এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো
বাণী
এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো। এলো পথ চাওয়া এলো হারিয়ে পাওয়া মনের আঁধার দূরে গেল, ঐ বন্ধু এলো।। এলো চঞ্চল বন্যার ঢল মন্থর স্রোত-নীড়ে, এলো শ্যামল মেঘ-মায়া তৃষিত গগন ঘিরে; তার পলাতকা মৃগে বন ফিরে পেল।। এলো পবনে বিহ্বল চঞ্চলতা যেন শান্ত ভবনে এলো সারা ভুবনের কল-কথা। অলি গুঞ্জরি’ কয় জাগো বনবীথি; ডাকে দখিনা মলয় — এলো এলো অতিথি; বাজে তোরণ দ্বারে বাঁশরি গীতি, দুখ নিশি পোহাল, আঁখি মেল।।
নাটিকা: ‘বাসন্তিকা’
এলো আবার ঈদ ফিরে
বাণী
এলো আবার ঈদ ফিরে এলো আবার ঈদ, চলো ঈদগাহে। যাহার আশায় চোখে মোদের ছিল না রে নিদ, চলো ঈদ্গাহে।। শিয়া সুন্নী, লা-মজহাবী একই জামাতে এই ঈদ মোবারকে মিলিবে এক সাথে, ভাই পাবে ভাইকে বুকে, হাত মিলাবে হাতে; আজ এক আকাশের নীচে মোদের একই সে মসজিদ, চলো ঈদগাহে।। ঈদ এনেছে দুনিয়াতে শিরণী বেহেশ্তী, দুশ্মনে আজ গলায় ধ'রে পাতাব ভাই দোস্তী, জাকাত দেব ভোগ-বিলাস আজ গোস্সা ও বদ্মস্তি; প্রাণের তশ্তরীতে ভ'রে বিলাব তৌহীদ — চলো ঈদ্গাহে।। আজিকার এই ঈদের খুশি বিলাব সকলে, আজের মত সবার সাথে মিল্ব গলে গলে, আজের মত জীবন-পথে চলব দলে দলে প্রীতি দিয়ে বিশ্ব-নিখিল ক'রব রে মুরীদ্ — চলো ঈদগাহে।।
এসো এসো বন ঝরনা
বাণী
এসো এসো বন ঝরনা উচ্ছল-চল-চরণা। সর্পিল ভঙ্গে লুটায়ে তরঙ্গে ফেন-শুভ্র-ওড়না।। পাষাণ জাগায়ে এসো নির্ঝরিণী এসো প্রাণ-চঞ্চলা জল-হরিণী মরু-তৃষিতের বুকে ঢালো ধারা জল-শ্যাম মেঘ-বরণা।। এসো বুনো পথ বেয়ে অকারণ গান গেয়ে, গভীর অরণ্যের মৌনব্রত ভেঙে ভয়হীন পাহাড়ি মেয়ে। নৃত্য পরা পায়ে ছন্দ আনো আনন্দ আনো মৃত প্রাণ জাগানো, অনাবিল হাসির ঝরাফুল ছড়ায়ে এসো মঞ্জুলা মনোহরণা।।
এসো বঁধূ ফিরে এসো
বাণী
এসো বঁধূ ফিরে এসো, ভোলো ভোলো অভিমান। দিব ও-চরণে ডারি’ মোর তনু মন প্রাণ।। জানি আমি অপরাধী তাই দিবানিশি কাঁদি’, নিমেষের অপরাধের কবে হবে অবসান।। ফিরে গেলে দ্বারে আসি’ বাসি কিনা ভালোবাসি, কাঁদে আজ তব দাসী — তুমি তার হৃদে ধ্যান।। সে-দিন বালিকা-বধূ শরমে মরম-মধু পি’য়াতে পারিনি বঁধূ — আজ এসে কর পান।। ফিরিয়া আসিয়া হেথা দিও দুখ দিও ব্যথা, সহে না এ নীরবতা — হে দেবতা পাষান।।