আবার শ্রাবণ এলো ফিরে

বাণী

দ্বৈত	:	আবার শ্রাবণ এলো ফিরে তেমনি ময়ুর ডাকে,
		দোলনা কেন বাঁধলে না গো এবার কদম-শাখে।।
স্ত্রী	:	সঙ্গে ল'য়ে গোপ-গোপীরে
পুরুষ	:	ব্রজের কিশোর যাবে ফিরে
দ্বৈত	:	লীলা-কিশোর শ্যাম যে লীলা-সাথীর সাথে থাকে।।
দ্বৈত	:	দোলনা বেঁধে রইবো চেয়ে আমরা মেঘের পানে
		আয় ওরে আয়, নির্জন বনকে জাগাই সেই কাজরি গানে গানে।
স্ত্রী	:	বৃষ্টি ধারায় টাপুর টুপুর
পুরুষ	:	শুনব তাহার পায়ের নূপুর
দ্বৈত	:	বিজলিতে তার চপল চাওয়া দেখব মেঘের ফাঁকে।।

দীপ নিভিয়াছে ঝড়ে জেগে আছে মোর আঁখি

বাণী

দীপ নিভিয়াছে ঝড়ে জেগে আছে মোর আঁখি।
কে যেন কহিছে কেঁদে মোর বুকে মুখ রাখি’
	‘পথিক এসেছ না কি’।।
হারায়ে গিয়াছে চাঁদ জল-ভরা কালো মেঘে
আঁচলে লুকায়ে ফুল বাতায়নে আছি জেগে’
শূন্য গগনে দেয়া কহিতেছে যেন ডাকি’
	‘পথিক এসেছ না কি’।।
ভাঙিয়া দুয়ার মম কাড়িয়া লইতে মোরে
এলে কি ভিখারি ওগো প্রলয়ের রূপ ধ’রে?
ফুরাইয়া যায় বঁধু শুভ-লগনের বেলা
আনো আনো ত্বরা করি’ ওপারে যাবার ভেলা
‘পিয়া পিয়া’ ব’লে বনে ঝুরিছে পাপিয়া পাখি
	‘পথিক এসেছ না কি’।।

ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা চির-আনন্দিতা

বাণী

ঐ নন্দন নন্দিনী দয়িতা, চির-আনন্দিতা।
যেন প্রথম কবির প্রথম লেখা কবিতা ॥
	তব চরণের নূপুরধ্বনি
	মধুকর গুঞ্জর তোলে যে রণি,
মন মোর ভোলে হেরি তোমারে যে গো ঐ যে যৌবন-গর্বিতা ॥
	দোলায় দোদুল দুল তব নৃত্য
	আবেশে আকুল হয় মোর চিত্ত,
	নৃত্যশেষে তব পায়ের নূপুর
	গ্রহ তারকায় রয় আকাশের সুদূর,
সুরলোক উর্বশী তুমি যে আমার রও চির-অনিন্দিতা ॥

নাচে সুনীল দরিয়া আজি

বাণী

নাচে	সুনীল দরিয়া আজি দিল্-দরিয়া পূর্ণিমা চাঁদেরে পেয়ে।
	কূলে তার ঝুমুর ঝুমুর ঘুঙুর বাজে মিঠে আওয়াজে
				নাচে জল্-পরীর মেয়ে।।
	তার জল-ছলছল্ কূলে কূলে
	ফেনিল যৌবন ওঠে দু’লে,
	চাঁদিনী উজল্ তনু ঝলমল্
		পরানে উছল জাগে জোয়ার —
		আধো ঘুমে আসে তার নয়ন ছেয়ে।।
	জল-বালা মুক্তা-মালা গাঁথে নিরালা চাঁদের তরে,
	কাজল-বরণী তরুণী তটিনী চলেছে ধেয়ে।।

নেহি তোড়ো ইয়ে ফুলোঁ কি

বাণী

নেহি তোড়ো ইয়ে ফুলোঁ কি ডালি রে হা।
মালি ভোমরা বুলবুল তেরি গালি রে হা।।
যাও সওতন কে পাশ শুনো ভিগা ভিগা বাত
ম্যায়তো হোনেকা চাহতি হুঁ প্রীত বিমার —
আভি চাহ ফেকা যায়েগা কালীরে হা।।
হায়রে হায় বান্দা আব দালা যৌবন আভি
আভি ফুলো মে নেহি আয়ি হ্যায় সৌগন্ধ,
আভি গালো পে আয়ি নেহি লালীরে হা।।
নেহি আও আভি নাজানে পাও নেহি বাত
আভি ছোটি হ্যায় ফুল কলি কাচ্চা আনার
যৌবন সে ম্যায় অব তক আনজানে হা।।

ত্রাণ কর মওলা মদিনার উম্মত তোমার

বাণী

ত্রাণ কর মওলা মদিনার, উম্মত তোমার গুনাহ্‌গার কাঁদে।
তব প্রিয় মুসলিম দুনিয়া পড়েছে আবার গুনাহের ফাঁদে।।
	নাহি কেউ ঈমানদার, নাহি নিশান-বরদার,
	মুসলিম জাহানে নাহি আর পরহেজগার,
	জামাত শামিল হতে যায় না মসজিদে,
	পড়ে নাকো কোরআন মানে না মুর্শিদে;
ভুলিয়াছে কল্‌মা শাহাদাত, পড়ে না নামাজ ঈদের চাঁদে।।
	নাহি দান খয়রাত, ভুলে মোহ ফাঁসে
	মেতে আছে সবে বিভবে বিলাসে;
	বসিয়াছে জালিম শাহী তখ্‌তে তব —
	মজলুমের এ ফরিয়াদ আর কাহে কব,
তলোয়ার নাহি আর, পায়ে গোলামীর জিঞ্জির বাঁধে।।