এতো ঘুম নয় সই নয়ন ভরা রঙিন স্বপনে
বাণী
এতো ঘুম নয় সই নয়ন ভরা রঙিন স্বপনে আমি যেন হারিয়ে গেছি কোন ফুলবনে ওগো রঙিন স্বপনে।। আমি যেন চাঁদনি রাতে মিশিয়ে গিয়ে হাওয়ার সাথে গোপন প্রিয়ার গোপন কথা শুনছি গোপনে।। আমি যেন মৌমাছিদের হালকা পাখায় বসি কোন প্রেয়সী মন টানে মোর কোন সে রুপসী। আমি যেন কেমন করে মেতেছি মোর রূপের তরে অশান্ত যৌবনের একি বাহুর বাঁধনে।।
এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো
বাণী
এলো এলো রে ঐ সুদূর বন্ধু এলো। এলো পথ চাওয়া এলো হারিয়ে পাওয়া মনের আঁধার দূরে গেল, ঐ বন্ধু এলো।। এলো চঞ্চল বন্যার ঢল মন্থর স্রোত-নীড়ে, এলো শ্যামল মেঘ-মায়া তৃষিত গগন ঘিরে; তার পলাতকা মৃগে বন ফিরে পেল।। এলো পবনে বিহ্বল চঞ্চলতা যেন শান্ত ভবনে এলো সারা ভুবনের কল-কথা। অলি গুঞ্জরি’ কয় জাগো বনবীথি; ডাকে দখিনা মলয় — এলো এলো অতিথি; বাজে তোরণ দ্বারে বাঁশরি গীতি, দুখ নিশি পোহাল, আঁখি মেল।।
নাটিকা: ‘বাসন্তিকা’
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা
বাণী
এলো শারদশ্রী কাশ-কুসুম-বসনা রসলোক-বাসিনী ল’য়ে ভাদরের নদী সম রূপের ঢেউ মৃদু মধু-হাসিনী।। যেন কৃশাঙ্গী তপতী তপস্যা শেষে সুন্দর বর পেয়ে হাসে প্রেমাবেশে, আমন ধানের শিষে মন ভোলানো কোন্ কথা কয় সে মঞ্জুল-ভাষিণী।। শিশির স্নিগ্ধ চাঁদের কিরণ ওকি উত্তরী তার, অরণ্য কুন্তলে খদ্যোত মণিকা মালতীর হার। তার আননের আবছায়া শতদলে দোলে হংসধ্বনিতে মায়া মঞ্জীর বোলে, সে আনন্দ এনে কেঁদে চলে যায় বিজয়ায় বেদনার বেদমতী সন্ন্যাসিনী।।
গীতি আলেখ্য : ‘শারদশ্রী’
এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায়
বাণী
এ কোন মায়ায় ফেলিলে আমায় চির জনমের স্বামী- তোমার কারণে এ তিন ভুবনে শান্তি না পাই আমি।। অন্তরে যদি লুকাইতে চাই এ আগুন আমি কেমনে লুকাই, ওগো অন্তর্যামী।। মুখ থাকিতেও বলিতে পারে না বোবা স্বপনের কথা; বলিতেও নারি লুকাতেও নারি; তেমনি আমার ব্যথা। যে দেখেছে প্রিয় বারেক তোমায় বর্ণিতে রূপ- ভাষা নাহি পায় পাগলিনী-প্রায় কাঁদিয়া বেড়ায় অসহায়, দিবাযামী।।
এত জল ও কাজল চোখে
বাণী
এত জল ও কাজল চোখে, পাষানী আনলে বল কে। টলমল জল-মোতির মালা দুলিছে ঝালর-পলকে ।। দিল কি পূব হাওয়াতে দোল, বুকে কি বিঁধিল কেয়া? কাঁদিয়া কুটিলে গগন এলায়ে ঝামর-অলকে।। চলিতে পৈঁচি কি হাতের বাঁধিল বৈচি-কাঁটাতে? ছাড়াতে কাঁচুলির কাঁটা বিঁধিল হিয়ার ফলকে।। [যে দিনে মোর দেওয়া-মালা ছিঁড়িলে আনমনে সখি, জড়াল জুই-কুসুমি-হার বেণীতে সেদিন ওলো কে।। যে-পথে নীর ভরণে যাও বসে রই সে পথ-পাশে দেখি, নিত কার পানে চাহি কলসীর সলিল ছলকে।।] মুকুলী-মন সেধে সেধে কেবলি ফিরিনু কেঁদে, সরসীর ঢেউ পালায় ছুটি' না ছুঁতেই নলিন-নোলকে ।। বুকে তোর সাত সাগরের জল, পিপাসা মিটল না কবি ফটিক জল ! জল খুঁজিস যেথায় কেবলি তড়িৎ ঝলকে।।