এলো শ্যামল কিশোর তমাল-ডালে
বাণী
এলো শ্যামল কিশোর তমাল-ডালে বাঁধে ঝুলনা। সুনীল শাড়ি পরো ব্রজনারী পরো নব নীপ-মালা অতুলনা।। ডাগর চোখে কাজল দিও, আকাশী রং প'রো উত্তরীয়, নব-ঘন-শ্যামের বসিয়া বামে দুলে দুলে ব'রলা, 'বঁধু, ভুলো না'।। নৃত্য-মুখর আজি মেঘলা দুপুর, বৃষ্ট্রির নূপুর বাজে টুপুর টুপুর। বাদল-মেঘের তালে বাজিছে বেণু, পান্ডুর হ'ল শ্যাম মাখি' কেয়া-রেণু, বাহুতে দোলনায় বাঁধিবে শ্যামরায় ব'লো, 'হে শ্যাম, এ বাঁধন খুলো না'।।
এসো বঁধু ফিরে এসো
বাণী
এসো বঁধু ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান। দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।। জানি আমি অপরাধী তাই দিবানিশি কাঁদি’, নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।। ফিরে গেলে দ্বারে আসি’ বাসি কিনা ভালোবাসি, কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।। সে-দিন বালিকা-বধূ শরমে মরম-মধু, পি’য়াতে পারিনি বঁধু — আজ এসে কর পান।। ফিরিয়া আসিয়া হেথা দিও দুখ দিও ব্যথা, সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষাণ।।
এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া
বাণী
এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া কৃষ্ণ কানাইয়া হরি। মাখি’গোখুর ধূলিরেণু গোঠে চরাইয়া ধেনু বাজায়ে বাঁশের বাঁশরি।। গোপী চন্দন চর্চিত অঙ্গে প্রাণ মাতাইয়া প্রেম তরঙ্গে বামে হেলায়ে ময়ুর পাখা দুলায়ে তমাল শাখা দীপবনে, দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গে। এসো লয়ে সেই শ্যাম-শোভা ব্রজ বধু মনোলোভা সেই পীত বসন পরি’।। এসো গগনে ফেলি নীল ছায়া আনো পিপাসিত চোখে মেঘ মায়া। এসো মাধব মাধবী তলে এসো বনমালী বন-মালা গলে এসো ভক্তিতে প্রেমে আঁখি জলে এসো তিলক লাঞ্ছিত সুর নর বাঞ্ছিত বামে লয়ে রাই কিশোরী।।
এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো
বাণী
এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো হে রাসবিহারী কালা। মম নয়নের পাতে রাখিয়াছি গেঁথে অশ্রু-যূথীর মালা।। আমি ত্যাজিয়াছি কবে লাজ-মান-কুল বহি’ কলঙ্ক এসেছি গোকুল, আমি ভুলিয়াছি ঘর শ্যাম নটবর কর মোরে গোপবালা।। আমার কাঁদন-যমুনার নদী শ্যাম হে ভাঁটি টানে শুধু বহে নিরবধি, তারে বাঁশরির তানে বহাও উজানে ভোলাও বিরহ-জ্বালা।।
এ কোন মধুর শরাব দিলে
বাণী
এ কোন্ মধুর শরাব দিলে আল আরাবি সাকি, নেশায় হলাম দিওয়ানা যে রঙিন হল আঁখি।। তৌহিদের শিরাজি নিয়ে ডাকলে সবায় যারে পিয়ে, নিখিল জগৎ ছুটে এলো রইল না কেউ বাকি।। বসলো তোমার মহ্ফিল দূর মক্কা মদিনাতে, আল্-কোরানের গাইলে গজল শবে কদর রাতে। নরনারী বাদশা ফকির তোমার রূপে হয়ে অধীর যা ছিল নজ্রানা দিল রাঙা পায়ে রাখি’।