বাণী

এতো ঘুম নয় সই নয়ন ভরা রঙিন স্বপনে
আমি যেন হারিয়ে গেছি কোন ফুলবনে
	ওগো রঙিন স্বপনে।।
আমি যেন চাঁদনি রাতে
মিশিয়ে গিয়ে হাওয়ার সাথে
গোপন প্রিয়ার গোপন কথা শুনছি গোপনে।।
আমি যেন মৌমাছিদের হালকা পাখায় বসি
কোন প্রেয়সী মন টানে মোর কোন সে রুপসী।
আমি যেন কেমন করে
মেতেছি মোর রূপের তরে
অশান্ত যৌবনের একি বাহুর বাঁধনে।।

বাণী

এলো কৃষ্ণ কানাইয়া তমাল বনে সাজো ঝুলনের সাজে
তারে গোপবালিকার মালা পরাব আজি এ রাখাল বাজে।।
নব নীপমালাপরি আসিল কিশোর হরি
বাজিল ঘন মেঘে বাঁশরি বৃষ্টিতে নূপুর বাজে।।
সে এসেছে ঐ মেঘ চন্দন মন্থন তনু গোপী বরণ এসেছে
নীল লাবনিতে ছাইয়া অবনি বিদ্যুত হাসি হেসেছে।
ঘনঘটা গগনে দোলা লাগায় মনে মনে।
দোলা লেগেছে, নয়নে মনে দোলা লেগেছে
শয়নে স্বপনে দোলা লেগেছে-বাঁধো বাঁধো ঝুলনা
খোঁপায় পরিয়া দোপাটি মালিকা সাজো সাজো অতুলনা
নির্দয় হৃদয়হীনে বাঁধিব হৃদয় মাঝে।।

বাণী

এস প্রিয় আরো কাছে
পাইতে হৃদয়ে এ বিরহী মন যাচে।।
দেখাও প্রিয় ঘন
ও রূপ মোহন
যে রূপে প্রেমাবেশে পরান নাচে।।

বাণী

এ বাসি বাসরে আসিলে কে গো ছলিতে।
কেন পুন বাঁশি বাজালে কাফি ললিতে।। 
নিশীথ গভীরে কেন আঁখি-নীরে এলে ফিরে ফিরে
			গোপন কথা বলিতে।।
দলিত কুসুম-দলে রচিয়াছি শয়ন,
অন্ধ তিমির রাতি, নিভু নিভু নয়ন;
মরণ বেলায় প্রিয় আনিলে কি অমিয়,
এলে কি গো নিঠুর ঝরা ফুল দলিতে।।

বাণী

একাদশীর চাঁদ রে ওই রাঙা মেঘের পাশে
যেন কাহার ভাঙা কলস আকাশ গাঙে ভাসে।।
	সেই কলসি হতে ধরার ’পরে
	অঝোর ধারায় মধু ঝরে রে
দলে দলে তাই কি তারার মৌমাছিরা আসে।।
সেই মধু পিয়ে ঘুমের নেশায় ঝিমায় নিশীথ রাতি
বন-বধূ সেই মধু ধরে ফুলের পাত্র পাতি’।
	সেই মধু এক বিন্দু পিয়ে
	সিন্ধু ওঠে ঝিলমিলিয়ে রে
সেই চাঁদেরই আধখানা কি তোমার মুখে হাসে।।

বাণী

এলো মিলন-রাতি
জ্বলে বাসর-বাতি
ওগো পরান-সাথি
	এসো পরানে।।
প্রেম-কুসুম গাঁথি
ছিনু আসন পাতি
ছিনু হরষে মাতি
	তব বরণ-গানে।।
প্রেম-মদির-আঁখি
আঁখিতে রাখি,
শুধু চাহিয়া থাকি
	তব মুখের পানে।।

নাটক : ‘কাফন-চোরা’