এলো রে শ্রী দুর্গা
বাণী
এলো রে শ্রী দুর্গা শ্রী আদ্যাশক্তি মাতৃরূপে পৃথিবীতে এলো রে গভীর স্নেহরস ধারায় কল্যাণ কৃপা করুণায় স্নিগ্ধ করিতে॥ উর্ধ্বে উড়ে যায় শান্তির পতাকা শুভ্র শান্ত মেঘ আনন্দ বলাকা মমতার অমৃত লয়ে শ্যামা, মা হয়ে এলো রে সকলের দুঃখ দৈন্য হরিতে॥ প্রতি হৃদয়ের শতদলে শ্রীচরণ ফেলে বন্ধন কারার দুয়ার ঠেলে। এলো রে দশভুজা সর্বমঙ্গলা মা হয়ে দুর্বলে দুর্জয় করিতে নিরন্নে অন্ন দিতে॥
এই শিকল পরা ছল
বাণী
এই শিকল পরা ছল মোদের এ শিকল-পরা ছল। এই শিকল পরেই শিকল তোদের করব রে বিকল।। তোদের বন্ধ কারায় আসা মোদের বন্দী হতে নয়, ওরে ক্ষয় করতে আসা মোদের সবার বাঁধন–ভয়। এই বাঁধন প’রেই বাঁধন–ভয়কে কর্ব মোরা জয়, এই শিকল– বাঁধা পা নয় এ শিকল ভাঙা কল।। তোমার বন্ধ ঘরের বন্ধনীতে কর্ছ বিশ্ব গ্রাস, আর ভয় দেখিয়েই ক’র্বে ভাবছ বিধির শক্তি হ্রাস সেই ভয় দেখানো ভূতের মোরা ক’র্বো সর্বনাশ, এবার আন্বো মাভৈঃ বিজয়–মন্ত্র বল–হীনের বল।। তোমরা ভয় দেখিয়ে কর্ছ শাসন জয় দেখিয়ে নয়; সেই ভয়ের টুঁটি ধর্ব টিপে কর্ব তারে লয়। মোরা আপনি ম’রে মরার দেশে আন্ব বরাভয়, প’রে ফাঁসি আন্ব হাসি মৃত্যু–জয়ের ফল।। ওরে ক্রন্দন নয় বন্ধন এই শিকল–ঝঞ্ঝনা, এ যে মুক্তি–পথের অগ্রদূতের চরণ–বন্দনা! এই লাঞ্ছিতেরাই অত্যাচারকে হান্ছে লাঞ্ছনা, মোদের অশ্রু দিয়েই জ্ব’লবে দেশে আবার বজ্রানল।।
এমনি মধুর ক্ষণে প্রিয়তম নাহি
বাণী
এমনি মধুর ক্ষণে প্রিয়তম নাহি পাশে। আকুল পরান মম চম্পা-ফুল-সুবাসে।। উতলা সমীরে বাজে ব্যাকুল বাঁশি কাননে উছলি’ পড়ে সুরের রাশি, আলোকে সুরভি তারি গগন ভরিয়া হাসে।। বাতায়নে মোর নিশীথের তারা সুধায় নীরবে ডাকি, ‘হায় গো উদাসী এমন নিশায় সজল কেন গো আঁখি।’ সুদূরে রহিল বঁধু একেলা আমি অসহ বিরহ সহি দিবসযামী, আশার মালিকা রচি’, বসিয়া তাহারি আশে।।
এসো চির-জনমের সাথি
বাণী
এসো চির-জনমের সাথি। তোমারে খুঁজেছি দূর আকাশে জ্বালায়ে চাঁদের বাতি।। খুঁজেছি প্রভাতে গোধূলি-লগনে মেঘ হয়ে আমি খুঁজেছি গগনে, ঢেকেছে ধরণী আমার কাঁদনে অসীম তিমির রাতি।। ফুল হয়ে আছে লতায় জড়ায়ে মোর অশ্রুর স্মৃতি, বেণু বনে বাজে বাদল-নিশীথে আমারি করুণ-গীতি। শত জনমের মুকুল ঝরায়ে ধরা দিতে এলে আজি মধু-বায়ে, ব’সে আছি আশা-বকুলের ছায়ে বরণের মালা গাঁথি’।।