বাণী
লক্ষ্মী মা তুই ওঠ্ গো আবার সাগর জলে সিনান করি’। হাতে ল’য়ে সোনার ঝাঁপি, সুধার পাত্রে সুধা ভরি’।। আন্ মা আবার আঁচলে তোর নবীন ধানের মঞ্জরি সে, টুনটুনিতে ধান খেয়েছে, খাজনা মাগো দিব কিসে। ডুবে গেছে সপ্ত-ডিঙা, রত্ন বোঝাই সোনার তরী।। ক্ষীরোদ-সাগর-কন্যা যে তুই, খেতে দে ক্ষীর সর মা আবার, পান্তা লবণ পায় না ছেলে, জননী তোর এ কোন বিচার? কার কাছে মা নালিশ করি, অনন্ত শয়নে হরি।। তোরও কি মা ধর্ল ঘুমে নারায়ণের ছোঁয়াচ লেগে, বর্গী এল দেশে মাগো, খোকারা তোর কাঁদে জেগে। এসে এবার ঘুম পাড়া মা, মাগো ভয়ে ক্ষিদেয় মরি।। কোন্ দুখে তুই রইলি ভুলে বাপের বাড়ি অতল-তুলে, ব্যথার সিন্ধু মন্থন শেষ, ভ’রল যে দেশ হলাহলে। অমৃত এনে সন্তানে তোর, বাঁচা মা, তোর পায়ে ধরি।।