কে সাজালো মাকে আমার

বাণী

	কে সাজালো মাকে আমার বিসর্জনের বিদায় সাজে
	আজ সারাদিন কেন এমন করুণ সুরে বাঁশি বাজে॥
	আনন্দেরি প্রতিমাকে হায়, বিদায় দিতে পরান নাহি চায়
	মা-কে ভাসিয়ে জলে কেমন করে রইব আঁধার ভবন মাঝে॥
মা’র	আগমনে বেজেছিল প্রাণে নূতন আশার বাঁশি
	দুঃখ শোক ভয় ভুলেছিলাম দেখে মা অভয়ার মুখের হাসি।
	মা দশ হাতে আনন্দ এনেছিল, বিশ হাতে আজ দুঃখ ব্যথা দিল
মা	মৃন্ময়ীকে ভাসিয়ে জলে, পাব চিন্ময়ীকে বুকের মাঝে॥

এলে কি বঁধু ফুল-ভবনে

বাণী

এলে কি বঁধু ফুল-ভবনে।
মেলিয়া পাখা নীল গগনে।।
একা কিশোরী লাজ বিসরি’
তোমারে স্মরি সঙ্গোপনে,
এসো গোধূলির রাঙা লগনে।।
পাতার আসন শাখায় পাত,
বালিকা কলির মালিকা গাঁথ,
দিনু গন্ধ-লিপি ভোর-পবনে।।

চুরি ক’রে এনো গিরি

বাণী

চুরি ক’রে এনো গিরি, আমার উমার দুই কুমারে।
দেখ্‌ব তখন ভোলা মেয়ে কেমন ভু’লে থাকতে পারে॥
তার ছেলেরে আনলে হেথা, বুঝবে মেয়ে মায়ের ব্যথা;
(বিনা) সাধনাতে গৌরী তখন, আসবে ছুটে আমার দ্বারে॥
জামাই আমার শিব ভোলানাথ, ডাকিলেই সে আসিবে জানি
চাইবে নাকো আসতে শুধু, তোমার মেয়ে ঐ পাষাণী।
কুমার গণেশ তুমি আমি, শিব পূজিব দিবস যামী;
শৈব হ’লে শিবাণী মোর, রইতে নারে ছেড়ে তারে॥

তুমি নামো হে নামো শামো

বাণী

[কেডারে? কেডা? উ-কেলিকদম্ব গাছে এই ডাল ঐ ডাল কইরা লাফ দিয়া বেড়াইত্যাছ? ও — ঘোষ পাড়ার হেই বখাইট্রা পোলাটা না? 
উ-হুঁ-হুঁ, আবার পিরুক কইরা বাঁশি বাজান হইত্যাছে ? নাম্যা, আসো। ভরদুপুর বেলা মাইয়াগো সান ঘাটের কাছে — অ্যাঁ-হ্যাঁ-হ্যাঁ আবার কিষ্ট সাজাছেন?
বলি কেষ্ট সাজছো? নামো শিগগিরে নামো পোড়া কপাইল্যা নামো —]
তুমি নামো হে নামো শামো হে শামো কদম্ব ডাল ছাইড়া নামো। দুপরি রৌদ্রে বৃথাই ঘামো ব্যস্ত রাধা কাজে, ওহে শামো হে শামো॥ আরে তোমার ললিতাদেবী কি করতেয়াছে জাননি? তোমার ললিতাদেবী? আরে ললিতাদেবী সলিতা পাকায়, বিশাখা ঝোলে হিজল শাখায়। আর বৃন্দাদুতী কি করছে জান? বৃন্দাদুতী? বৃন্দাদুতী পিন্দা ধুতি গোষ্টে গেছেন তোমার ‘পোস্টে’ সাজিয়া রাখাল সাজে আর চন্দ্রা গ্যাছেন অন্ধ্র দেশে মান্দ্রাজী জাহাজে॥ আবার ইতি উতি চাও ক্যা? ইতি উতি চাইবার লাগছ ক্যা? এ্যা? আমি কমুনা কোন্‌খানে তোমার যমুনা - তা আমি কমু না? আরে (তুমি) ইতি উতি চাও বৃথাই আমি কমু না কোথায় তোমার যমুনা কইলকাতা আর ঢাকা রমনার লেকে পাবে তার নমুনা। আরে তোমার যমুনা লেক হইয়া গ্যাছে গিয়া! বুঝ্‌লা? হালার যমুনা ল্যাক হইয়া গ্যাছে গিয়া। কলেজে ফিরিছে শ্রীদাম সুদাম শ্রীদাম সুদাম কলেজে যাইতেয়াছে, আর তুমি এখানে বাঁশি বাজাইতেয়াছ অ্যাঁ! পোড়া কপাইল্যা — কলেজে ফিরিছে শ্রীদাম সুদাম, মেরে মাল কোঁচা খুলিয়া বোতাম লাঙ্গল ছাড়িয়া বলরাম ডাম্বেল মুঘার ভাঁজে। ওহে শামো হে শামো আরে তুমি নামো, পোড়া কপাইল্যা নামো॥

শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি

বাণী

শা আর শুড়ি মিলে শাশুড়ি কি হয় গো।
শ্যাম প্রেমে বাধা দেয় স্বামী তারে কয় গো।।
নয় নদী মিলে হয় ননদিনী দজ্জাল,
জুতো জামা-ই সার যার-জামাই সে মহাকাল,
যার কসুর হয় না সে কে? — শ্বশুর মহাশয় গো।।
(সে) ভাদ্দর-বউ, (যার) ভাদ্দর মাসে বিয়ে,
দেবর সে জন — বর যে দেয় দাদারে দিয়ে।
ভাসুর সে, অসুরের মত যারে ভয় গো।।
বেহায়া চশম-খোর, তারে কি বেহাই কই,
পিসিয়া মারেন বলে তারে (তাই) কি পিসি কই,
সকলেরই ভাগ নেয় সে, ভাগ্‌নেরই জয় গো।।

গাহে আকাশ পবন নিখিল ভুবন

বাণী

গাহে আকাশ পবন নিখিল ভুবন (গাহে) তোমারই নাম।
সাগর নদী বন উপবন (গাহে) তোমারই নাম।।
	মধুর তোমার গানের নেশায়
	ঘোর লাগে ঐ গ্রহ-তারায়,
অনন্ত কাল ঘুরিয়া বেড়ায় — ঘিরি’ অসীম গগন।।
	তোমার প্রিয় নামে, হে বঁধূ,
	ফুলের বুকে পুরে মধু।
	তোমার নামের মাধুরি মাখি’
	গান গেয়ে যায় বনের পাখি,
নিখিল পাগল ও নাম ডাকি’ — কোটি চন্দ্র তপন।।