-অমৃত-জয়ী এসো বীর আনন্দ বিহ্বল।। মাতাল মানব করি’ মাতামাতি দশ হাতে যবে লুটে যশ খ্যাতি, তোমরা সৃজিলে নব দেশ জাতি অগোচর অচপল।। খেল চির-ভোলা শত ব্যথা স’য়ে সংঘাত ওঠে সঙ্গীত হ’য়ে, শত বেদনার শতদল ল’য়ে লীলা তব অবিরল।। ভুলি’ অবহেলা অভাব বিষাদ ধরণীতে আনো স্বর্গের স্বাদ, লভি’ তোমাদের পুণ্য প্রসাদ পেনু তীর্থের ফল।।
এসো প্রিয়তম এসো প্রাণে
বাণী
এসো প্রিয়তম এসো প্রাণে। এসো সুদূর মোর অভিমানে।। এসো কম্পিত হৃদয়ের ছন্দে এসো বিরহের বিধুর আনন্দে, এসো বেদনার চন্দন-গন্ধে — মম পূজার বন্দনা-গানে।। সুখ-স্বপন হয়ে এসো ঘুমে এসো হৃদয়েশ, মালার কুসুমে, এসো তপনের রূপে আঁখি চু’মে — ঘুম ভাঙায়ো নিশি-অবসানে।। এসো মাধবী-কাঁকন হয়ে হাতে এসো কাজল হয়ে আঁখি-পাতে, এসো পূর্ণিমা চাঁদ হয়ে রাতে — এসো ফুল-চোর মালতী-বিতানে।।
নাটক : ‘অর্জুন বিজয়’ (নাট্যকার : দেবেন্দ্রনাথ রাহা)
এলো আবার ঈদ ফিরে
বাণী
এলো আবার ঈদ ফিরে এলো আবার ঈদ, চলো ঈদগাহে। যাহার আশায় চোখে মোদের ছিল না রে নিদ, চলো ঈদ্গাহে।। শিয়া সুন্নী, লা-মজহাবী একই জামাতে এই ঈদ মোবারকে মিলিবে এক সাথে, ভাই পাবে ভাইকে বুকে, হাত মিলাবে হাতে; আজ এক আকাশের নীচে মোদের একই সে মসজিদ, চলো ঈদগাহে।। ঈদ এনেছে দুনিয়াতে শিরণী বেহেশ্তী, দুশ্মনে আজ গলায় ধ'রে পাতাব ভাই দোস্তী, জাকাত দেব ভোগ-বিলাস আজ গোস্সা ও বদ্মস্তি; প্রাণের তশ্তরীতে ভ'রে বিলাব তৌহীদ — চলো ঈদ্গাহে।। আজিকার এই ঈদের খুশি বিলাব সকলে, আজের মত সবার সাথে মিল্ব গলে গলে, আজের মত জীবন-পথে চলব দলে দলে প্রীতি দিয়ে বিশ্ব-নিখিল ক'রব রে মুরীদ্ — চলো ঈদগাহে।।
এসো আনন্দিতা ত্রিলোক-বন্দিতা
বাণী
এসো আনন্দিতা ত্রিলোক-বন্দিতা কর দীপান্বিতা আঁধার অবনি মা। ব্যাপিয়া চরাচর শারদ অম্বর ছড়াও অভয় হাসির লাবনি মা।। সারাটি বরষ নিখিল ব্যথিত চাহিয়া আছে মা তব আসা-পথ, ধরার সন্তানে ধর তব কোলে ভুলাও দুঃখ-শোক চির-করুণাময়ী মা।। অটুট স্বাস্থ্য দীর্ঘ পরমায়ু দাও আরো আলো নির্মল বায়ু, দশ হাতে তব আনো মা কল্যাণ পীড়িত-চিত গাহে অকাল জাগরণী মা।।
এ কুল ভাঙ্গে ও কুল গড়ে
বাণী
এ-কূল ভাঙে ও-কূল গড়ে এই তো নদীর খেলা। সকাল বেলা আমির, রে ভাই (ও ভাই) ফকির, সন্ধ্যাবেলা॥ সেই নদীর ধারে কোন্ ভরসায় বাঁধলি বাসা, ওরে বেভুল, বাঁধলি বাসা, কিসের আশায়? যখন ধরলো ভাঙন পেলি নে তুই পারে যাবার ভেলা। এই তো বিধির খেলা রে ভাই এই তো বিধির খেলা॥ এই দেহ ভেঙে হয় রে মাটি, মাটিতে হয় দেহ যে কুমোর গড়ে সেই দেহ, তার খোঁজ নিল না কেহ (রে ভাই)। রাতে রাজা সাজে নাচমহলে দিনে ভিক্ষা মেগে বটের তলে শেষে শ্মশান ঘাটে গিয়ে দেখে সবাই মাটির ঢেলা এই তো বিধির খেলা রে ভাই ভব নদীর খেলা॥