মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া

বাণী

মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া, মাকে দেখো।
মোর তরে মা কাঁদে যদি তুমি তাকে ভুলিয়ে রেখো।।
	মায়ের যে বুক শূন্য ক’রে 
	এলাম আমি দেশান্তরে
শূন্য করে সেই খালি বুক মহামায়া তুমি থেকো।।

নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ

বাণী

যে নামে মা ডেকেছিল সুরথ আর শ্রীমন্ত তোরে।
সেই নাম তুই শিখিয়ে দে মা, ডাকব আমি তেমনি ক’রে।।
	বেদ-পুরাণে যে নাম শুনি
	যে নাম জপে ঋষি-মুনি
সেই নাম দে, যে নাম নিতে বক্ষ ভাসে অশ্রু-নীরে।।
ভয় যদি তোর ভক্তি দিতে, কর মা অসুর দানব মোরে
আসবি যখন শাস্তি দিতে, দেখব তোরে নয়ন ভরে।।
	তোর হাতে মা মরণ হলে
	ঠাঁই পাব যে তোরই কোলে
আঘাত করে ছেলেকে মা কাঁদে যেমন বক্ষে ধরে।।

ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস

বাণী

ফুরিয়ে এলো রমজানেরি মোবারক মাস
আজ বাদে কাল ঈদ তবু মন করে উদাস।।
রোজা রেখেছিলি, হে পরহেজগার মোমিন!
ভুলেছিলি দুনিয়াদারি রোজার তিরিশ দিন;
তরক করেছিলি তোরা কে কে ভোগ-বিলাস।।
সারা বছর গুনাহ যত ছিল রে জমা,
রোজা রেখে খোদার কাছে পেলি সে ক্ষমা,
ফেরেশতা সব সালাম করে কহিছে সাবাস।।

নাটিকাঃ ‘ঈদল ফেতর’

বনে মোর ফুল-ঝরার বেলা

বাণী

বনে মোর ফুল-ঝরার বেলা, জাগিল একি চঞ্চলতা।(অবেলায়)
এলো ঐ শুকনো ডালে ডালে কোন অতিথির ফুল-বারতা।।(এলো ঐ)
বিদায়-নেওয়া কুহু সহসা এলো ফিরে,
জোয়ার ওঠে দুলে, মরা নদীর তীরে,
শীতের বনে বহে দখিনা হাওয়া ধীরে
			জাগায়ে বিধুর মধুর ব্যথা।।(পরানে)
রুদ্ধ বাতায়ন খুলে দে, চেয়ে দেখি
হেনার মঞ্জরি আবার ফুটেছে কী?
হারানো মানসী ফিরেছে লয়ে কি
			গত বসন্তের বিহ্বলতা।।(পরানে)

তোমার ফুলের মতন মন

বাণী

তোমার ফুলের মতন মন।
ফুলের মত সইতে নার একটু অযতন।।
	ভুল ক’রে এই কঠিন ধরায়
	তুমি কেন আসিলে হায়,
একটি রাতের তরে হেথায় ফুলের জীবন।।
	গাঁথ্‌বে মালা প’রবে গলায়
	অর্ঘ্য দেবে দেবতা-পায়,
ফেলে দেবে পথের ধূলায় মিট্‌লে প্রয়োজন।।

আজি এ বাদল দিনে

বাণী

আজি এ বাদল দিনে কত কথা মনে পড়ে।
হারাইয়া গেছে পিয়া এমনি বাদল-ঝড়ে।।
	আমারি এ বুকে থাকি’
	ঘুমাত সে ভীরু পাখি,
জলদ উঠিলে ডাকি’ লুকাত বুকের ’পরে।।
মোর বুকে মুখ রাখি নিবিড় তিমির কাঁদে,
আমার প্রিয়ার মত বাঁধিয়া বাহুর বাঁধে।
	কোথায় কাহার বুকে
	আজি সে ঘুমায় সুখে,
প্রদীপ নিভায়ে কাঁদি একা ঘরে তারি তরে।।