এক্লা ভাসাই গানের কমল
বাণী
এক্লা ভাসাই গানের কমল সুরের স্রোতে। খেলার ছলে ওপার পানে এপার হ’তে।। আসবে গো এই গাঙের কূলে হয়ত ভুলে আমার প্রিয়া খোঁপায় নেবে আমার গানের কমল তুলে তামার প্রিয়া খুঁজতে আমায় আসবে সুরের নদী-পথে।। নাম-হারা কোন্ গাঁয়ে থাকে অচেনা সে, তারে না-ই জানিলাম, গান ভেসে যাক্ তাহার আশে। নদীর জলে আল্তা-রাঙা পা ডুবায়ে, রয় সে মেয়ে গানের কমল লাগে গো তা’র কমল-পায়ে, উজান বেয়ে, সেদিন অমর হয় মোর গান, যায় অমরায় পুষ্প-রথে।।
একি সুরে (কোন্ সুরে) তুমি গান শুনালে
বাণী
একি সুরে (কোন্ সুরে) তুমি গান শুনালে ভিনদেশি পাখি এ যে সুর নহে, মদির সুরা, রে সুরের সাকি।। বসি’ মোর জানালা পাশে কেন বুক-ভাঙা নিরাশে যাও ঘুম ভাঙায়ে নিতি সকরুণ সুরে ডাকি।। তোর ও সুরে কাঁদছে ঊষা অস্ত চাঁদের গলা ধ’রে ভোর-গগনের কপোল বেয়ে শিশির-অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। আমি রইতে নারি ঘরে কেন প্রাণ কেমন করে আমার মন লাগে না কাজে, আর জলে ভরে আঁখি।।
এলো এলো শবেরাত তোরা জ্বাল্ রে বাতি
বাণী
এলো এলো শবেরাত তোরা জ্বাল্ রে বাতি। হোক রওশন মুসলিম-জাহানের অন্ধকার রাতি।। আজ ফিরদৌসের হুর-পরীরা আলোতে রাঙে চাঁদ সেতারার প্রদীপ ভাসায় আস্মানি গাঙে, ফেরেশ্তা সব হয়েছে আজ মোদের সাথি।। আজ জ্বাল্রে বাতি প্রিয়জনের আঁধার গোরে আজ বরষ পরে লুকিয়ে তারা এসেছে ঘরে, রাখ্ তাদের তরে অশ্রু-ভেজা হৃদয় পাতি।।
এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া
বাণী
এসো নূপুর বাজাইয়া যমুনা নাচাইয়া কৃষ্ণ কানাইয়া হরি। মাখি’গোখুর ধূলিরেণু গোঠে চরাইয়া ধেনু বাজায়ে বাঁশের বাঁশরি।। গোপী চন্দন চর্চিত অঙ্গে প্রাণ মাতাইয়া প্রেম তরঙ্গে বামে হেলায়ে ময়ুর পাখা দুলায়ে তমাল শাখা দীপবনে, দাঁড়ায়ে ত্রিভঙ্গে। এসো লয়ে সেই শ্যাম-শোভা ব্রজ বধু মনোলোভা সেই পীত বসন পরি’।। এসো গগনে ফেলি নীল ছায়া আনো পিপাসিত চোখে মেঘ মায়া। এসো মাধব মাধবী তলে এসো বনমালী বন-মালা গলে এসো ভক্তিতে প্রেমে আঁখি জলে এসো তিলক লাঞ্ছিত সুর নর বাঞ্ছিত বামে লয়ে রাই কিশোরী।।
এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে
বাণী
এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে, ঐ বৈশাখী ঝড় এলো এলো মহীয়ান সুন্দর। পাংশু মলিন ভীত কাঁপে অম্বর চরাচর থরথর।। ঘনবন–কুন্তলা বসুমতী সভয়ে করে প্রণতি, সভয়ে নত চরণে ভীতা বসুমতী। সাগর তরঙ্গ মাঝে তারি মঞ্জীর যেন বাজে বাজে রে পায়ে গিরি–নির্ঝর–ঝরঝর ঝরঝর।। ধূলি–গৈরিক নিশান দোলে ঈশান গগন চুম্বী, ডম্বরু ঝল্লরী ঝাঁঝর ঝনঝন বাজে এলো ছন্দ বন্ধন–হারা এলো রে এলো মরু–সঞ্চর বিজয়ী বীরবর।।