বাণী

এলো ঐ		পূর্ণ শশী		ফুল-জাগানো
বহে বায়		বকুল-বনে	ঘুম-ভাঙানো।।
লাগিল		জাফরানি-রঙ	শিউলি-ফুলে
ফুটিল		প্রেমের কুঁড়ি	পাপড়ি খুলে,
খুশির আজ	আমেজ জাগে	মন-রাঙানো।।
চাঁদিনী		ঝিলমিলায়	ঝিলের জলে,
আবেশে		শাপলা ফুলের	মৃণাল টলে,
জাগে ঢেউ	দীঘির বুকে	দোল-লাগানো।।
এসো আজ	স্বপন-কুমার	নিরিবিলি
খুলিয়া		গোপন প্রাণের	ঝিলিমিলি,
এসো মোর	হতাশ প্রাণে	ভুল-ভাঙানো।।

বাণী

	এসো ঠাকুর মহুয়া বনে ছেড়ে বৃন্দাবন,
	ধেনু দেব বেণু দেব মালা চন্দন॥
	কেঁদে কেঁদে কয়লা খাদে যমুনা বহাব;
	পলাশ বনে জাগরণে নিশি পোহাব
	রাধা হয়ে বাঁধা দেব আমর প্রাণ মন॥
মোর	নটকান রঙ শাড়ির আঁচল ছিঁড়ে,
	পীত ধড়া পরাব, নীল অঙ্গ ঘিরে।
	পিয়াল ডালে দোলনা বেঁধে দুলিব দুজন॥
	ভাসুর-শ্বশুর দ্যাখে যদি করব নাকো লাজ
	বলব আমার শ্যামের বাঁশি বাজ রে আবার বাজ
শ্যাম	তোমার লাগি জাতি কুল দিব বিসর্জন।।

বাণী

এসো মা পরমা শক্তিমতী।
দাও শ্রী দাও কান্তি-আনন্দ-শান্তি অন্তরে বাহিরে দিব্য জ্যোতি।।
	দাও অপরাজেয় পৌরুষ শক্তি
	দাও দুর্জয় শৌর্য পরা-ভক্তি,
দাও সূর্য সম তেজ প্রদীপ্ত প্রাণ ঝঞ্ঝার সম বাধাহীন গতি।।
	এসো মা পরম অমৃতময়ী,
	নির্জিত জাতি হোক মৃত্যুজয়ী।
	পরম জ্ঞান দাও পরম অভয়
	রূপ-সুন্দর তনু প্রাণ প্রেমময়,
আকাশের মত দাও মুক্ত জীবন সকল কর্মে হও তুমি সারথি।।

বাণী

এসো মুরলীধারী বৃন্দাবন-চারী গোপাল গিরিধারী শ্যাম।
তেমনি যমুনা বিগলিত-করুণা কুলু কুলু কুলু স্বরে ডাকে অবিরাম।।
	কোথায় গোকুল-বিহারী শ্রীকৃষ্ণ
	চাহিয়া পথ পানে ধরণী সতৃষ্ণ,
ডাকে মা যশোদায় নীলমণি আয় আয় ডেকে যায় নন্দ শ্রীদাম।।
ডাকে প্রেম-সাধিকা আজো শত রাধিকা গোপ-কোঙারি,
এসো নওল-কিশোর কুল-লাজ-মান-চোর ব্রজ-বিহারী।
পরি’ সেই পীতধড়া, সেই বাঁকা শিখী চূড়া বাজায়ে বেণূ
আরবার এসো গোঠে, খেল সেই ছায়া-বটে চরাও ধেনু
কদম তমাল-ছায়ে এসো নূপুর পায়ে ললিত বঙ্কিম ঠাম।।

বাণী

	এলো আবার ঈদ ফিরে এলো আবার ঈদ, চলো ঈদগাহে।
	যাহার আশায় চোখে মোদের ছিল না রে নিদ, চলো ঈদ্গাহে।।
	শিয়া সুন্নী, লা-মজহাবী একই জামাতে
	এই ঈদ মোবারকে মিলিবে এক সাথে,
	ভাই পাবে ভাইকে বুকে, হাত মিলাবে হাতে;
আজ	এক আকাশের নীচে মোদের একই সে মসজিদ, চলো ঈদগাহে।।
	ঈদ এনেছে দুনিয়াতে শিরণী বেহেশ্‌তী,
	দুশ্‌মনে আজ গলায় ধ'রে পাতাব ভাই দোস্তী,
	জাকাত দেব ভোগ-বিলাস আজ গোস্‌সা ও বদ্‌মস্তি;
	প্রাণের তশ্‌তরীতে ভ'রে বিলাব তৌহীদ — চলো ঈদ্গাহে।।
	আজিকার এই ঈদের খুশি বিলাব সকলে,
	আজের মত সবার সাথে মিল্‌ব গলে গলে,
	আজের মত জীবন-পথে চলব দলে দলে
	প্রীতি দিয়ে বিশ্ব-নিখিল ক'রব রে মুরীদ্ — চলো ঈদগাহে।।

বাণী

এ কি অপরূপ রূপের কুমার হেরিলাম সখি যমুনা কূলে,
তার	এ সুনীল লাবনি গলিয়া গলিয়া ঢলিয়া পড়িছে গগন-মূলে ॥
যেন	কমল ফুটেছে সখি, সহস্র-দল রূপে-কমল ফুটেছে,
	রূপের সাগর মন্থন করি’ সখি চাঁদ যেন উঠছে। সখি গো —
	কালো সে রূপের মাঝে হয়ে যায় হারা
	কোটি আলো-রাধিকা-রবি, শশী, তারা,
	প্রেম-যমুনার তীরে সই আমি রিবধি দেখি তারে,
		দেখি আর চেয়ে রই।
	আমি এই রূপ চেয়ে থাকি
সখি	জনমে জনমে জীবনে মরণে এই রূপ চেয়ে থাকি।
ঐ	মোহন কালোর গহন কাননে হারাইয়া যাক আঁখি ॥