ইমন মিশ্র

  • এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে

    বাণী

    এলো এলো রে বৈশাখী ঝড় এলো এলো রে,
    ঐ বৈশাখী ঝড় এলো এলো মহীয়ান সুন্দর।
    পাংশু মলিন ভীত কাঁপে অম্বর চরাচর থরথর।।
    ঘনবন–কুন্তলা বসুমতী সভয়ে করে প্রণতি,
    সভয়ে নত চরণে ভীতা বসুমতী।
    সাগর তরঙ্গ মাঝে তারি মঞ্জীর যেন বাজে বাজে রে
    পায়ে গিরি–নির্ঝর–ঝরঝর ঝরঝর।।
    ধূলি–গৈরিক নিশান দোলে ঈশান গগন চুম্বী,
    ডম্বরু ঝল্লরী ঝাঁঝর ঝনঝন বাজে
    এলো ছন্দ বন্ধন–হারা এলো রে
    এলো মরু–সঞ্চর বিজয়ী বীরবর।।
    
  • এসো বঁধু ফিরে এসো

    বাণী

    এসো বঁধু ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান।
    দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।।
    	জানি আমি অপরাধী
    	তাই দিবানিশি কাঁদি’,
    নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।।
    	ফিরে গেলে দ্বারে আসি’
    	বাসি কিনা ভালোবাসি,
    কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।।
    	সে-দিন বালিকা-বধূ
    	শরমে মরম-মধু,
    পি’য়াতে পারিনি বঁধু — আজ এসে কর পান।।
    	ফিরিয়া আসিয়া হেথা
    	দিও দুখ দিও ব্যথা,
    সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষাণ।।
    
  • এসো বঁধূ ফিরে এসো

    বাণী

    এসো বঁধূ ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান।
    দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।।
    	জানি আমি অপরাধী
    	তাই দিবানিশি কাঁদি’,
    নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।।
    	ফিরে গেলে দ্বারে আসি’
    	বাসি কিনা ভালোবাসি,
    কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।।
    	সে-দিন বালিকা-বধূ
    	শরমে মরম-মধু
    পি’য়াতে পারিনি বঁধূ — আজ এসে কর পান।।
    	ফিরিয়া আসিয়া হেথা
    	দিও দুখ দিও ব্যথা,
    সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষান।।
    
  • গ্রহণী-রোগ-সমা গৃহিণী প্রিয়তমা

    বাণী

    গ্রহণী-রোগ-সমা গৃহিণী প্রিয়তমা, প্রসীদ! কর ক্ষমা! দেবী নমস্তে।
    শতমুখীধারিণী ভীমহুঙ্কারিণী যেন গন্ডারিনী দৈর্ঘ্যে ও প্রস্থে।দেবী নমস্তে।।
    চীৎকারে মাঝ রাতে পড়শীরা জেগে যায়
    তক্তাপোষের নীচে ছেলে পিলে ভেগে যায়
    পদভরে দুদ্দাড় ভেঙ্গে পড়ে ঘর দ্বার
    চেড়ীদের সর্দার হাতা-বেড়ী-হস্তে।দেবী নমস্তে।।
    শান্ত শিষ্ট এই গোবেচারা স্বামী
    তোমার পুলিশ কোর্টে চিরকাল আসামী
    তেড়ে আসে বীরজায়া তুমি কুঁদো মোটকা।
    বেগতিক দেখে ছুটি আমি রোগা পট্‌কা।
    কাঁছাকোঁচা বেসামাল ব্যস্তে সমস্তে।দেবী নমস্তে।।
    তুমি পূর্বজন্মে ছিলে ভোজপুরি দারোয়ান
    আমি বলীবর্দ তুমি ছিলে গাড়োয়ান;
    ময়দা ছিলাম আমি তুমি নিয়ে ঠাসতে।
    আহা হা টুটি কেন টিপে ধর? আস্তে, শ্বস্তে।দেবী নমস্তে।।
    
  • ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা

    বাণী

    ছন্দের বন্যা হরিণী অরণ্যা
    চলে গিরি-কন্যা চঞ্চল ঝর্ণা
    নন্দন-পথ-ভোলা চন্দন-বর্ণা।।
    গাহে গান ছায়ানটে, পর্বতে শিলাতটে
    লুটায়ে পড়ে তীরে শ্যামল ওড়না।।
    ঝিরি ঝিরি হাওয়ায় ধীরি ধীরি বাজে
    তরঙ্গ-নূপুর বন-পথ মাঝে।
    এঁকেবেকে নেচে যায় সর্পিল ভঙ্গে
    কুরঙ্গ সঙ্গে অপরূপ রঙ্গে
    গুরু গুরু বাজে তাল মেঘ-মৃদঙ্গে
    তরলিত জোছনা-বালিকা অপর্ণা।।
    
  • বসিয়া বিজনে কেন একা মনে

    বাণী

    বসিয়া বিজনে		কেন একা মনে
    পানিয়া ভরণে		চলো লো গোরী
    চলো জলে চলো		কাঁদে বনতল
    ডাকে ছলছল		জল-লহরি।।
    দিবা চ’লে যায়		বলাকা-পাখায়
    বিহগের বুকে		বিহগী লুকায়।
    কেঁদে চখা-চাখি		মাগিছে বিদায়
    বারোয়াঁর সুরে		ঝুরে বাঁশরি।।
    ওগো বে-দরদি		ও রাঙা পায়ে
    মালা হয়ে কে গো		গেল জড়ায়ে।
    তব সাথে কবি		পড়িল দায়ে
    পায়ে রাখি তারে		না গলে পরি।।
    

  • যবে তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায়

    বাণী

    যবে		তুলসীতলায় প্রিয় সন্ধ্যাবেলায় তুমি করিবে প্রণাম,
    তব		দেবতার নাম নিতে ভুলিয়া বারেক প্রিয় নিও মোর নাম।।
    		একদা এমনি এক গোধূলি বেলা
    		যেতেছিলে মন্দির-পথে একেলা,
    		জানি না কাহার ভুল তোমার পূজার ফুল
    				আমি লইলাম —
    সেই		দেউলের পথ সেই ফুলেরই শপথ
    প্রিয়,		তুমি ভুলিলে হায় আমি ভুলিলাম।।
    		পথের দুঁধারে সেই কুসুম ফোটে — হায় এরা ভোলেনি,
    		বেঁধেছিলে তরু শাখে লতার যে ডোর হের আজো খোলেনি।
    		একদা যে নীল নভে উঠেছিল চাঁদ
    ছিল		অসীম আকাশ ভরা অনন্ত সাধ,
    আজি		অশ্রু-বাদল সেথা ঝরে অবিরাম।।