বৈঁচি মালা রইল গাঁথা

বাণী

বৈঁচি মালা রইল গাঁথা পিয়াল পাতা ঢাকা (লো)।
সে এলো না, সয় না লো আর এক্‌লা ঘরে থাকা (লো)।।
	সে বর্শা ধনুক নিয়ে হাতে
	ঘুরে বেড়ায় কাহার সাথে?
(সে) আসবে কবে, চাঁচর কেশে বেঁধে পাখির পাখা (লো)।।
(সে) বলেছিল, ডাগর হবে টগর-চারা যবে
লুকিয়ে এসে আমার হাতের বৈঁচি-মালা লবে (লো)।।
	আজ টগর গাছে ফুল ফুটেছে
	ফাগুন মাসের চাঁদ উঠেছে।
আঙিনাতে ফুল ছড়িয়ে কাঁদে পলাশ-পাখা (লো)।।

আল্লা নামের বীজ বুনেছি

বাণী

আল্লা নামের বীজ বুনেছি এবার মনের মাঠে।
ফলবে ফসল বেচব তারে কেয়ামতের হাটে।।
	পত্তনীদার যে এ জমির
	খাজনা দিয়ে সেই নবীজীর
বেহেশতেরই তালুক কিনে বসব সোনার খাটে।।
মসজিদে মোর মরাই বাঁধা হবে নাকো চুরি,
মনকির নকির দুই ফেরেশতা হিসাব রাখে জুড়ি' রে;
	রাখবো হেফাজতের তরে
	ঈমানকে মোর সাথী করে,
রদ হবে না কিস্তি (মোর), জমি উঠবে না আর লাটে।।

টারালা টারালা টারালা টা টারালা

বাণী

	টারালা টারালা টারালা টা টারালা টারালোল্লা
নাচে	শুটকী শুকনো সাহেবকে ধ'রে মুটকি মিস আরসোল্লা।
		হা-হা- হা-হা- হা।।
	খুরওয়ালা জুতা পরে খটখট ঠেংরী নাড়ে
	চাবুক খেয়ে জোড়া ঘোড়ায় যেন পেছলি ঝাড়ে!
দেখে	পাদ্রি, পুরুত, মোল্লা বাবাজী কাছা খোল্লা।
		আর বাবাজী কাছা খোল্লা।।
দেখে	আণ্ডাওয়ালা ভাবে বুঝি খেল ডাণ্ডাগুলি
হা	গণ্ডার মার্কা ষণ্ডা বিবি খেল ডাণ্ডাগুলি
হা	ভাব-আবেশের নয়ন তাহার হলো নয়ান ঝুলি;
	নেকু বাবুর ঢেকুর ওঠে পেটে মেকুর আচড়ায়!
	কাল্লু ভাবে মেম পালোয়ান সাহেবকে বুঝি পাছড়ায়। ( হায় হায় হায়)
	যতো কাবলিওয়ালা মাউড়া সব হো গিয়া ভাই বাউড়া
	মোষের গাড়োয়ান প্রেম-রসে হলো রসগোল্লা।।

ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে

বাণী

(সখি) ব'লো বঁধুয়ারে নিরজনে
দেখা হ'লে রাতে ফুল-বনে।।
কে করে ফুল চুরি জেনেছে ফুলমালী
কে দেয় গহীন রাতে ফুলের কুলে কালি
জেনেছে ফুলমালী গোপনে।।
ও-পথে চোর-কাঁটা, সখি, তায় বলে দিও
বেঁধে না বেঁধে না লো যেন তার উত্তরীয়।
এ বনফুল লাগি' না আসে কাঁটা' দলি'
আপনি যাব চলি' বঁধুয়ার কুঞ্জ-গলি
বিনা মূলে বিকাইব ও-চরণে।।

ফিরি ক’রে ফিরি আমি আল্লাহ্ নবীর নাম

বাণী

	ফিরি ক’রে ফিরি আমি আল্লাহ্ নবীর নাম।
	দেশ-বিদেশে পথে ঘাটে হাঁকি সুব্হ-শাম।।
			কলমা শাহাদতের বাণী
		যে	বারেক বলে একটুখানি,
সে	চাওয়ার অধিক দেয় আমারে মোর সওদার দাম।।
	দাম দিয়ে সব দুনিয়াদারীর দামি জিনিস চায়,
	অমূল্য এই আল্লারই নাম কেউ চাহে না হায়।
			আল্লাহ্ নামের ফেরিওয়ালায়
			ডাকে ওরা শেষের বেলায়,
ঐ	নাম দিয়ে সে আখেরে পায় বেহেশ্‌তী আরাম।।

১. দাম দিয়ে সব দুনিয়াদারীর মিটায় দেনা; / অমূল্য এই আল্লাহর নাম কেই চা’বে না?

বনদেবী জাগো সহকার-করে

বাণী

বনদেবী জাগো সহকার-করে বাঁধো বল্লরি-কঙ্কণ।
আকাশে জাগাও তব নব কিশলয়-কেতন-কম্পন।।
	অশান্ত দক্ষিণা সমীরণ
	গেয়ে যাক বসন্ত আবাহন,
বনে বনে হোক ফুল-আল্‌পনা-অঙ্কন।।
মধূপ গুঞ্জরে ঝিল্লীর মণি-মঞ্জিরে তোলো ঝংকার,
মুহু মুহু কুহু রবে আনো আনন্দিত ছন্দ ধরণীতে অলকানন্দার।
	ঝরা পল্লব মর্‌মরে
	মৃদু ঝরনার ঝর্‌ঝরে,
মুখরিত হোক তব বন-ভূমি-অঙ্গন।।