বাণী
ফুলে ফুলে বন ফুলেলা। ফুলের দোলা ফুলের মেলা ফুল-তরঙ্গে ফুলের ভেলা।। ফুলের ভাষা ভ্রমর কুঞ্জে দোলন চাঁপার ঝুলন কুঞ্জে, মুহু মুহু কুহরে কুহু সহিতে না পারি ফুল-ঝামেলা।।
নাটক: ‘সাবিত্রী’
রাগ ও তাল
রাগঃ কামোদ
তালঃ কাহার্বা
আমার মোহাম্মদের নামের ধেয়ান হৃদয়ে যার রয় ওগো হৃদয়ে যার রয়। খোদার সাথে হয়েছে তার গোপন পরিচয়।। ঐ নামে যে ডুবে আছে নাই দুখ-শোক তাহার কাছে ঐ নামের প্রেমে দুনিয়াকে সে দেখে প্রেমময়।। যে খোশ-নসীব গিয়াছে ঐ নামের স্রোতে ভেসে' জেনেছে সে কোরআন-হাদিস-ফেকা এক নিমেষে। মোর নবীজীর বর-মালা, করেছে যার হৃদয় আলা বেহেশতের সে আশ রাখে না, তার নাই দোজখে ভয়।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
দক্ষিণ সমীরণ সাথে বাজো বেণুকা। মধু-মাধবী সুরে চৈত্র-পূর্ণিমা রাতে, বাজো বেণুকা।। বাজো শীর্ণা-স্রোত নদী-তীরে ঘুম যবে নামে বন ঘিরে’ যবে ঝরে এলোমেলো বায়ে ধীরে ফুল-রেণুকা।। মধু মালতী-বেলা-বনে ঘনাও নেশা স্বপন আনো জাগরণে মদিরা মেশা। মন যবে রহে না ঘরে বিরহ-লোকে সে বিহরে যবে নিরাশার বালুচরে ওড়ে বালুকা।।
রাগঃ মধুমাধবী সারং
তালঃ ত্রিতাল
শিল্পীঃ আমিয়া মতিন
সই,পলাশ-বনে রঙ ছড়ালো কে? সেই রঙে রঙিন মানুষটিরে কাছে ডেকে দে,লো। সে ফাগুন জাগায় আগুন লাগায়, স্বপন ভাঙায় হৃদয় রাঙায় রে, তা'রে ধরতে গেলে পালিয়ে সে যায় রঙ ছুঁড়ে চোখে।। সে ভোরের বেলায় ভ্রমর হয়ে পদ্মবনে কাঁদে তারা বাঁকা ধনুক যায় দেখা ঐ সাঁঝ-আকাশের চাঁদে। সেই গভীর রাতে আবির হাতে রঙ খেলে ফুল-পরীর সাথে লো তার রঙিন সিঁথি দেখি প্রজাপতির পালকে।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
প’রো প’রো চৈতালি-সাঁজে কুস্মি শাড়ি। আজি তোমার রূপের সাথে চাঁদের আড়ি॥ প’রো ললাটে কাঁচপোকার টিপ, তুমি আলতা প’রো পায়ে হৃদি নিঙাড়ি’॥ প্রজাপতির ডানা-ঝরা সোনার টোপাতে, ভাঙা ভুরু জোড়া দিও বাতুল শোভাতে। বেল-যূথিকার গ’ড়ে মালা প’রো খোঁপাতে দিও উত্তরীয় শিউলি-বোঁটার রঙে ছোপাতে, রাঙা সাঁঝের সতিনী তুমি রূপ-কুমারী॥
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
শিল্পীঃ অনুপ জালোটা