বাণী

এলে কি বঁধু ফুল-ভবনে।
মেলিয়া পাখা নীল গগনে।।
একা কিশোরী লাজ বিসরি’
তোমারে স্মরি সঙ্গোপনে,
এসো গোধূলির রাঙা লগনে।।
পাতার আসন শাখায় পাত,
বালিকা কলির মালিকা গাঁথ,
দিনু গন্ধ-লিপি ভোর-পবনে।।

বাণী

এ দেবদাসীর পূজা লহ হে ঠাকুর।
দয়া কর, কথা কও, হ’য়ো না নিঠুর।।
লহ মান অভিমান, দেহ প্রাণ মন
মম প্রেম-ধূপ নাও রূপচন্দন,
এই লহ আভরণ, চুড়ি-কঙ্কন –
চোখের দৃষ্টি নাও কণ্ঠের সুর।।
আজ, শেষ ক’রে আপনারে দিব তব পায়,
চাও চাও মোর কাছে যাহা সাধ যায়।
কহিবে না কথা কি গো তুমি কিছুতেই?
আরতির থালা তবে ফেলে দিনু এই,
নাচিব না, বাজুক না মৃদঙ্গ তাল –
খুলিয়া রাখিনু এই পায়ের নূপুর।।

বাণী

এতো একা চন্দ্রমণি সে মানিকের ডালা।
এ সারা বনে একটি কুসুম, সে কুসুমের মালা।।
হাসলে কন্যা ফুটে ওঠে পৃথিবীতে ফুল
সে কাঁদ্‌লে পরে ভেঙ্গে পড়ে সাত সাগরের কূল,
ইন্দ্রলোকে দেখেনি কেউ তেমন দেব-বালা।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

		এবার যখন উঠ্‌বে সন্ধ্যাতারা — সাঁঝ আকাশে
		দেখতে পাবে দু’টি নতুন তারা — তাহার পাশে।।
			চেয়ে’ দেখ ভালো ক’রে
			কা’র দু’টি চোখ যেন ম’রে,
		তারা হয়ে ধরার পানে চাহে তোমার আঁখি দেখার আশে।।
		যে দু’টি চোখ নিত্য লোকের মাঝে তোমায় দিত লাজ
		পড়বে মনে গো —
		সেই দু’টি চোখ চিরতরে এই পৃথিবী হতে হারিয়ে গেছে আজ।
			পায়নি গো, তাই অভিমানে
			চ’লে গেলে দূর বিমানে,
(দেখো)	সেদিন যেন আজের মত চাইতে ওদের পানে
							দ্বিধা নাহি আসে।।

বাণী

এসো মা দশভুজা
দশহাতে কল্যাণ আন দশভুজা
মৃত্যুঞ্জয় ঘরনী! মৃতজনে অমৃত দান।
নিরাশ প্রাণে দাও আশা
মূকজনে দাও ভাষা
আঁধার মহিষাসুর বুকে আলোর ত্রিশূল হান॥
দেও জয় বরাভয়, শক্তি, তেজ, প্রেম, প্রীতি
দনুজদলনী! শাপ মুক্ত কর ক্ষিতি,
এলে যদি আর বার মাগো
ভক্তের হৃদি মাঝে জাগো
দুঃখ শোক আর দিও না গো 
		তারিণী সন্তানে ত্রাণ॥

বাণী

এই আমাদের বাংলাদেশ এই আমাদের বাংলাদেশ
যে দিকে চাই স্নিগ্ধ শ্যামল চোখ জুড়ানো রূপ অশেষ।।
চন্দনিত শীতল বাতাস বয় এ দেশে নিরন্তর
জোছনা সম কোমল হয়ে আসে হেথায় রবির কর
জীবন হেথায় স্নেহ সরস সরল হৃদয় সহজ বেশ।।
নিত্য হেথা করছে মেঘে স্বর্গ হতে শান্তি জল
মাঠে ঘাটে লক্ষ্মী হেথায় ছড়িয়ে রাখে ফুল কমল।
হাঙ্গোর কুমির শার্দুল সাপ খেলার সাথি এই জাতির
দিল্লির যশ করল হরণ এই দেশেরি প্রতাপ বীর
একদা এই দেশের ছেলে জয় করেছে দেশ বিদেশ।।

রেকর্ড: ‘প্রতাপদিত্য’, (নাটিকার: যোগেশ চৌধুরী)