বাণী

এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা
এখনো দিনের কাজ হয়নি যে মোর সারা —
		হে পথিক যাও ফিরে।।
এখনো বাঁধিনি বেণী, তুলিনি এখনো ফুল
জ্বালি নাই মণিদীপ মম মন–মন্দিরে —
		হে পথিক যাও ফিরে।।
পল্লব–গুণ্ঠনে নিশি–গন্ধার কলি
চাহিতে পারে না লাজে দিবস যায়নি বলি’।
এখনো ওঠেনি ঢেউ থির সারসির নীরে —
		হে পথিক যাও ফিরে।।
যবে ঝিমাইবে চাঁদ ঘুমে তখন তোমার লাগি’
র’ব একা পথ চেয়ে বাতায়ন–পাশে জাগি’
কবরীর মালা খুলে ফেলে দেব ধীরে ধীরে —
		হে পথিক যাও ফিরে।।

বাণী

এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো।
এলো পথ চাওয়া এলো হারিয়ে পাওয়া
মনের আঁধার দূরে গেল, ঐ বন্ধু এলো।।
এলো চঞ্চল বন্যার ঢল মন্থর স্রোত-নীড়ে,
এলো শ্যামল মেঘ-মায়া তৃষিত গগন ঘিরে;
তার পলাতকা মৃগে বন ফিরে পেল।।
এলো পবনে বিহ্‌বল চঞ্চলতা
যেন শান্ত ভবনে এলো সারা ভুবনের কল-কথা।
অলি গুঞ্জরি’ কয় জাগো বনবীথি;
ডাকে দখিনা মলয় — এলো এলো অতিথি;
বাজে তোরণ দ্বারে বাঁশরি গীতি,
দুখ নিশি পোহাল, আঁখি মেল।।

নাটিকা: ‌‘বাসন্তিকা’

বাণী

একেলা গোরী জল্‌কে চলে গঙ্গাতীর
অঙ্গে ঢুলিয়া পড়ে লালসে অলস সমীর।।
কাঁকনে কলসে বাজে
কত কথা পথ মাঝে
		আঁচল চুমিছে শিশির।।
তটিনীতে চলে কি গো
সোনার বরণ মায়া-মৃগ
		নয়নে আবেশ মদির।।

বাণী

এসেছি তব দ্বারে ভক্তি-শূন্য প্রাণে।
করুণাময় প্রভু! কর হে পূর্ণ দানে।।
শক্‌তি বিহীন করে ধরেছি নিশান তব
বহিতে পারি যেন দিও সে-গৌরব,
দিবাকর কর সম ছড়ায়ে অভিনব
অস্তে যাই যেন জীবন-বিহানে।।
সাঁঝের আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ সম
রাঙায়ো আঁধার হৃদি-প্রেমের জোছনা বানে।।

বাণী

এবার	নবীন-মন্ত্রে হবে জননী তোর উদ্বোধন।
	নিত্যা হয়ে রইবি ঘরে, হবে না তোর বিসর্জন।।
	সকল জাতির পুরুষ-নারীর প্রাণ
	সেই হবে তোর পূজা-বেদী মা তোর পীঠস্থান:
সেথা	শক্তি দিয়ে ভক্তি দিয়ে পাতবে মা তোর সিংহাসন।।
সেথা	রইবে নাকো ছোয়াছুয়ি উচ্চ-নীচের ভেদ,
	সবাই মিলে উচ্চারির মাতৃ-নামের বেদ।
মোরা	এক জননীর সন্তান সব জানি,
	ভাঙব দেয়াল, ভুলব হানাহানি
	দীন-দরিদ্র রইবে না কেউ সমান হবে সর্বজন,
	বিশ্ব হবে মহাভারত, নিত্য-প্রেমের বৃন্দাবন।।

বাণী

এলো রে এলো ঐ রণ-রঙ্গিণী শ্রীচন্ডী, চন্ডী এলো রে এলো ঐ
অসুর সংহারিতে বাঁচাতে উৎপীড়িতে
ধ্বংস করিতে সব বন্ধন বন্দী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী, এলো রে এলো ঐ॥
দনুজ দলনে চামুন্ডা এলো ঐ প্রলয় অগ্নি জ্বালি নাছিছে
তাথৈ তাথৈ তাতা থৈ থৈ দুর্বলে বলে মা মাভৈঃ মাভৈঃ
মুক্তি লভিবি সব শৃঙ্খল বন্দী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী, এলো রে এলো ঐ॥
রক্ত-রঞ্জিত অগ্নি শিখায় করালী কোন্ রসনা দেখা যায়।
পাতাল তলের যত মাতাল দানব পৃথিবীতে এসেছিল হইয়া মানব
তাদের দন্ড দিতে আসিয়াছে চন্ডীকা সাজিয়া চন্ডী, শ্রীচন্ডী, চন্ডী এলো রে॥