দুর্গা

  • কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া

    বাণী

    কেমনে রাখি আঁখি–বারি চাপিয়া
    প্রাতে কোকিল কাঁদে নিশীথে পাপিয়া।।
    এ ভরা ভাদরে আমার মরা নদী
    উথলি’ উথলি’ উঠিছে নিরবধি
    আমার এ ভাঙা ঘটে, আমার এ হৃদিতটে
    চাপিতে গেলে ওঠে দু’কূল ছাপিয়া।।
    নিষেধ নাহি মানে আমার এ পোড়া আঁখি
    জল লুকাবো কত কাজল মাখি’ মাখি’
    ছলনা ক’রে হাসি, অমনি জলে ভাসি
    ছলিতে গিয়া আসি ভয়েতে কাঁপিয়া।।
    

  • জয় দুর্গা দুর্গতিনাশিনী

    বাণী

    জয় দুর্গা, দুর্গতিনাশিনী।
    হরি-হৃদি-কমল-বনবাসিনী।।
    সব বন্ধন পাপ-তাপ-হরা
    সব শোক-দুঃখ-ব্যথা শীতল করা
    জয় অভয়া, শুভদা, শিব-স্বয়ম্বরা।
    জয় জননী-রূপা চির সুমঙ্গলা
    শুভ্র রুচির হাসিনী
    জয় দুর্গা, জয় দুর্গা জয় দুর্গা।।

    নাটিকাঃ ‘শ্রীমন্ত’

  • নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল

    বাণী

    নহে নহে প্রিয় এ নয় আঁখি-জল
    মলিন হয়েছে ঘুমে চোখের কাজল।।
    	হেরিয়া নিশি-প্রভাতে
    	শিশির কমল-পাতে
    ভাব বুঝি বেদনাতে ফুটেছে কমল।।
    	এ শুধু শীতের মেঘে
    	কপট কুয়াশা লেগে’
    ছলনা উঠেছে জেগে’ এ নহে বাদল।।
    	কেন কবি খালি খালি
    	হ’লি রে চোখের বালি
    কাঁদাতে গিয়া কাঁদালি নিজেরে কেবল।।
    

  • প্রণমি তোমায় বনদেবতা

    বাণী

    প্রণমি তোমায় বনদেবতা।
    শাখে শাখে শুনি তব ফুল-বারতা — দেবতা।।
    তোমার ময়ূর তোমার হরিণ
    লীলা-সাথী রয় নিশিদিন,
    বিলায় ছায়া বাণী-বিহীন —
    		তরু ও লতা — দেবতা।।
    
  • মহাকালের কোলে এসে

    বাণী

    	মহাকালের কোলে এসে গৌরী হ’ল মহাকালী,
    	শ্মশান–চিতার ভস্ম মেখে ম্লান হ’ল মার রূপের ডালি।।
    		তবু মায়ের রূপ কি হারায়
    	সে যেছড়িয়ে আছে চন্দ্র তারায়,
    	মায়ের রূপের আরতি হয় নিত্য সূর্য–প্রদীপ জ্বালি’ ।।
    	উমা হ’ল ভৈরবী হায় বরণ ক’রে ভৈরবেরে,
    হেরি’	শিবের শিরে জাহ্নবী রে শ্মশানে মশানে ফেরে।
    		অন্ন দিয়ে ত্রি–জগতে
    		অন্নদা মোর বেড়ায় পথে,
    	ভিক্ষু শিবের অনুরাগে ভিক্ষা মাগে রাজদুলালী।।