ওরে হুলো রে তুই রাত বিরেতে

বাণী

ওরে		হুলো রে তুই রাত বিরেতে ঢুকিস্‌নে হেঁসেল্।
তুই		কবে বেঘোরে প্রাণ হারাবি বুঝিস্‌নে রাস্কেল্।।
আমি		স্বীকার করি শিকারি তুই তোর গোঁফ দেখেই চিনি,
		গাছে কাঁঠাল ঝুলতে দেখে দিস্ গোঁফে তুই তেল।।
		ওরে ছোঁচা ওরে ওঁছা বাড়ি বাড়ি তুই হাঁড়ি খাস,
		নাদ্‌নার বাড়ি খেয়ে কোন্‌দিন ধনে প্রাণে বা মারা যাস্‌,
কেঁদে		মিয়াঁও মিয়াঁও ব’লে বিবি বেরালি করবে রে হার্টফেল।।
		তানপুরারই সুরে যখন তখন গলা সাধিস্,
শুনে		ভুলো তোরে তেড়ে আসে, ন্যাজ তুলে ছুটিস্,
তোরে	বস্তা পু’রে কবে কে চালান দিবে ধাপা-মেল।।
		বৌঝি যখন মাছ কোটে রে, তুমি খোঁজ দাঁও,
		বিড়াল-তপস্বী আড়নয়নে থালার পানে চাও,
তুই		উত্তম মধ্যম খা’স এত তবু হ’ল না আক্কেল।।

গুরুমন্ত্র তোমার উঠল জ্ব’লে

বাণী

গুরুমন্ত্র তোমার উঠল জ্ব’লে হোমের শিখার মত।
এক নিমেষে ভষ্ম হ’ল পাপ-তাপ মোর যত।।
	চির-আঁধার ছিল আমার হিয়া
	তুমি এলে মন্দ্র-প্রদীপ নিয়া,
হল চকিতে সেই দীপালোকে মনের আঁধার গত।।
উজ্জ্বল মোর ঘন-দেউলে কোন্ সে আদি ঋষি,
গভীর উদার মন্ত্র তোমার জপে দিবা-নিশি।
	রিপু দানব যথা ক’রত বাস
	সেই মন হ’ল আজ আনন্দ-কৈলাস,
সে-কৈলাসে তুমি শিব, আমি দীন প্রণত।।

কথার কুসুমে গাঁথা গানের মালিকা

বাণী

কথার কুসুমে গাঁথা গানের মালিকা কার।
ভেসে এসে হতে চায় গো আমার গলার হার।।
		আমি তারে নাহি জানি
		তার সুরের সূত্রখানি,
তবু বিজড়িত হয় কেন গো, আমার কঙ্কনে বারবার।।
তার সুরের তুলির পরশে, ওঠে আমার ভুবন রাঙ্গি’,
কোন বিস্মৃত জনমের যেন কত স্মৃতি ওঠে জাগি’।
		আমার রাতের নিদে
		তার সুর এসে প্রাণে বিঁধে,
যার সুর এত চেনা, কবে দেখা পাবো সেই অচেনার।।

বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে

বাণী

বলেছিলে তুমি তীর্থে আসিবে আমার তনুর তীরে।
তুমি আসিলে না, (হায়!) আশার সূর্য ডুবিল সাগর-নীরে।।
	চলে যাই যদি, চিরদিন মনে
	তোমার সে-কথা রহিবে স্মরণে
শুধু সেই কথা শোনার লাগিয়া হয়তো আসিব ফিরে।।
শুধু সেই আশে হয়তো এ তনু মরণে হবে না লীন
পথ চেয়ে চেয়ে, তব নাম গেয়ে বাজাব বিরহ-বীণ।
	হের গো, আমার যাবার সময় হলো
	তোমার সে-কথা মিথ্যা হবে না বলো,
কোন শুভক্ষণে নিমেষের তরে জড়াবে কন্ঠ ঘিরে।।

অসুর-বাড়ির ফেরত এ মা

বাণী

অসুর-বাড়ির ফেরত এ মা
শ্বশুর-বাড়ির ফেরত নয়।
দশভুজার করিস পূজা
		ভুলরূপে সব জগতময়।।
নয় গোরী নয় এ উমা
মেনকা যার খেতো চুমা
রুদ্রাণী এ, এযে ভূমা
		এক সাথে এ ভয়-অভয়।।
অসুর দানব করল শাসন এইরূপে মা বারে বারে,
রাবণ-বধের বর দিল মা এইরূপে রাম-অবতারে।
দেব-সেনানী পুত্রে লয়ে মা
এই বেশে যান দিগ্বিজয়ে
সেই রূপে মা’র কর্‌রে পূজা
		ভারতে ফের আসবে জয়।।

চল্‌ চল্ চল্

বাণী

চল্ চল্ চল্। চল্ চল্ চল্।
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী-তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
	চল্ রে চল্ রে চল্
		চল্ চল্ চল্।।
ঊষার দুয়ারে হানি’ আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত
আমরা টুটাব তিমির রাত
		বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মাশান
আমরা দানিব নূতন প্রাণ
		বাহুতে নবীন বল।
চল্ রে নও জোয়ান
শোন্ রে পাতিয়া কান
মৃত্যু-তোরণ-দুয়ারে-দুয়ারে
		জীবনের আহবান।
		ভাঙ্ রে ভাঙ্ আগল
		চল্ রে চল্ রে চল্
			চল্ চল্ চল্।।