বৃন্দাবনী-সারং

  • আনো আনো অমৃত বারি

    বাণী

    আনো আনো অমৃত বারি।
    পিপাসিত চিত্তের তৃষ্ণা নিবারি।।
    আনো নন্দন হতে পারিজাত-কেশর
    তীর্থ-সলিল আনো ভরি’ মঙ্গল-হেম-ঝারি।।
    প্রখর সূর্যকরে দহিছে দিগন্তর,
    মন্দাকিনী-ধারা সঞ্জীবনী আনো নারী।।
    
  • এ কি এ মধু শ্যাম-বিরহে

    বাণী

    এ কি এ মধু শ্যাম-বিরহে।
    হৃদি-বৃন্দাবনে নিতি রসধারা বহে।।
    	গভীর বেদনা মাঝে
    	শ্যাম-নাম-বীনা বাজে
    প্রেমে মন মোহে যত ব্যথায় প্রাণ দহে।।
    
  • জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা

    বাণী

    জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা।
    জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্ত-টিকা।।
    দিকে দিকে মেলি’ তব লেলিহান রসনা,
    নেচে চল উন্মাদিনী দিগ্‌বসনা,
    জাগো হতভাগিনী ধর্ষিতা নাগিনী,
    বিশ্ব-দাহন তেজে জাগো দাহিকা।।
    ধূ ধূ জ্ব’লে ওঠ ধূমায়িত অগ্নি,
    জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নী!
    পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা
    জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা,
    মেঘে আনো বালা বজ্রের জ্বালা
    চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা।।
    
  • তৃষিত আকাশ কাঁপে রে

    বাণী

    তৃষিত আকাশ কাঁপে রে।
    প্রখর রবির তাপে রে।।
    চাহিয়া তৃষ্ণার বারি
    চাতক ওঠে ফুকারি’
    করুণ-শান্ত বিলাপে রে।।
    রুদ্রযোগী ও-কে দূর বিমানে,
    নিমগ্ন রহিয়াছে যেন ধ্যানে।
    শকুন্তলা সম ভয়ে
    কাঁপে ধরা র’য়ে র’য়ে,
    অগ্নি-ঋষির অভিশাপ রে।।
    

  • বৃন্দাবনী কুমকুম আবির রাগে

    বাণী

    বৃন্দাবনী কুমকুম আবির রাগে যেন মোর অন্তর বাহির রাঙ্গে।।
    		রস-যমুনা যেন বহে
    		কভু মধুর মিলনে কভু বিধুর বিরহে,
    রস-তৃষাতুরা ব্রজ-নাগরী যেন গাগরিতে সেই রস মাগে।।
    যেন মোর কুঞ্জ-দুয়ারে,
    ভাব-বিলাসিনী শ্রীমতী আসে অভিসারে।
    		যেন মোর নিবিড় ধ্যানে
    		মুরলী-ধ্বনি শুনি কানে,
    বিরহের বরষায় আশা-নীপ-শাখায় যেন ঝুলনের দোলা লাগে।।