বাণী

এলো রে শ্রী দুর্গা
শ্রী আদ্যাশক্তি মাতৃরূপে পৃথিবীতে এলো রে
গভীর স্নেহরস ধারায় কল্যাণ কৃপা করুণায় স্নিগ্ধ করিতে॥
উর্ধ্বে উড়ে যায় শান্তির পতাকা
শুভ্র শান্ত মেঘ আনন্দ বলাকা
মমতার অমৃত লয়ে শ্যামা, মা হয়ে এলো রে
সকলের দুঃখ দৈন্য হরিতে॥
প্রতি হৃদয়ের শতদলে শ্রীচরণ ফেলে
বন্ধন কারার দুয়ার ঠেলে।
এলো রে দশভুজা সর্বমঙ্গলা মা হয়ে
দুর্বলে দুর্জয় করিতে নিরন্নে অন্ন দিতে॥

বাণী

এলো ঐ		পূর্ণ শশী		ফুল-জাগানো
বহে বায়		বকুল-বনে	ঘুম-ভাঙানো।।
লাগিল		জাফরানি-রঙ	শিউলি-ফুলে
ফুটিল		প্রেমের কুঁড়ি	পাপড়ি খুলে,
খুশির আজ	আমেজ জাগে	মন-রাঙানো।।
চাঁদিনী		ঝিলমিলায়	ঝিলের জলে,
আবেশে		শাপলা ফুলের	মৃণাল টলে,
জাগে ঢেউ	দীঘির বুকে	দোল-লাগানো।।
এসো আজ	স্বপন-কুমার	নিরিবিলি
খুলিয়া		গোপন প্রাণের	ঝিলিমিলি,
এসো মোর	হতাশ প্রাণে	ভুল-ভাঙানো।।

বাণী

এসো আনন্দিতা ত্রিলোক-বন্দিতা কর দীপান্বিতা আঁধার অবনি মা।
ব্যাপিয়া চরাচর শারদ অম্বর ছড়াও অভয় হাসির লাবনি মা।।
	সারাটি বরষ নিখিল ব্যথিত
	চাহিয়া আছে মা তব আসা-পথ,
ধরার সন্তানে ধর তব কোলে ভুলাও দুঃখ-শোক চির-করুণাময়ী মা।।
	অটুট স্বাস্থ্য দীর্ঘ পরমায়ু
	দাও আরো আলো নির্মল বায়ু,
দশ হাতে তব আনো মা কল্যাণ পীড়িত-চিত গাহে অকাল জাগরণী মা।।

বাণী

এসো বঁধূ ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান।
দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।।
	জানি আমি অপরাধী
	তাই দিবানিশি কাঁদি’,
নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।।
	ফিরে গেলে দ্বারে আসি’
	বাসি কিনা ভালোবাসি,
কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।।
	সে-দিন বালিকা-বধূ
	শরমে মরম-মধু
পি’য়াতে পারিনি বঁধূ — আজ এসে কর পান।।
	ফিরিয়া আসিয়া হেথা
	দিও দুখ দিও ব্যথা,
সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষান।।

বাণী

এসো মা পরমা শক্তিমতী।
দাও শ্রী দাও কান্তি-আনন্দ-শান্তি অন্তরে বাহিরে দিব্য জ্যোতি।।
	দাও অপরাজেয় পৌরুষ শক্তি
	দাও দুর্জয় শৌর্য পরা-ভক্তি,
দাও সূর্য সম তেজ প্রদীপ্ত প্রাণ ঝঞ্ঝার সম বাধাহীন গতি।।
	এসো মা পরম অমৃতময়ী,
	নির্জিত জাতি হোক মৃত্যুজয়ী।
	পরম জ্ঞান দাও পরম অভয়
	রূপ-সুন্দর তনু প্রাণ প্রেমময়,
আকাশের মত দাও মুক্ত জীবন সকল কর্মে হও তুমি সারথি।।

বাণী

এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো হে রাসবিহারী কালা।
মম নয়নের পাতে রাখিয়াছি গেঁথে অশ্রু-যূথীর মালা।।
	আমি	ত্যাজিয়াছি কবে লাজ-মান-কুল
		বহি’ কলঙ্ক এসেছি গোকুল,
আমি ভুলিয়াছি ঘর শ্যাম নটবর কর মোরে গোপবালা।।
		আমার কাঁদন-যমুনার নদী
	শ্যাম হে ভাঁটি টানে শুধু বহে নিরবধি,
তারে বাঁশরির তানে বহাও উজানে ভোলাও বিরহ-জ্বালা।।