এসো চির-জনমের সাথি
বাণী
এসো চির-জনমের সাথি। তোমারে খুঁজেছি দূর আকাশে জ্বালায়ে চাঁদের বাতি।। খুঁজেছি প্রভাতে গোধূলি-লগনে মেঘ হয়ে আমি খুঁজেছি গগনে, ঢেকেছে ধরণী আমার কাঁদনে অসীম তিমির রাতি।। ফুল হয়ে আছে লতায় জড়ায়ে মোর অশ্রুর স্মৃতি, বেণু বনে বাজে বাদল-নিশীথে আমারি করুণ-গীতি। শত জনমের মুকুল ঝরায়ে ধরা দিতে এলে আজি মধু-বায়ে, ব’সে আছি আশা-বকুলের ছায়ে বরণের মালা গাঁথি’।।
এতো ঘুম নয় সই নয়ন ভরা রঙিন স্বপনে
বাণী
এতো ঘুম নয় সই নয়ন ভরা রঙিন স্বপনে আমি যেন হারিয়ে গেছি কোন ফুলবনে ওগো রঙিন স্বপনে।। আমি যেন চাঁদনি রাতে মিশিয়ে গিয়ে হাওয়ার সাথে গোপন প্রিয়ার গোপন কথা শুনছি গোপনে।। আমি যেন মৌমাছিদের হালকা পাখায় বসি কোন প্রেয়সী মন টানে মোর কোন সে রুপসী। আমি যেন কেমন করে মেতেছি মোর রূপের তরে অশান্ত যৌবনের একি বাহুর বাঁধনে।।
এক্লা ভাসাই গানের কমল
বাণী
এক্লা ভাসাই গানের কমল সুরের স্রোতে। খেলার ছলে ওপার পানে এপার হ’তে।। আসবে গো এই গাঙের কূলে হয়ত ভুলে আমার প্রিয়া খোঁপায় নেবে আমার গানের কমল তুলে তামার প্রিয়া খুঁজতে আমায় আসবে সুরের নদী-পথে।। নাম-হারা কোন্ গাঁয়ে থাকে অচেনা সে, তারে না-ই জানিলাম, গান ভেসে যাক্ তাহার আশে। নদীর জলে আল্তা-রাঙা পা ডুবায়ে, রয় সে মেয়ে গানের কমল লাগে গো তা’র কমল-পায়ে, উজান বেয়ে, সেদিন অমর হয় মোর গান, যায় অমরায় পুষ্প-রথে।।
এ আঁখি জল মোছ পিয়া
বাণী
এ আঁখি জল মোছ পিয়া ভোলো ভোলো আমারে। মনে কে গো রাখে তারে (ওগো) ঝরে যে ফুল আঁধারে।। ফোটা ফুলে ভরি’ ডালা গাঁথ বালা মালিকা, দলিত এ ফুল লয়ে, (ওগো) দেবে গো বল কারে।। স্বপনের স্মৃতি প্রিয় জাগরণে ভুলিও, ভুলে যেয়ো দিবালোকে রাতের আলেয়ারে। ঘুমায়েছ সুখে তুমি সে কেঁদেছে জাগিয়া, তুমি জাগিলে গো যবে সে ঘুমায়ে ওপারে।।
এসো বঁধু ফিরে এসো
বাণী
এসো বঁধু ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান। দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।। জানি আমি অপরাধী তাই দিবানিশি কাঁদি’, নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।। ফিরে গেলে দ্বারে আসি’ বাসি কিনা ভালোবাসি, কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।। সে-দিন বালিকা-বধূ শরমে মরম-মধু, পি’য়াতে পারিনি বঁধু — আজ এসে কর পান।। ফিরিয়া আসিয়া হেথা দিও দুখ দিও ব্যথা, সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষাণ।।