বাণী
মাকে আমার এলাম ছেড়ে মা অভয়া, মাকে দেখো। মোর তরে মা কাঁদে যদি তুমি তাকে ভুলিয়ে রেখো।। মায়ের যে বুক শূন্য ক’রে এলাম আমি দেশান্তরে শূন্য করে সেই খালি বুক মহামায়া তুমি থেকো।।
নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ ত্রিমাত্রিক ছন্দ
তুমি সারাজীবন দুঃখ দিলে, তব দুঃখ দেওয়া কি ফুরাবে না! যে ভালোবাসায় দুঃখে ভাসায় সে কি আশা পূরাবে না॥ মোর জনম গেল ঝুরে ঝুরে - লোকে লোকে ঘুরে ঘুরে, তব স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে কি, নাথ, দগ্ধ হিয়া জুড়াবে না॥ তুমি অশ্রুতে যে-বুক ভাসালে — সেই বক্ষে এসো দিন ফুরালে তুমি আঘাত দিয়ে ফুল ঝরালে, হাত দিয়ে কি কুড়াবে না॥
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
দেখে যারে রুদ্রাণী মা সেজেছে আজ ভদ্রকালী। শ্রান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে শ্মশান মাঝে শিব-দুলালী॥ আজ শান্ত সিন্ধু তীরে অশান্ত ঝড় থেমেছে রে, মা’র কালো রূপ উপ্চে পড়ে ছাপিয়ে ভুবন গগন-ডালি॥ আজ অভয়ার ওষ্ঠে জাগে শুভ্র করুণ শান্ত হাসি, আনন্দে তাই বসন ফেলি’ মহেন্দ্র ঐ বাজায়-বাঁশি, ঘুমিয়ে আছে বিশ্ব ভুবন মায়ের কোলে শিশুর মতন, পায়ের লোভে মনের বনে ফুল ফুটেছে পাঁচমিশালি॥
রাগঃ আনন্দ ভৈরবী
তালঃ কাহার্বা
১.
২.
বনে মোর ফুল-ঝরার বেলা, জাগিল একি চঞ্চলতা।(অবেলায়) এলো ঐ শুকনো ডালে ডালে কোন অতিথির ফুল-বারতা।।(এলো ঐ) বিদায়-নেওয়া কুহু সহসা এলো ফিরে, জোয়ার ওঠে দুলে, মরা নদীর তীরে, শীতের বনে বহে দখিনা হাওয়া ধীরে জাগায়ে বিধুর মধুর ব্যথা।।(পরানে) রুদ্ধ বাতায়ন খুলে দে, চেয়ে দেখি হেনার মঞ্জরি আবার ফুটেছে কী? হারানো মানসী ফিরেছে লয়ে কি গত বসন্তের বিহ্বলতা।।(পরানে)
রাগঃ হাম্বীর মিশ্র
তালঃ কাহার্বা
দরিয়ায় ঘোর তুফান, পার কর নাইয়া। রজনী আঁধার ঘোর, মেঘ আসে ছাইয়া।। যাত্রী গুনাহ্গার, জীর্ণ তরুণী, অসীম পাথারে কাঁদি পথ হারাইয়া।। হে-চির কাণ্ডারী, পাপে তাপে বোঝাই তরী তুমি না করিলে পার, পার হব কেমন করি’, সুখ-দিনে ভুলে’ থাকি, বিপদে তোমারে স্মরি – ডুবাবে কি তব নাম আমারে ডুবাইয়া।। মা’র কাছে মার খেয়ে শিশু যেমন মাকে ডাকে যত দাও দুখ শোক, ডাকি ততই তোমাকে, জানি শুধু তুমি আছ, আসিবে আমার ডাকে – তোমারি এ তরী প্রভু, তুমি চল বাহিয়া।।
রাগঃ জংলা
তালঃ দাদ্রা