বাণী
ঘুম যবে ভাঙবে কন্যা (সুখ) স্বপন যাবে টুটে। ফুল-শয্যার ফুটবে কাঁটা প্রভাতবেলা উঠে।।
নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)
রাগ ও তাল
রাগঃ
তালঃ
ঘুম যবে ভাঙবে কন্যা (সুখ) স্বপন যাবে টুটে। ফুল-শয্যার ফুটবে কাঁটা প্রভাতবেলা উঠে।।
নাটক : ‘মধুমালা’ (ঘুমপরীর গান)
রাগঃ
তালঃ
বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ, নবযুগ ঐ এলো ঐ এলো ঐ রক্ত যুগান্তর রে। বল জয় সত্যের জয় আসে ভৈরব বরাভয়, শোন অভয় ঐ রথ-ঘর্ঘর রে।। রে বধির! শোন পেতে কান ওঠে ঐ কোন মহাগান, হাঁকছে বিষাণ ডাকছে ভগবান রে। জগতে জাগলো সাড়া জেগে ওঠ উঠে দাঁড়া, ভাঙ্ পাহারা মায়ার কারা-ঘর রে। যা আছে যাক্ না চুলায় নেমে পড় পথের ধূলায়, নিশান দুলায় ঐ প্রলয়ের ঝড় রে।। সে ঝড়ের ঝাপটা লেগে ভীম আবেগে উঠনু জেগে পাষাণ ভেঙে প্রাণ-ঝরা নির্ঝর রে। ভুলেছি পর ও আপন ছিঁড়েছি ঘরের বাঁধন, স্বদেশ স্বজন স্বদেশ মোদের ঘর রে। যারা ভাই বদ্ধ কুয়ায় খেয়ে মার জীবন গোঁয়ায় তাদের শোনাই প্রাণ-জাগা মন্তর রে।। ঝড়ের ঝাঁটার ঝাণ্ডা নেড়ে মাভৈঃ বানীর ডঙ্কা মেরে শঙ্কা ছেড়ে হাঁক প্রলয়ঙ্কর রে। তোদের ঐ চরণ-চাপে যেন ভাই মরণ কাঁপে মিথ্যা পাপের কণ্ঠ চেপে ধর্ রে। শোনা তোর বুক-ভরা গান জাগা তোর দেশ-জোড়া প্রাণ, দে বলিদান প্রাণ ও আত্মপর রে।। মোরা ভাই বাউল চারণ মানি না শাসন বারণ, জীবন মরণ মোদের অনুচর রে। দেখে ঐ ভয়ের ফাঁসি হাসি জোর জয়ের হাসি, অ-বিনাশী নাইকো মোদের ডর রে, গেয়ে যাই গান গেয়ে যাই মরা প্রাণ উট্কে দেখাই, ছাই-চাপা ভাই অগ্নি ভয়ঙ্কর রে।। খুঁড়ব কবর তুড়ব শ্মশান মড়ার হাড়ে নাচাব প্রাণ, আনব বিধান নিদান কালের বর রে শুধু এই ভরসা রাখিস মরিস্নি ভির্মি গেছিস ঐ শুনেছিস ভারত বিধির স্বর রে। ধর্ হাত ওঠ্ রে আবার দুর্যোগের রাত্রি কাবার, ঐ হাসে মা'র মূর্তি মনোহর রে।।
রাগঃ
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা

একেলা ঢুলিয়া ঢুলিয়া কে যায়। চলিতে চরণ চরণে জড়ায়।। এখনো ভাঙেনি মল্লিকার ঘুম এখনো অমলিন-কবরী কুসুম, নয়নে নিশির ঝরেনি শিশির বিহগ পাখায় বিহগী ঘুমায়।। অভিসার নিশি বৃথাই জাগি কোথা অভিমানিনী চলে মূর্তিমতী ব্যথা। ভীরু চকিত চোখে করুণ কাতরতা রবি না ওঠে যেন মিনতি জানায়।।
রাগঃ ভৈরবী
তালঃ আদ্ধা কাওয়ালী
মহাকালের কোলে এসে গৌরী হ’ল মহাকালী, শ্মশান–চিতার ভস্ম মেখে ম্লান হ’ল মার রূপের ডালি।। তবু মায়ের রূপ কি হারায় সে যেছড়িয়ে আছে চন্দ্র তারায়, মায়ের রূপের আরতি হয় নিত্য সূর্য–প্রদীপ জ্বালি’ ।। উমা হ’ল ভৈরবী হায় বরণ ক’রে ভৈরবেরে, হেরি’ শিবের শিরে জাহ্নবী রে শ্মশানে মশানে ফেরে। অন্ন দিয়ে ত্রি–জগতে অন্নদা মোর বেড়ায় পথে, ভিক্ষু শিবের অনুরাগে ভিক্ষা মাগে রাজদুলালী।।
রাগঃ দুর্গা
তালঃ তেওড়া

কারার ঐ লৌহ-কপাট ভেঙ্গে ফেল্ কর্ রে লোপাট রক্ত-জমাট শিকল-পূজার পাষাণ-বেদী! ওরে ও তরুণ ঈশান! বাজা তোর প্রলয়-বিষাণ! ধ্বংস-নিশান উঠুক প্রাচী-র প্রাচীর ভেদি’॥ গাজনের বাজনা বাজা! কে মালিক? কে সে রাজা? কে দেয় সাজা মুক্ত-স্বাধীন সত্য কে রে? হা হা হা পায় যে হাসি, ভগবান প’রবে ফাঁসি? সর্বনাশী — শিখায় এ হীন্ তথ্য কে রে? ওরে ও পাগ্লা ভোলা, দেরে দে প্রলয়-দোলা গারদগুলা জোরসে ধ’রে হ্যাঁচকা টানে। মার্ হাঁক হায়দরী হাঁক্ কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক ডাক ওরে ডাক মৃত্যুকে ডাক জীবন-পানে॥ নাচে ঐ কাল-বোশেখী, কাটাবি কাল ব’সে কি? দে রে দেখি ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি’। লাথি মার, ভাঙ্রে তালা! যত সব বন্দী-শালায় — আগুন জ্বালা, আগুন জ্বালা, ফেল্ উপাড়ি॥
সিনেমাঃ ‘চট্রগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন’
রাগঃ
তালঃ দ্রুত-দাদ্রা

খেলে চঞ্চলা বরষা-বালিকা মেঘের এলোকেশে ওড়ে পুবালি বায় দোলে গলায় বলাকার মালিকা।। চপল বিদ্যুতে হেরি' সে চপলার ঝিলিক হানে কণ্ঠের মণিহার, নীল আঁচল হতে তৃষিত ধরার পথে ছুড়ে ফেলে মুঠি মুঠি বৃষ্টি শেফালিকা।। কেয়া পাতার তরী ভাসায় কমল-ঝিলে তরু-লতার শাখা সাজায় হরিৎ নীলে। ছিটিয়ে মেঠো জল খেলে সে অবিরল কাজলা দীঘির জলে ঢেউ তোলে আনমনে ভাসায় পদ্ম-পাতার থালিকা।।
রাগঃ
তালঃ কাহার্বা
