বাণী

এসো হৃদি-রাস-মন্দিরে এসো হে রাসবিহারী কালা।
মম নয়নের পাতে রাখিয়াছি গেঁথে অশ্রু-যূথীর মালা।।
	আমি	ত্যাজিয়াছি কবে লাজ-মান-কুল
		বহি’ কলঙ্ক এসেছি গোকুল,
আমি ভুলিয়াছি ঘর শ্যাম নটবর কর মোরে গোপবালা।।
		আমার কাঁদন-যমুনার নদী
	শ্যাম হে ভাঁটি টানে শুধু বহে নিরবধি,
তারে বাঁশরির তানে বহাও উজানে ভোলাও বিরহ-জ্বালা।।

বাণী

এত দিনে ধরা দিলে বনের পাখি।
কেথায় রাখি, কোন্ প্রিয় নামে ডাকি।।
সদাই জাগে ভয়, দুরু দুরু হিয়া
কখন উড়ে যাবে বনের পাপিয়া
জেগে থাকি তাই সদা ঘুমহারা আঁখি।।
নয়নে রাখিলে, হিয়া কাঁদে অভিমানে
হিয়ায় রাখিলে, বারি ঝরে নয়নে,
তুমি ব’লে দাও প্রিয় কোথায় রাখি।।

নাটক : ‘অর্জুন-বিজয়’

বাণী

এখনো ওঠেনি চাঁদ এখনো ফোটেনি তারা
এখনো দিনের কাজ হয়নি যে মোর সারা —
		হে পথিক যাও ফিরে।।
এখনো বাঁধিনি বেণী, তুলিনি এখনো ফুল
জ্বালি নাই মণিদীপ মম মন–মন্দিরে —
		হে পথিক যাও ফিরে।।
পল্লব–গুণ্ঠনে নিশি–গন্ধার কলি
চাহিতে পারে না লাজে দিবস যায়নি বলি’।
এখনো ওঠেনি ঢেউ থির সারসির নীরে —
		হে পথিক যাও ফিরে।।
যবে ঝিমাইবে চাঁদ ঘুমে তখন তোমার লাগি’
র’ব একা পথ চেয়ে বাতায়ন–পাশে জাগি’
কবরীর মালা খুলে ফেলে দেব ধীরে ধীরে —
		হে পথিক যাও ফিরে।।

বাণী

এতো একা চন্দ্রমণি সে মানিকের ডালা।
এ সারা বনে একটি কুসুম, সে কুসুমের মালা।।
হাসলে কন্যা ফুটে ওঠে পৃথিবীতে ফুল
সে কাঁদ্‌লে পরে ভেঙ্গে পড়ে সাত সাগরের কূল,
ইন্দ্রলোকে দেখেনি কেউ তেমন দেব-বালা।।

নাটক : ‘মধুমালা’ (স্বপনপরীর গান)

বাণী

এলে কি বঁধু ফুল-ভবনে।
মেলিয়া পাখা নীল গগনে।।
একা কিশোরী লাজ বিসরি’
তোমারে স্মরি সঙ্গোপনে,
এসো গোধূলির রাঙা লগনে।।
পাতার আসন শাখায় পাত,
বালিকা কলির মালিকা গাঁথ,
দিনু গন্ধ-লিপি ভোর-পবনে।।

বাণী

এ আঁখি জল মোছ পিয়া ভোলো ভোলো আমারে।
মনে কে গো রাখে তারে (ওগো) ঝরে যে ফুল আঁধারে।।
ফোটা ফুলে ভরি’ ডালা গাঁথ বালা মালিকা,
দলিত এ ফুল লয়ে, (ওগো) দেবে গো বল কারে।।
স্বপনের স্মৃতি প্রিয় জাগরণে ভুলিও,
ভুলে যেয়ো দিবালোকে রাতের আলেয়ারে।
ঘুমায়েছ সুখে তুমি সে কেঁদেছে জাগিয়া,
তুমি জাগিলে গো যবে সে ঘুমায়ে ওপারে।।