আবার ভালোবাসার সাধ জাগে

বাণী

আবার ভালোবাসার সাধ জাগে।
সেই পুরাতন চাঁদ আমার চোখে আজ নূতন লাগে।।
	যে ফুল দলিয়াছি নিঠুর পায়ে
	সাধ যায় ধরি তারে বক্ষে জড়ায়ে,
উদাসীন হিয়া হায় রেঙে ওঠে অবেলায় সোনার গোধূলি-রাগে।।
আবার ফাগুন-সমীর কেন বহে,
আমার ভুবন ভরি’ কেঁদে ওঠে বাঁশরি অসীম বিরহে।
	তপোবনের বুকে ঝর্নার সম
	কে এলে সহসা হে প্রিয়তম,
মাথুরের গোকুল সহসা রাঙাইলে রাসের কুঙ্কুম-ফাগে।।

ও কে উদাসী বেণু বাজায়

বাণী

ও কে উদাসী বেণু বাজায়
ডাকে করুণ সুরে আয় আয়।।
ও সে বাঁধন হারা বাহির বিলাসী
	গৃহীরে করে সে পরবাসী
	রস যমুনায় উজান বহায়।।
মম মনের ব্রজে ওসে কিশোর রাখাল
যেন বাজায় বাঁশি শুনি অনাদিকাল
তার সরল বাঁশি তার তরল তাল
	অন্তরে গরল-সুধা মেশায়।।

বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা

বাণী

বাঁশি বাজাবে কবে আবার বাঁশরিওয়ালা
তব পথ চাহি ভারত-যশোদা কাঁদিছে নিরালা।।
কৃষ্ণা-তিথির তিমির হারী; শ্রীকৃষ্ণ এসো, এসো, মুরারি
ঘরে ঘরে আজ পুতনা ভীতি হানিছে কালা।।
কংস-কারার ভাঙো ভাঙো দ্বার
দেবকীর বুকের পাষাণ ভঅর নামাও নামাও
যুগ যুগ সম্ভব পুর্ণাবতার!
নিরানন্দ এ দেশ হাসুক আবার, আনন্দে হে নন্দলালা।।

পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি

বাণী

	পাপে তাপে মগ্ন আমি জানি জানি তবু।
	পাপের চেয়ে তোমার ক্ষমা অনেক অধিক প্রভু।।
	শিশু যেমন সারা বেলায় ধূলা মাখে
	খেলার শেষে সন্ধ্যাবেলায় মাকে ডাকে,
(ওগো)	ধূলায় মলিন সে ছেলেরে মা কি ত্যাজে কভু।।
	তোমার ক্ষমা যে দেখেছে হে মোর প্রেমময়,
	অশেষ পাপে পাপী হলেও করে না সে ভয়।
	মুছবে তুমি তুমিই যদি মাখাও ধূলি
	কাঁদাও যদি তুমি নেবে কোলে তুলি,
	আমি তাই করি যা করাও তুমি হে লীলাময় প্রভু।।

মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম

বাণী

মোরা		ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল।
মোরা		বিধাতার মত নির্ভয়, মোরা প্রকৃতির মত সচ্ছল।।
			আকাশের মত বাঁধাহীন,
মোরা			মরু সঞ্চার বেদুঈন,
(মোরা)		বন্ধনহীন জন্ম–স্বাধীন, চিত্ত মুক্ত শতদল।।
মোরা		সিন্ধু–জোয়ার কল–কল
মোরা		পাগলা–ঝোরার ঝরা জল
			কল–কল–কল্ ছল–ছল–ছল্ কল–কল–কল্ ছল–ছল–ছল্
মোরা		দিল–খোলা খোলা প্রান্তর,
মোরা		শক্তি অটল মহীধর
			হাসি গান শ্যাম উচ্ছল
মোরা		বৃষ্টির জল বনফল খাই, শয্যা শ্যামল বন–তল।।

জগতে আজিকে যারা

বাণী

জগতে আজিকে যারা
আগে চলে ভয়-হারা
ডেকে যায় আজি তারা,
		চল্‌ রে সুমুখে চল।
পিছু পানে চেয়ে’ মিছে
প’ড়ে আছি সব নীচে,
চাস্‌নে রে তোরা পিছে
		অগ্র-পথিক দল।।
চলার বেগে উঠবে জেগে বনে নূতন পথ
বর্তমানের পানে মোদের চল্‌বে অরুণ-রথ,
অতীত আজি পতিত রে ভাই, রচ্‌ব ভবিষ্যৎ।
স্বর্গ মোরা আন্‌ব, না হয় যাব রসাতল।।
	রইব না পিছে প’ড়ে
	অতীতের কঙ্কাল ধ’রে,
বইবে নব জীবন-স্রোত যৌবন-চঞ্চল।
বিশ্ব-সভাঙ্গনে সকল জাতির সনে
বসিব সম-আসনে গৌরব-উজ্জ্বল।।