আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া

বাণী

আজো কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া।
চম্পা কুঞ্জে আজো গুঞ্জে ভ্রমরা, কুহরিছে পাপিয়া।।
প্রেম-কুসুম শুকাইয়া গেল হায়,
প্রাণ-প্রদীপ মোর হের গো নিভে যায়,
বিরহী এসো ফিরিয়া।।
তোমারি পথ চাহি হে প্রিয় নিশিদিন
মালার ফুল মোর ধূলায় হ’ল মলিন
জনম গেল ঝুরিয়া।।

কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে

বাণী

কে পরালো মুণ্ডমালা আমার শ্যামা-মায়ের গলে।
সহস্র দল জীবন কমল দোলে রে যার চরণ-তলে।।
	কে বলে মোর মা-কে কালো,
	মায়ের হাসি দিনের আলো
মায়ের আমার গায়ের জ্যোতি গগন পবন জলে স্থলে।।
শিবের বুকে চরণ যাঁহার কেশব যাঁরে পায় না ধ্যানে,
শব নিয়ে সে রয় শ্মশানে কে জানে কোন অভিমানে।
	সৃষ্টিরে মা রয় আবরি'
	সেই মা নাকি দিগম্বরী?
তাঁরে অসুরে কয় ভয়ঙ্করী ভক্ত তাঁয় অভয়া বলে।।

ফুল বীথি এলে অতিথি

বাণী

স্ত্রী:		ফুল বীথি এলে অতিথি
		চম্পা মঞ্জরি-কুঞ্জে পড়ে ঝরি' চঞ্চল তব পায়।
পুরুষ:	কুড়ায়ে সেই ঝরা ফুল, চাঁপার মুকুল
		গেঁথেছি মোহন-মালিকা পরাব বলিয়া তোমার গলায়।।
স্ত্রী:		হে রূপ-কুমার, সুন্দর প্রিয়তম
		এলে যে ফিরিয়া দাসীরে স্মরিয়া জীবন সফল মম।
পুরুষ:	পরো কুন্তলে ধরো অঞ্চলে
		অমিলন প্রেম-পারিজাত,
স্ত্রী:		কি হবে লয়ে সে ফুল-মালা যাহা নিশি ভোরে শুকায়।
পুরুষ:	মোছ মোছ আঁখিধার লহ বাহুর হার ভোলে অতীত ব্যথায়।
উভয়ে:	বিরহ অবসানে মিলন মধুর প্রিয়
		এ মিলন নিশি যেন আর না পোহায়।।

ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ

বাণী

ও		মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ।
তুই		আপনাকে আজ বিলিয়ে দে শোন্‌ আসমানি তাগিদ।।
তোর		সোনা–দানা বালাখানা সব রাহেলিল্লাহ্‌।
দে		জাকাত মুর্দা মুসলিমের আজ ভাঙাইতে নিদ্‌।।
আজ		পড়বি ঈদের নামাজ রে মন সেই সে ঈদগাহে।
যে		ময়দানে সব গাজী মুসলিম হয়েছে শহীদ।।
আজ		ভুলে যা তোর দোস্ত ও দুশমন হাত মিলাও হাতে।
তোর		প্রেম দিয়ে কর বিশ্ব নিখিল ইসলামে মুরিদ।।
ঢাল		হৃদয়ের তোর তশ্‌তরিতে শির্‌নি তৌহিদের।
তোর		দাওয়াত কবুল করবে হজরত হয় মনে উম্মীদ।।

জাগো যুবতী আসে যুবরাজ

বাণী

জাগো যুবতী! আসে যুবরাজ।
অশোক-রাঙা বসনে সাজ।।
আসন-পাতা-বনে অঞ্চল আধো
বন্দনা-গীতি-ভাষা বাধো বাধো,
		কপোলে লাজ।।
উছলি’ ওঠে যৌবন আকুল তরঙ্গে,
খেলিছে অনঙ্গ নয়নে, বুকে, অঙ্গে আকুল তরঙ্গে।
আগমনী-ছন্দ মেঘ-মৃদঙ্গে
ভবন-শিখী গাহে বন-কুহু সঙ্গে,
বাজো হৃদি-অঙ্গনে বাঁশরি বাজো।।

নাটক : ‘আলেয়া’ (কাকলি ও বন্দিনীগণের গান)

গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙ্গে যায়

বাণী

গভীর নিশীথে ঘুম ভেঙ্গে যায়, কে যেন আমারে ডাকে —
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
কার স্মৃতি বুকে পাষাণের মত ভার হয়ে যেন থাকে —
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
কাহার ক্ষুধিত প্রেম যেন, হায়, ভিক্ষা চাহিয়া কাঁদিয়া বেড়ায়;
কার সকরুণ আঁখি দু’টি যেন রাতের তারার মত
মুখপানে চেয়ে থাকে – সে কি তুমি, সে কি তুমি?
নিশির বাতাস কাহার হুতাশ দীরঘ নিশাস সম
ঝড় তোলে এসে অন্তরে মোর, ওগো দুরন্ত মম।
	সে কি তুমি, সে কি তুমি?
মহাসাগরের ঢেউ–এর মতন, বুকে এসে বাজে কাহার রোদন,
‘পিয়া পিয়া’ নাম জপে অবিরাম বনের পাপিয়া পাখি
আমার চম্পা শাখে – সে কি তুমি, সে কি তুমি?