এলো ঐ পূর্ণ শশী ফুল-জাগানো
বাণী
এলো ঐ পূর্ণ শশী ফুল-জাগানো বহে বায় বকুল-বনে ঘুম-ভাঙানো।। লাগিল জাফরানি-রঙ শিউলি-ফুলে ফুটিল প্রেমের কুঁড়ি পাপড়ি খুলে, খুশির আজ আমেজ জাগে মন-রাঙানো।। চাঁদিনী ঝিলমিলায় ঝিলের জলে, আবেশে শাপলা ফুলের মৃণাল টলে, জাগে ঢেউ দীঘির বুকে দোল-লাগানো।। এসো আজ স্বপন-কুমার নিরিবিলি খুলিয়া গোপন প্রাণের ঝিলিমিলি, এসো মোর হতাশ প্রাণে ভুল-ভাঙানো।।
এসো মা পরমা শক্তিমতী
বাণী
এসো মা পরমা শক্তিমতী। দাও শ্রী দাও কান্তি-আনন্দ-শান্তি অন্তরে বাহিরে দিব্য জ্যোতি।। দাও অপরাজেয় পৌরুষ শক্তি দাও দুর্জয় শৌর্য পরা-ভক্তি, দাও সূর্য সম তেজ প্রদীপ্ত প্রাণ ঝঞ্ঝার সম বাধাহীন গতি।। এসো মা পরম অমৃতময়ী, নির্জিত জাতি হোক মৃত্যুজয়ী। পরম জ্ঞান দাও পরম অভয় রূপ-সুন্দর তনু প্রাণ প্রেমময়, আকাশের মত দাও মুক্ত জীবন সকল কর্মে হও তুমি সারথি।।
এবার যখন উঠ্বে সন্ধ্যাতারা সাঁঝ আকাশে
বাণী
এবার যখন উঠ্বে সন্ধ্যাতারা — সাঁঝ আকাশে দেখতে পাবে দু’টি নতুন তারা — তাহার পাশে।। চেয়ে’ দেখ ভালো ক’রে কা’র দু’টি চোখ যেন ম’রে, তারা হয়ে ধরার পানে চাহে তোমার আঁখি দেখার আশে।। যে দু’টি চোখ নিত্য লোকের মাঝে তোমায় দিত লাজ পড়বে মনে গো — সেই দু’টি চোখ চিরতরে এই পৃথিবী হতে হারিয়ে গেছে আজ। পায়নি গো, তাই অভিমানে চ’লে গেলে দূর বিমানে, (দেখো) সেদিন যেন আজের মত চাইতে ওদের পানে দ্বিধা নাহি আসে।।
এ আঁখি জল মোছ পিয়া
বাণী
এ আঁখি জল মোছ পিয়া ভোলো ভোলো আমারে। মনে কে গো রাখে তারে (ওগো) ঝরে যে ফুল আঁধারে।। ফোটা ফুলে ভরি’ ডালা গাঁথ বালা মালিকা, দলিত এ ফুল লয়ে, (ওগো) দেবে গো বল কারে।। স্বপনের স্মৃতি প্রিয় জাগরণে ভুলিও, ভুলে যেয়ো দিবালোকে রাতের আলেয়ারে। ঘুমায়েছ সুখে তুমি সে কেঁদেছে জাগিয়া, তুমি জাগিলে গো যবে সে ঘুমায়ে ওপারে।।
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা
বাণী
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা রসলোক-বাসিনী ল’য়ে ভাদরের নদী সম রূপের ঢেউ মৃদু মধু-হাসিনী।। যেন কৃশাঙ্গী তপতী তপস্যা শেষে সুন্দর বর পেয়ে হাসে প্রেমাবেশে, আমন ধানের শিষে মন ভোলানো কোন্ কথা কয় সে মঞ্জুল-ভাষিণী।। শিশির স্নিগ্ধ চাঁদের কিরণ ওকি উত্তরী তার, অরণ্য কুন্তলে খদ্যোত মণিকা মালতীর হার। তার আননের আবছায়া শতদলে দোলে হংসধ্বনিতে মায়া মঞ্জীর বোলে, সে আনন্দ এনে কেঁদে চলে যায় বিজয়ায় বেদনার বেদমতী সন্ন্যাসিনী।।
গীতি আলেখ্য : ‘শারদশ্রী’