রেশ্‌মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে

বাণী

রেশ্‌মি চুড়ির শিঞ্জিনীতে রিমঝিমিয়ে মরম কথা
পথের মাঝে চম্‌কে’ কে গো থম্‌কে’ যায় ঐ শরম-নতা।।
	কাঁখ-চুমা তার কলসি-ঠোঁটে
	উল্লাসে জল উল্‌সি’ ওঠে,
	অঙ্গে নিলাজ পুলক ছোটে
			বায় যেন হায় নরম লতা।।
অ-চকিতে পথের মাঝে পথ-ভুলানো পরদেশিকে
হান্‌লে দিঠি পিয়াস-জাগা পথ্‌বালা এই উর্বশীকে!
	শূন্য তাহার কন্যা হিয়া
	ভর্‌ল বঁধুর বেদ্‌না নিয়া,
	জাগিয়ে গেল পর্‌দেশিয়া
			বিধুর বধূর মধুর ব্যথা।।

লক্ষ্মী মাগো নারায়ণী আয়

বাণী

লক্ষ্মী মাগো নারায়ণী আয় এ আঙিনাতে।
সুধার পাত্র সোনার ঝাঁপি ল’য়ে শুভ হাতে।।
	সৌভাগ্যদায়িনী তুই মা এসে
	দারিদ্র্য ক্লেশ নাশ কর মা হেসে
কোজাগরী পূর্ণিমা আন মা দুঃখের আঁধার রাতে।।
আন্‌ কল্যাণ শান্তি শ্রী, জননী কমলা,
এ অভাবের সংসারে থাক মা হয়ে অচঞ্চলা।
	রূপ দে মা যশ দে, দে জয়,
	অভয় পদে দে মা আশ্রয়,
ধরা ভরবে শস্যে ফুলে ফলে মা তোর আসার সাথে।।

ইয়া ইলাহী ইয়া ইলাহী

বাণী

ইয়া ইলাহী! ইয়া ইলাহী!
তব রাহে মোরে কর রাহী।
ফরজ-ওয়াজেব জানি না হে স্বামী
তব নামে মশগুল দিবা-যামী,
চাহিনা শাফায়াৎ বেহেশ্‌ত দৌলত-
	হে প্রভু শুধু তোমারে চাহি।।
পতঙ্গ ধায় যেমন দীপ-পানে
তোমার জ্যোতি মোরে তেমনি টানে,
তোমার বিরহে নিশি-দিন কাঁদি-
	পরানে আমার শান্তি নাহি ৷৷
আমারে রাখো তব প্রেমে ছেয়ে’
বিশ্ব ভুলি যেন তোমারে পেয়ে,
নদী যেমন যায় সাগরে ধেয়ে-
	তেমনি ছুটি যেন তব নাম গাহি ৷৷

শ্রীকৃষ্ণ রূপের করো ধ্যান অনুক্ষণ

বাণী

শ্রীকৃষ্ণ রূপের করো ধ্যান অনুক্ষণ
হবে নিমেষে সংসার-কালীয় দমন।।
	নব-জলধর শ্যাম
	রূপ যাঁর অভিরাম
(যাঁর)	আনন্দ ব্রজধাম লীলা নিকেতন।।
বিদ্যুৎ - বর্ণ পীতান্বরধারী,
বনমালা-বিভূষিত মধুবনারী;
গোপ-সখা গোপী-বঁধু মনোহারী
নওল-কিশোর তনু মদনমোহন।।

আঁধার ভীত এ চিত যাচে মা গো

বাণী

আঁধার ভীত এ চিত যাচে মা গো আলো আলো।
বিশ্ববিধাত্রী আলোকদাত্রী নিরাশ পরানে আশার সবিতা জ্বালো
				জ্বালো, আলো, আলো।।
	হারায়েছি পথ গভীর তিমিরে
	লহ হাতে ধ’রে প্রভাতের তীরে
পাপ তাপ মুছি’ কর মা গো শুচি, আশিস-অমৃত ঢালো।।
দশ প্রহরণধারিণী দুর্গতিহারিণী দুর্গে মা অগতির গতি
সিদ্ধি-বিধায়িনী দনুজ-দলনী বাহুতে দাও মা শকতি।
	তন্দ্রা ভুলিয়া যেন মোরা জাগি —
	এবার প্রবল মৃত্যুর লাগি’,
রুদ্র-দাহনে ক্ষুদ্রতা দহ’ বিনাশ গ্লানির কালো।।
১. প্রভু, ২. নাথ, ৩, পান্ডুলিপিতে এখানে দুটি পঙ্ক্তি বেশি আাছে
		অচেতন প্রাণে জাগরণ তৃষ্ণা আনো আনো
		জড়তার বুকে জীবন-পিপাসা দানো দানো।

ডাল মেল পত্র মেল ওরে তরুলতা

বাণী

ডাল মেল, পত্র মেল, ওরে তরুলতা!
কইতে পার, কইতে পার আমার প্রাণের বন্ধু গেল কোথা (রে)।।
	ও তরু, তোর পাতার কোলে
	ফোটা ফুলের হাসি দোলে (রে)।
সে কি তোর কুসুমের মালা গলে বসেছিল হোথা (রে)।।
	তোর ফুল ঝরে যে যথা
	তোর ছায়া থাকে যথা।
ঢেউ-এর মালা গলায় পরে নাচিস নদী জল,
তরী বেয়ে বন্ধু আমার কোথায় গেল বল।
	চাঁদের তিলক প’রে আকাশ
	হেসে হেসে কেন তাকাস্?
তোর চাঁদ কি জানে, মোর আকাশের চাঁদেরই বারতা।।