এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল
বাণী
এ নহে বিলাস বন্ধু ফুটেছি জলে কমল এ যে ব্যথা রাঙা হৃদয় আঁখি জলে টলমল।। কমল মৃণাল দেহ ভরেছে কন্টক ঘায় শরণ লয়েছি গো তাই শীতল দীঘির জল।। ডুবেছি আজ কালো জলে কত যে জ্বালা স'য়ে শত ব্যথা ক্ষত লয়ে হইয়াছি শতদল।। কবি রে কোন ক্ষত মুখে ফোটে যে তোর গীত সুর সে ক্ষত দেখিল না কেউ দেখিল তোরে কেবল সে গীতি দেখিল না কেউ শুনিল গীতি কেবল।।
এবারের পূজা মাগো দশভূজা
বাণী
মা-মা-মা-মা-মা-মাগো এবারের পূজা মাগো দশভূজা বড় দুর্গতিময়। পড়েছিস এ.বি.সি.ডি? বুঝিস ব্ল্যাক আউট কারে কয়? ব্ল্যাক আউট মানে যত কালো ছিল বাহির হয়েছে মাগো যত আলো ছিল যত ভালো ছিল, সকলেরে বলে ভাগো। ডাইনে বাঁ ধারে ভীষণ আঁধারে হাঁটু কাঁপে আর হাঁটি আমড়ার মত হয়ে আছি মাগো চামড়া এবং আঁটি। নন্দী ভৃঙ্গী সিঙ্গি যাইলে তাহারাও ভয় পাবে তাদের দিব্য দৃষ্টি লয়েও মাগো আঁধারে হোঁচট খাবে। বলি বিগ্রহ তোর কে দেখিতে যাবে মা কুগ্রহের ফেরে বিড়ি খেয়ে ফেরে গুন্ডারা যদি দেয় মাগো ভুঁড়ি ফেড়ে। মা তুই বর দেওয়ার আগেই বর্বরেরা এসে ঠেসে ধরে নিয়ে যাবে চিত্রগুপ্তের দেশে। চোঁয়া ঢেকুর ওঠে মা মেকুর ডাকিলে কেঁদে উঠি ওঙা ওঙা; ঢেঁকির আওয়াজ শুনলে মাগো ভয়ে খাড়া হয়ে ওঠে রোঁয়া। সত্য পথে মা চলিতে পারি না পথে কাদা রাখে ফেলে উচিত কথা মাগো বলিতে পারি না চিৎ করে দেয় ফেলে। এ চিতে শক্তি দে মা চিৎ করবো ভয়কে বলবো এবার তোরে খাব দে মা মাগো মা।।
নাট্য-গ্রন্থঃ ‘ব্লাক আউট’
ব্ল্যাক আউট নাট্যগ্রন্থের এই পাঠকে, আদি রেকর্ডের (এন. ২৭২০৬) পাঠের তুলনায়, স্বতন্ত্র গান হিসাবে বিবেচনা করা যায়।
[অগ্রন্থিত নজরুল, সংকলন ও সম্পাদনাঃ ব্রহ্মমোহন ঠাকুর, ডি.এম. লাইব্রেরি, কলকাতা, ২০০৩]
এসো আনন্দিতা ত্রিলোক-বন্দিতা
বাণী
এসো আনন্দিতা ত্রিলোক-বন্দিতা কর দীপান্বিতা আঁধার অবনি মা। ব্যাপিয়া চরাচর শারদ অম্বর ছড়াও অভয় হাসির লাবনি মা।। সারাটি বরষ নিখিল ব্যথিত চাহিয়া আছে মা তব আসা-পথ, ধরার সন্তানে ধর তব কোলে ভুলাও দুঃখ-শোক চির-করুণাময়ী মা।। অটুট স্বাস্থ্য দীর্ঘ পরমায়ু দাও আরো আলো নির্মল বায়ু, দশ হাতে তব আনো মা কল্যাণ পীড়িত-চিত গাহে অকাল জাগরণী মা।।
এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী
বাণী
এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী গোপাল গিরিধারী শ্যাম। তেমনি যমুনা বিগলিত-করুণা কুলু কুলু কুলু স্বরে ডাকে অবিরাম।। কোথায় গোকুল-বিহারী শ্রীকৃষ্ণ চাহিয়া পথ পানে ধরণী সতৃষ্ণ, ডাকে মা যশোদায় নীলমণি আয় আয় ডেকে যায় নন্দ শ্রীদাম।। ডাকে প্রেম-সাধিকা আজো শত রাধিকা গোপ-কোঙারি, এসো নওল-কিশোর কুল-লাজ-মান-চোর ব্রজ-বিহারী। পরি’ সেই পীতধড়া, সেই বাঁকা শিখী চূড়া বাজায়ে বেণূ আরবার এসো গোঠে, খেল সেই ছায়া-বটে চরাও ধেনু কদম তমাল-ছায়ে এসো নূপুর পায়ে ললিত বঙ্কিম ঠাম।।